ক্ষেত্রফল
চিলেকোঠার বানান ভুল লিখতে গিয়ে, চোখ চলে গেছিল আকাশের দিকে। সামান্য
সূক্ষ্মকোণকে ভেবে নিলাম আড় চোখ। আমার ইচ্ছে হলো, তারাগুলো আংটি করে হাতে
পড়ি।
মাথার ওপরের অ্যাসবেসটাস-এর ছাদে টুক করে পড়ে গেল
জোনাকি।
গতিবেগ মাপতে থাকলো, মোবাইলের স্লো-মোশানে আটকে
থাকে বাইশে শ্রাবণ। স্বপ্ন নামের বিষয়বস্তুগুলো জলের ফোঁটার মত কিলবিল করতে থাকে।
নয়তো বা পাখিও বলা যেতে পারে ওদের। অজনা দৈর্ঘ্য প্রস্হর
ঘর থেকে, যাদের দূরবীন বলে মন হয়।
তারপর, নিয়ম মত, কোনো ফ্যাকাশে সকালে, সেই দূরবীনেরই পুরু কাচের
ধূলো মুছতে হয়।
পাখি দেখার বদলে, সেখানে ঝাপটা মারে, হেলিকপ্টারের কর্কশ
ডানা। মনে করিয়ে দেয়, যেটাকে তুমি ডানা ভাবছো, ওটা আসলে ককপিট হবে।
চিলেকোঠার বানানটা হঠাৎ ঠিক হয়ে যায়। বাধ্য ছেলের মতো
আপডেট নিতে থাকে ল্যাপটপ।
শাটডাইন?
রিস্টার্ট-এর দরকার হয়ে পড়ে ভীষণ ভাবে।
ঝরা পাতার মতো পড়ে থাকে, ভেঙে যাওয়া প্রসেনিয়াম।
সময় এসে পড়ে, দূরবীনের পুরু কাচ মোছার।
কিন্তু, রুমাল খুঁজে পাওয়া যায় না।
দৈর্ঘ্য - প্রস্হ – উচ্চতা...
ক্ষেত্রফল...
বদলে, গভীরতা মাপতে ইচ্ছে হয় খুব।
ভালো !
উত্তরমুছুন