কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

দেবলীনা চক্রবর্তী




অনুঘটক    
  

(১)

কোন কোন অসুখের কোন নাম হয় না 
হয় না নিরাময় - নেই প্রতিকার!
                                                                                    
(২)

 সমস্ত জানলা-কপাট খোলা প্রতিদিনের মতো,
 ঘরময় একটা দুঃখ বাতাস, সাথে নিয়ে এলো
 বহুদিনের পুরনো উপেক্ষার গন্ধ,
 সহ্য হয় না !

(৩)

জোয়ারে ভেসে আসা কাদামাটির তাল
ভাঙা-গড়া, ইচ্ছেমতো রঙ লেপে দেওয়া, তারপর বর্ষার প্রবল তোড়ে ধুয়ে যাওয়া,
ভাঙা হাত-মুখ আধবোজা চোখে চেয়ে থাকা!
পশ্চিমের ফিরে যাওয়া সূর্যের কাছে ভিক্ষা চাওয়া শুধু  দুমুঠো প্রগলভতা!

বাগান

প্রতিবারই শীত আসার আগে সমস্ত বাগান সেজে ওঠে, 
লাল-নীল-হলুদ-বেগুনী বাহারী কত রঙ!
রেশ থেকে যায়, 
পাতার মৃত্যু শোক পালনের মুহূর্তকাল আগে পর্যন্ত। 

জলের কাছে  

জলের কিনারা ঘেঁষে হেঁটেছি, 
 তবু ছুঁতে পারি নি-
কেননা শ্যাওলা রঙা আস্তরণ মৃণাল ছুঁয়েছে
 শালুক-পদ্ম দু’একটা যে যার মতো ফুটে আছে!

ছুটিতে 

একে অপরের থেকে ইচ্ছে করে সরে যাওয়া
রীতিমতো কঠিন
তবুও মাঝেমধ্যে মন, প্ররোচনা দেয় বৈকি!
যেমন আসন্ন শীতে, 
পরিযায়ী পাখিদের সারি উড়ে যাবে অন্য কোনো ঠিকানায় - আবার ফিরেও আসে ভিটে-মাটির টানে। 

শীতে

রূক্ষ - ঔজ্বল্যহীন 
শীতঘুম ভাঙে আঙুলের হালকা চাপে 
তারপর
কমলারঙা খোসা ছাড়িয়ে এক একটা কোয়া  
যেন এক একটা জন্ম 
 রসালো - শাঁসালো - আর তাজা গন্ধ!

আর শীতে স্বাদকোরকে জড়ানো,
সাদা দুধের ওপর গাঢ় খয়েরি রঙা তরল খেজুরী রসের মিঠা সম্বন্ধ।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন