ধিক্কৃত ও অ-ধিক্কৃত বিবিধ নরখাদকতা (১)
এই লেখাটা
একটা সাংস্কৃতিক এবং রাষ্ট্রনৈতিক/অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে দ্বিবিধ নরখাদকতাকে
নিয়ে। শুরু করছি বেচারি থর্স্টিন ভেবলেনকে (Thorstein Veblen) দিয়ে, যিনি দুটোর সম্পর্কেই লিখেছিলেন। প্রথমটার সম্পর্কে প্রত্যক্ষভাবে এবং পরেরটার সম্পর্কে অপ্রত্যক্ষভাবে! ভেবলেন
ভবঘুরে নরওয়েজীয় কৃষকের ছেলে। ছেলেদের মানুষ করায়
চাষী বাবার আগ্রহে ১৮৭৪ সালেমিনেসোটা প্রেইরিতে নিউ ইংল্যান্ডের কনগ্রিগেশন্যাল চার্চের মিশনারি ভাবধারায়
দীক্ষিত কার্ল্টন কলেজে ভর্তি হলেন, লুথেরান ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির প্রথম পদক্ষেপ
হিসেবে। কলেজের ক্লান্তিকর, শ্বাসরোধী
আবহাওয়ায় অতিষ্ঠ ভেবলেন গ্র্যাজুয়েট হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে লেখ্য দুটি প্রবন্ধ লিখে
কলেজের কর্তৃপক্ষের হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দিলেন। প্রথমটা নরখাদকতার সপক্ষে, আর দ্বিতীয়টা কোনো মাতালের
নেশাদাসত্বের সমর্থন (নাম্না, ‘Plea for Cannibalism’, এবং ‘Apology
for a Toper’)। এটাকে আমি আমার ছাত্রজীবনে
ধরেছিলাম মূল্যবোধ নিরপেক্ষ মুক্তচিন্তার উদাহরণ হিসেবে, যার আদিতম উদাহরণ আছে
প্রাচীন গ্রিসের ডায়ালেকটিক্স-এর মধ্যে।
আবার
পরবর্তীকালে ভেবলেন বই লিখলেন এক অবসরভোগী শ্রেণিকে নিয়ে,১ যেটি
এমনকি বন্য (savage)
গোষ্ঠীর মধ্যে বা বন্যসংস্কৃতিতেও
ছিল, সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও। এই বইটিও আমার মতে মুক্তচিন্তক
ভেবলেনই লিখতে পারতেন। কারণ এক আয়েসি শ্রেণির সমাজতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে
লিখতে গিয়ে ভেবলেন অনেক নিন্দাসূচক শব্দকে প্রশংসার্হনা করে’ দিলেও
তাচ্ছিল্যার্থকতা এমনকি নিন্দাসূচকতা থেকে অব্যাহতিদিলেন, যেমন ‘অপচয়ী’ (‘wasteful’) শব্দটিকে। অবসরভোগী শ্রেণির তত্ত্ব বইতে এক
জায়গায় ভেবলেন বললেন, ‘এক দিক থেকে অপচয় শব্দটির ব্যবহারই বেঠিক। প্রাত্যহিক
জীবনের কথাবার্তায় যেমন, শব্দটা একটা অনুচ্চস্বর অননুমোদনের ভার বয়ে বেড়ায়। কিন্তু
এটা এখানে লিখলাম এমন একটা ভালোতর শব্দের
অভাবে, যেটি একই ধরলার প্রেষণা ও ঘটনাক্রমের বর্ণনা দিলেও, তাকে এমন নিন্দার্থে নেবে
না যে তা মানবিক উৎপাদন অথবা মানবিক জীবনের অবৈধ ব্যবহারের দ্যোতনা দেবে। অর্থনৈতিক তত্ত্বের দৃষ্টিতে এই আলোচ্য ব্যয়টি অন্য
কোনো ব্যয়ের চেয়ে বেশি বৈধও নয়, কম বৈধও নয়’।২ অন্যত্র বললেন, ‘এই ব্যয়কে এখানে (এই বইতে)অপচয় বলা হয়েছে, একারণে
যে এই ব্যয় মানবজীবনের অথবা সমগ্রভাবে
মানবিক কল্যাণের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করে না, এহেতু নয় যে, যে ব্যক্তিভোক্তা এটাকে বেছে
নেয় তার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা অপচয় বা প্রয়াসের ভুলপথ গ্রহণ’।৩ আরো এক জায়গায় লিখলেন, ‘এটা পণ্যের অপচয়মূলক ভোগ দুই
অর্থে, ক) সম্পদের প্রত্যক্ষ ব্যাখ্যাতা হিসেবে, আর খ) শোভনতার মাপকাঠির উপাদান হিসেবে’।৪ আর ‘কোনো বিশেষ ব্যয় বাস্তবে যতই অপচয়মূলক হোক, তাকে আপাত-প্রতীয়মান,
বাহ্য কোনো উদ্দেশ্যের আপাত-সঙ্গত অজুহাত সঙ্গে রাখতেই হবে’।৫ ভেবলেনের এই শেষ কথাটি দিয়ে ঔপনিবেশিক কলকাতার ভুঁইফোড় হঠাৎ
বড়লোকদের ঘুড়ির সঙ্গে ভারি নোট জুড়ে ওড়ানো, পোষ্য প্রাণীর বা কন্যার পুতুলের
বিয়েতে লাখ লাখ টাকা ওড়ানো, দুর্গা পূজার জৌলুষ ইত্যাদির কারণ বেশ ভালো ব্যাখ্যা
করা যায়।
তা, হঠাৎ ভেবলেনের নরখাদকতা নিয়ে লেখার সঙ্গে অবসরভোগী
শ্রেণির অপচয় এবং জাহিরিপনার ভোগের কথা বলছি কেন? এই দুই বিষয়ের যোগ কী? সেই যোগ
নিয়েই এই লেখা। নরখাদকতার মতো বিকৃতরুচি ও নৈতিক ভ্রষ্টাচারের সপক্ষতা কেন করছেন,
কার্ল্টন শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের এই উদ্বিগ্ন প্রশ্নের উত্তরে তরুণ ভেবলেন দুঃসাহসী
উত্তর দিয়েছিলেন যে তিনি কেবল বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষণে ব্যাপৃত আছেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই ভেবলেন অবসরভোগী শ্রেণির অপচয়মূলক
ব্যয় ও নেত্রাকর্ষক ভোগের পর্যালোচনা করেছিলেন, এবং যৌক্তিক অনুমানে অবসরভোগী
শ্রেণির মধ্যে লুণ্ঠনপ্রবৃত্তির প্রাবল্যের কথা বলেছিলেন।৬ নইলে ভেবলেন নরখাদকতা বা কোনো একটি শ্রেণির অত্যধিক আর্থিক
সমৃদ্ধি কোনোটারই সমর্থক ছিলেন না, যদিও পুঁজিবাদ কথাটিই বা তার ইংরিজি রূপ এই
বইতে নেই।
আমরা,
সভ্য মানুষরা নরখাদকতার সমর্থক তো নইই, তাকে ঘেন্না করি! আমরা, সভ্য মানুষরা সব্বাই না হলেও অনেকেই উদার বলেই হয়তো
অর্থনৈতিক উদারনীতির সমর্থক। অর্থনৈতিক উদারনীতি পুঁজিবাদেরই শোভন, ভদ্র নাম। আমরা
ছোটোবেলা থেকে শিহরিত হয়ে শুনেছি যে আফ্রিকায় এবং অন্যত্র কিছু উপজাতিদের মধ্যে নাকি নরখাদক ছিল। বড় হয়ে শিউরে উঠে জেনেছি
যে আফ্রিকায়, ল্যাটিন আমেরিকায় এবং অন্যত্র নরখাদকতা নাকি আধুনিক যুগেও ছিল ও
অত্যাধুনিক কালেও আছে।
আমি
উপায়ান্তর না পেয়ে প্রাণরক্ষার জন্য নরমাংস ভক্ষণের কথা বলছি না! ১৮৮৪ সালে একটি
মামলায় জাহাজ ডুবি হওয়া ডাডলে এবং স্টিফেন্স রিচার্ড পার্কার নামের কোমায় থাকা
কেবিন বয়কে খেয়ে ফেলে ইংলণ্ডের কোর্টে আত্মরক্ষার যুক্তিতে ছাড় পান। আগে অবশ্য
তাঁরা লটারি করে’ হন্য/বধ্য বাছার চেষ্টা
করেছিলেন। কিন্তু তাতে সফল হননি। পরে চূড়ান্ত
ক্ষুধায় নিজেদের প্রস্রাব পান শুরু করার পর পার্কার কোমায় চলে যাওয়ায় গোল মিটে
যায়।৭ ১৮৪৬-৪৭ সালে মিসৌরির ইণ্ডিপেন্ডেন্স থেকে ওয়াগন ট্রেনে
ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়া ৮৭ জনের মার্কিন পুরোধার (Pioneer) ডনার পার্টির ৪৮জন(Donner Party) তুষারে আটকে যাওয়া সিয়েরা নিভাডায় নিজেদের মধ্যে
মরে’ যাওয়াদের খেয়েই বেঁচে ফেরেন। ১৯৭২ সালে উরুগুয়ের বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রী ৪৫
জনের মধ্যে যে ২৮জন বেঁচে অ্যান্ডিজের
হিমশৈলে আটকে পড়েন, তাঁরা দুর্ঘটনার দশম দিনে রেডিওতে তাঁদের জন্যে অনুসন্ধান বাদ
দেওয়া হয়েছে শুনে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁদের মধ্যে যাঁরা মরে যাবেন, বাকিরা
তাদের খেয়ে বাঁচবেন। আমি সেই নরখাদকতার কথা বলছি যেখানে
বিকল্প খাদ্য হিসেবে, অথবা হিংসা চরিতার্থ করতে মানুষ নরমাংস খায়।
এই ঐচ্ছিক অর্থে নরখাদকতা নাকি আধুনিক যুগে শুরু
হয়ে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক পেরিয়ে একেবারে হালে অবধি চলেছে। ক্যারিবিয়ান সাগরে
লেসার অ্যাণ্টিলিসের আইল্যান্ড ক্যারিব জনজাতির উপকথা/কিংবদন্তী সপ্তদশ শতাব্দীতে
নথিবদ্ধ করা শুরু হবার পর নরখাদক হিসেবে তাঁরা স্থায়ী (কু)খ্যাতি পান, অনেকটাই
কলম্বাসের (অ)কল্যাণে, যদিও এই উপকথাগুলির যথার্থতা এবং সাংস্কৃতিক বাস্তবতা
সম্বন্ধে প্রভূত বিতর্ক আছে। পর্যটক ও শখের নৃতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন যে দূর অতীতে নিউ গিনিতে, সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কোনো
কোনো অংশে, ফিজিদ্বীপপুঞ্জে, সেখান থেকে আমাজন জলনিম্নভূমি হয়ে কঙ্গো থেকে
নিউজিল্যাণ্ডের মাওরি জনজাতির মধ্যে, প্রাচীন ও রোম্যান ইজিপ্টে নরখাদকতা চালু ছিল। মেলানেশিয়ার কোনো কোনো অংশে নাকি নরমাংসের বাজার পর্যন্ত ছিল। সাম্প্রতিক কালে বহু যুদ্ধে
নরখাদকতা নাকি অনুশীলিত এবং ফলে নিন্দিত হয়েছে; যেমন লাইবেরিয়ায় ১৮৮০-র দশকের
প্রথম দিকে প্রথম ও দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধে, ও কঙ্গোর গণতান্ত্রিক রিপাবলিকের যুদ্ধে।
যুদ্ধের বাইরেও পাপুয়া নিউ গিনিতে ১৯১২ সালেও নরমাংস ভোজনের রিপোর্ট ছিল। বিভিন্ন
আচারিক এবং অন্যান্য কারণে মেলানেশিয়ার বিভিন্ন উপজাতির মধ্যেও।৮
আফ্রিকায় কিছু প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সম্বন্ধে নরখাদকতার গুজব আছে, যেমন
ইকোয়েটোরিয়াল নিউ গিনির টিওডোরো এনগুয়েমার (Teodoro Nguema) নাকি বিশেষ পছন্দ ছিল শত্রুদের অণ্ডকোষ;
সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন লাইবেরীয় রাষ্ট্রপতি চার্লস টেলরের (Charles Taylor) কথিতভাবে
পছন্দ ছিল শত্রুদের হৃদয়; সেণ্ট্রাল আফ্রিকান একনায়ক জাঁ বেদেল বোকাসা (Jean Bédel Bokasa) নাকি শত্রুদের ও প্রতিযোগীদের
দেহাংশ খেতেন ও পশুদের খাওয়াতেন; উগাণ্ডার ইদি আমিন (Idi Amin) নাকি শত্রুদের ও
প্রতিযোগীদের দেহাংশ খেয়ে আর পোষা কুমিরদের খাইয়ে মাথাগুলো ফ্রিজারে রাখতেন!৯
আমার এসব কথা কখনো পুরোপুরি বিশ্বাস হয় নি। কিন্তু ইউটিউবে ছড়িয়ে আছে তাঁদের ছবি! আন্তর্জালে ছড়িয়ে আছে তাঁদের কথা।
ওয়াশিংটন পোস্ট কাগজে এই ২০১৭-র ২৯শে আগস্ট খবর বেরিয়েছিল যে দক্ষিণ আফ্রিকায় এক
নরখাদক চক্রের সদস্য পুলিশ থানায় গিয়ে তিনি মানুষের মাংস খেয়ে ক্লান্ত বলে জানানোয়
ওই চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার হয়! এরও লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। চাইলে দেখতে পারেন।১০
তো,
ভেবলেনের মতো আমরাও নরখাদকতাকে ও নরখাদকদের ঘেন্না করি, যদিও বলা হয় যে বহু সমাজে
নরখাদকতা এক সাংস্কৃতিক নীতিমান। ঘেন্না করি এই জন্যে যে যে সাংস্কৃতিক
আপেক্ষিকতাবাদ বহুত্ববাদের ভিত্তি, তাকে নরখাদকতা চূড়ান্ত পরীক্ষার সামনে ফেলে। কিন্তু
এখবর রাখি তো, যে নরখাদকতার অভিযোগ অনেক সময়েই ‘মিথ’? মিথের কথা এজন্য বলছি যে
ক্রিস্টোফার কলম্বাস, যিনি ‘ক্যানিবালিজ্ম’ শব্দটির স্রষ্টা, যখন ১৪৯২ সালে
ক্যারিবিয়ানে প্রথম সমুদ্রযাত্রায় যান, তখন তিনি নেটিভ গাইডদের বলতে শুনেছিলেন, বা
বলা ভালো ভেবেছিলেন যে বলতে শুনেছিলেন, যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘ক্যানিবেল’ নামে এক
ভয়াবহ নরখাদক উপজাতি আছে। কলম্বাস এদের দেখেনই নি! নেটিভ গাইডরা সম্ভবতঃ
‘ক্যারিবেস’ (‘Caribs’)-দের কথা বলেছিল। আর কলম্বাস
দিব্যি তাঁর রিপোর্টে এদের কথা লিখে দিলেন। আরতার পর থেকেই ‘canibales’ শব্দটা ‘man-eating savage’-এর অর্থে ‘cannibalism’ হিসেবে ইউরোপীয় ভাষাগুলিতে তার দীর্ঘ যাত্রা শুরু করলো। শব্দটি
কাজের। কোনো জনগোষ্ঠীকে ক্যানিবাল বলে দেওয়া গেলে তার সম্পর্কে যে কোনো আচরণের,
নির্মূলীকরণ অবধি সভ্য সমাজের আর দায় থাকে না। Santiago Colás লিখেছেন, ‘শব্দটা পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে ইউরোপীয়দের
জন্যে কঠোর পরিশ্রম করেছিলো, আর নতুন পৃথিবীতে দেখা পাওয়া দেশি মানুষদের গণহত্যার
স্তরে বিধ্বংসের বুলিসর্বস্ব সমর্থনের ক্ষেত্রে বড় স্থান পেয়েছিল। সব কিছুর পর, এই
লোকগুলি যদি নরখাদক হয় তবে কী তারা সুরক্ষার অযোগ্য নয়? তাদের অব্যাহত অস্তিত্ব কি
দুই আমেরিকায় ইউরোপের সভ্যকারী ব্রতের পক্ষে ভীতিকর নয়? সেই দিক থেকে Colás-এর মতে নরখাদকতা নতুন পৃথিবীতে ইউরোপীয়দের ভুল নামকরণ
ও ইউরোপীয় সহিংসকতার দীর্ঘ বিষণ্ণ বিবাহের একটি উপাখ্যান বই ছাড়া আর কিছু না হয়ে
থাকতে পারে।’১১
Abdul
Said বর্ণিত প্রাচ্যবাদের
বাঁধা নিয়মে এর পর থেকে শিল্পে, সাহিত্যে নরখাদকতার উপাখ্যান বর্ণিল হতে থাকে।
থিওডর দ্য ব্রাই নিজের লেখায় যে ছবি দেন ১৫৫৭ সালে ব্রাজিলে হান্স স্টাডেনের
বন্দিত্বের বইতে চিত্র হিসেবে,১২ বা চার্লস ই গর্ডন ফ্রেজার
১৮৮৫-৮৯-র মধ্যে ভানুআতু-র তান্নাতে যে নরখাদক ভোজের ছবি আঁকেন,১৩
সেগুলো প্রায় ফোটোগ্রাফির মর্যাদায় ইউরোপীয়র
মত বাজারে বিকোতে থাকে।
এতে
করে’ চাপা পড়ে যায় নতুন পৃথিবীতে ইউরোপীয় এবং পরে আমেরিকার সভ্যতা বিস্তারের নামে
প্রাধান্য কায়েমের অনেক বড় অনেক নরখাদকতার গল্প। এই নরখাদকতার ‘trope’ কীভাবে সেই গল্পগুলোকে চাপা রেখে এগোতে দিয়েছে, সেই কথা পরের কিস্তিতে বলবো। তবে শুরু করবো
বদনামি আফ্রিকান রাষ্ট্রপতিদের বদনামের পিছনে কী ছিল তা দিয়ে।
গ্রন্থ/তথ্যসূত্র
১।The
Theory of the Leisure Class: An Economic
Study of American Institutions and a Social Critique of Conspicuous Consumption, 1880), অনলাইনে পিডিএফ
হিসেবেও পাবেন। http://moglen.law.columbia.edu/LCS/theoryleisureclass.pdf, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯ প্রবিষ্ট।
২। ‘The use of the term “waste” is in one
respect an unfortunate one. As used in the speech of everyday life the
word carries an undertone of deprecation. It is here used for want of a better
term that will adequately describe the same range of motives and of phenomena,
and it is not to be taken in an odious sense, as implying an illegitimate
expenditure of human products or of human life. In the view of economic theory
the expenditure in question is no more and no less legitimate than any other
expenditure’, তত্রত্য, পৃঃ ৪৬।
৩।‘It is here called “waste” because this expenditure does not serve human
life or human well-being on the whole,
not because it is waste or misdirection
of effort or expenditure as viewed from the standpoint of the individual
consumer who chooses it’, তত্রত্য, পৃঃ ৪৬।
৪। ‘wasteful consumption of goods, both as a
direct exponent of wealth and as an element in the standard of decency’,
তত্রত্য, পৃঃ ৪৩।
৫।‘So that however wasteful a given expenditure may be in reality, it must at
least have some colorable excuse in the way of an ostensible purpose’, তত্রত্য, পৃঃ ৪৪।
৬। ‘the leisure class of today is recruited from those who have been
successful in a pecuniary way, and who, therefore, are presumably endowed with
more than an even complement of the predatory traits’, তত্রত্য, পৃঃ ১০৮।
৭। A. W. Brian Simpson,Cannibalism and Common Law: A Victorian Yachting
Tragedy, originally published by the University of Chicago Press, 1884 (London:
The Hambledon Press, 1994/2003), passim।
৮। https://en.wikipedia.org/wiki/Human_cannibalism, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯ প্রবিষ্ট।
৯। https://www.youtube.com/watch?v=TS_ZDKMAw4I, ডিসেম্বর
২৯, ২০১৯ প্রবিষ্ট।
১০। (https://www.washingtonpost.com/news/morning-mix/wp/2017/08/29/5-arrested-in-alleged-south-africa-cannibalism-ring-after-man-walks-into-police-station-saying-hes-tired-of-eating-human-flesh/?utm_term=.fc68fb61ec4c), ডিসেম্বর ৩০,
২০১৯ প্রবিষ্ট।
১১। ‘The word did hard work for Europeans in the centuries that followed,
figuring prominently in the rhetorical justification for their genocidal
annihilation of the native peoples they encountered in the New World. After all
if these people were cannibals, humans who ate human beings, weren’t they
beyond salvation? Did not their continued existence threaten Europe’s
civilization mission in the Americas? Cannibalism might have been nothing more
than an episode in the long and sad marriage between European misnaming and
European violence in the New World’,Santiago Colás,‘From Caliban to Cronus: A
Critique of Cannibalism in Cuban Revolutionary Culture’ Kristen Guest, Eating Their Words: Cannibalism as the
Boundaries of Cultural Identity New York: SUNY Press, 2014), pp. 129-30.
১২। সূত্র Theodor de Bry - Own work, Photography by The Photographer, Public Domain,
https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=44893797, জানুয়ারি ১, ২০১৯ প্রবিষ্ট।
১৩।সূত্র Charles E. Gordon Frazer (1863-1899) - Bonhams, Public Domain,
https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=17330887), জানুয়ারি ১, ২০১৯ প্রবিষ্ট।
(ক্রমশ)
পড়লাম। জানলাম। গা কাঁটা দিল।
উত্তরমুছুন