আগুন
ঘোর কেটে গেলে আমার কি হবে ভাবতে ভাবতে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে
আতঙ্কে ওঠে সোমা। শারীরিক সম্পর্কটাই তো আমাদের সম্পর্কের ভিত। আমাদের এই সম্পর্কের নিয়তি নেই জেনেই তো ... এখন হঠাৎ করে কি হলো আমার! বাথরুমে গিয়ে বার বার গায়ে হাত বুলায় সে। আর কতদিন এই শরীর? তারপর এই সম্পর্কের পরিণতিই বা কি? এটাই বুঝি আমার নিয়তি! মনের মাঝে যুদ্ধ শুরু হয় সোমার। মাঝরাতে হঠাৎ দরজায় ঠকঠক, তারপর বারবার কলিংবেল বাজতে থাকে।
--কে এল এত রাতে? কে,
কে অমি ত না কি?
--হ্যাঁ, আমি।
--তুমি মাঝরাতে মাতাল হয়ে এসেছো? তুমি তো জান আমি একা থাকি?
-- জলের সাথে ভাব করতে এসেছি?
-- তোমার ঘোর কেটে গেলে আমার জীবন নদী হয়ে যাবে। আর এই কাঁটা শরীর, তার কি হবে?
-- বড্ড অচেনা লাগছে আজ তোমায়, সোমা।
--হা হা হা হা …
--হাসছ কেন?
--এমনি।
--কি চাই বলো।
-- আগুন।
--শরীর?
--সোমা আমার শরীর জানে, ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে তুমি শত শত প্রদীপ জ্বালিয়ে দাও ।
--আর না, এবার ফিরে যাও
লক্ষ্মীটি। আমি আর পারছি না।
--শরীরের মায়া কি শরীর ভোলে, সোমা?
--দোহাই লাগে, ফিরে যাও ... আর তাছাড়া আমি তোমার কে?
-- তুমি তো আমার সুখপাখি, সোমা। প্রতিটা রোমকুপ দিয়ে তুমি আমার ভেতরে ঢুকে আছো।
--আর মায়া?
-- গভীর মায়া তোমার শরীরের। কিছু সম্পর্কের কখনও নাম হয় না, সোমা । শরীর শুধু আলোকিত হয় ।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন