ডাক
এই যে প্রতিদিনের জীবন যা কখনও ভাঙ্গছে আবার গড়ছে,কেন
যেন মনে হয় এ জীবন
আমার নয়! অন্যের জীবনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছি। আলস্য আর আলস্য। কে যেন জোর করে
সব করিয়ে নিচ্ছে আমাকে দিয়ে!
আলমারি খুলে দাঁড়িয়ে থাকি চুপচাপ। শাড়ি নয়। মনে হয় ভাগে ভাগে আমিই যেন ঝুলে
আছি হ্যাঙ্গারে হ্যাঙ্গারে। দৃষ্টি অলস। গতি শ্লথ। চলতে হবে তাই যেন চলছি।
কে যেন ডাকে! অনেক তো হলো! আবার কেন?
পেছন ফিরে দেখি বিস্রস্ত ঘর হাতছানি ডাকছে
আমায়। গুছিয়ে যেতে হবে সব! শরীরের অংশের জন্য।
বোধ
অস্থির সময়। অস্থির মন। মুখ খুঁজে পাই না। মুখোশ চিনি না। স্বপ্ন নয়, প্রেম
নয়। মাথার
ভেতর কি এক বোধ কাজ করে যায় অনবরত।
মা
শীত আসে। শীত যায়।
নলেন গুড়ের পায়েস
ছোট আলু আর মটরশুঁটির
ডালনা, আরও কত কিছু!
মা কান্দে। বুক চাপড়ায়।
জোয়ান ছেলে দুইটার কথা
মনে করে। উনুন, ভাতের থালা
অতিক্রম করে শুধু মনে পরে
আঁতুড়ঘর আর গর্ভ যন্ত্রণার কথা।
আর আমি
প্রতি রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে
কেঁদে উঠে স্মৃতি কাতরতায় ভুগি।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন