ফ্রম জেমস বন্ড, উইথ ইডিওলজি
পঞ্চম
পর্ব
পর্যটক
বন্ড
“Rather than seeing
the tales [of Bond] as a modernized version of the imperialist adventure tale,
it seems to me that their clearly imperialist and racist ideologies are
constructed through a narrative code of tourism…”
‘জেমস বন্ড অ্যাজ পপুলার হিরো’। লেখক টনি বেনেট। এই গ্রন্থে বেনেট চিহ্নিত
করেন কিভাবে বন্ড-কাহিনীর ন্যারেটিভ স্ট্রাকচারের ভিতরেই নিহিত রয়েছে
‘ideologies of sexism and imperialism’। তিনি বলেন বন্ডের গল্প এক ধরনের ‘ইম্পেরিয়ালিস্ট
অ্যাডভেঞ্চার টেল’। বেনেটের এই বক্তব্যের প্রতি মাইকেল ডেনিং একটি ছোট্ট সংশোধনী
আনেন। এই সংশোধনীটিই হচ্ছে উপরের ওই উদ্ধৃতিটি। ট্রাভেল এবং ট্যুরিজম।
বন্ড-থ্রিলারের অন্যতম মুখ্য আকর্ষণ। গোল্ডফিঙ্গারের সাথে বন্ডের শেষ সংঘর্ষ একটি BOAC এয়ারলাইনের মধ্যে হয়। ‘ফ্রম রাশিয়া, উইথ লাভ’ গল্পের গতিময় ক্লাইম্যাক্স বিখ্যাত
ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘটিত হয়। প্রায় সমস্ত বন্ড-কাহিনীতেই বন্ডের ট্রেন ও
প্লেন-যাত্রার বিশদ বিবরণ আছে। এর একটা সম্ভাব্য কারণ উম্বার্তো একো আবিষ্কার করেছেন।
একো’র মতে বন্ডের এই ‘জার্নি’ অন্যতম মুখ্য ‘প্লে সিচুয়েশন্স’। এছাড়াও, ট্রাভেলের
সঙ্গে পপুলার লিটারেচারের এক অদ্ভুত সম্পর্ক আছে, আত্মিক সম্পর্ক। অবিচ্ছেদ্য সে
সম্পর্ক। পপুলার লিটারেচারকে ‘টাইম পাস’-এর উপাদান ধরা হয়। অনেক সময়েই দেখা যায় এই
ধারার গল্পের পাঠকেরা নিজেরাও বাস্তবে কোথাও যাচ্ছে, এবং যাত্রাকালে এই ধরনের গল্প
পাঠ করছে। গল্পের নায়কের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পাঠকের কর্মকাণ্ডের এই সমীকরণ পাঠককেও
একপ্রকার নায়ক বানায়। তারা আরও বেশি আকর্ষিত হয় গল্পের প্রতি। যাত্রাপথে পপুলার
লিটারেচার পাঠের এই বাস্তব অভ্যাস বন্ডের গল্পের মধ্যেও দেখা যায়: ‘ফ্রম রাশিয়া, উইথ লাভ’ গল্পে
বিমানে ইস্তানবুল যাওয়ার সময়ে বন্ডকে এরিখ অ্যাম্বলার-এর ‘দ্য মাস্ক অফ
দিমিত্রিয়োস’ পড়তে দেখা যায়।
‘মুনরেকার’ ছাড়া বন্ডের সমস্ত
গল্পের পটভূমি কোন বিদেশী ‘এগ্জটিক লোকেলস’। শুধুমাত্র ‘মুনরেকার’-এর ঘটনাবলী
ইংল্যান্ডের মাটিতে সংঘটিত হয়। পটভূমি হিসেবে বিদেশী ‘এগ্জটিক লোকেলস’ নির্বাচনের
যথাযথ কারণ আছে: যুদ্ধ-পরবর্তী বইয়ের বাজারের অবস্থান পরিবর্তন। জন
সাদারল্যান্ড-এর বক্তব্য অনুযায়ী যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ফিকশনের প্রধান চাহিদা ছিল
অ্যাংলোফোন সমাজে। যার ফলস্বরূপ সবাই
আন্তর্জাতিক ‘সেটিং’-এ গল্প লিখতে উৎসাহী হয়ে ওঠে— গ্রীন থেকে ফ্লেমিং।
যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পতন ও ডিকলোনাইজেশন শুরু হয়। ফলত
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ হেজিমনির বিনাশ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বের
সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল থেকে ব্রিটেনের বিচ্যুতি ঘটে। এর প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে
ইংল্যান্ডের পর্যটনভূমি অ্যাডভেঞ্চার ফিকশনের পটভূমি হিসেবে ‘মার্জিনালাইজড’ হয়ে
পড়ে। এই প্রেক্ষিত থেকে ফ্লেমিং-এর ট্রাভেল-বিবরণী দেখা যাক খুঁটিয়ে, ভালো ভাবে।
এখানেও, বিভিন্ন খেলার বিবরণীর মতোই, কনজিউমার সমাজের ডিসকোর্সকে মান্যতা দেওয়া
হয়েছে, বুর্জোয়া ভোগবাদের ধ্বজা ওড়ানো হয়েছে। ‘ফ্রম
রাশিয়া, উইথ লাভ’-এ পর্যটক বন্ডের চোখে
ইস্তানবুল দর্শনের বিবরণ পাওয়া যায়। অনুপম এই বর্ণনা। কিন্তু অবশ্যম্ভাবী ভাবে এ
এক বুর্জোয়া পর্যটকের দৃষ্টিভঙ্গি:
“Bond got out of bed,
drew back the heavy plush red curtains and leant on the iron balustrade and
looked out over one of the most famous view in the world— on his right the
still waters of the Golden Horn, on his left the dancing waves of the
unsheltered Bosphorus, and, in between, the tumbling roofs, soaring minarets
and crouching mosques of Pera. After all, his choice had been good. The view
made up for many bedbugs and much discomfort.”
এ একজন সর্বসুবিধা
প্রাপ্ত এলিট, এবং বুর্জোয়া ধনী পর্যটকের সর্বোৎকৃষ্ট অভিজ্ঞতার বর্ণনা ছাড়া আর কিছুই
নয়:
“…the moment of relaxed visual contemplation from above, leaning on the
balustrade; the aesthetic reduction of a social entity, the city, to a natural
object, coterminous with the waves of the sea; the calculations of the
tourist’s economy, exchanging physical discomfort for a more ‘authentic’ view;
and the satisfaction at having made the right exchange, having ‘got’ the
experience, possessed the ‘view’.”
পর্যটন-বিবরণীর
সাহায্যে, পর্যটকের দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে, ফ্লেমিং নিজস্ব এক ‘ওয়ার্ল্ড সিস্টেম’
তৈরি করে। এই ‘ওয়ার্ল্ড সিস্টেম’ কোল্ড ওয়ার এবং ইম্পেরিয়ালিস্ট ইডিওলজির উপর
ভিত্তি করে গঠিত, কিন্তু পুরো মাত্রায় কোল্ড ওয়ার ও ইম্পেরিয়ালিস্ট বিশ্বের
পরিসীমায় আবদ্ধ নয়: বন্ড-কাহিনীর পটভূমি পূর্ব ও পশ্চিমের ঠাণ্ডা যুদ্ধের অক্ষরেখা
এবং ব্রিটিশ মেট্রোপলিস ও ব্রিটিশ উপনিবেশের সাম্রাজ্যবাদী অক্ষরেখায় নিজেকে বেঁধে
রাখে না। বরং বন্ড-কাহিনীর পটভূমি হচ্ছে ‘প্লেজার পেরিফেরি’— লুই টার্নার ও জন
অ্যাশ-এর ভাষা অনুযায়ী। এই ‘প্লেজার পেরিফেরি’ হল সেই সব পর্যটনক্ষেত্র যেগুলি
মেডিটারেনিয়ান, ক্যারিবিয়ান, ফিলিপাইন্স, হংকং, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি
ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড অঞ্চলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। এই সব জায়গার বেশিরভাগই
পর্যটন-ব্যবসার মাধ্যমে গড়ে ওঠা ‘নিও-কলোনিয়ালিজম’-এর কেন্দ্রবিন্দু, এবং অনেকাংশে
‘নিও-কলোনিয়ালিজম’-এর উপরে নির্ভরশীলও বটে।
ফ্লেমিং-এর গল্পে ট্রাভেল ও ট্যুরের
ব্যবহারের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। পর্যটনের মাধ্যমে বন্ড অন্য একটি
নন-ক্যাপিটালিস্ট, বা নন-মনোপলি ক্যাপিটালিস্ট দেশের ও তার ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত
হয়, তার শিরায়-উপশিরায় প্রবেশ করে একজন গুপ্তচর হিসেবে, এবং খুঁজে বার করে নগ্ন
করে তার গোপন ক্ষতস্থানগুলি। সেই চিহ্নিত অন্ধকার জগতের খুঁটিনাটির ছবি উন্মোচিত
করে। এবং এর মাধ্যমে সেই নন-ওয়েস্টার্ন, নন-ক্যাপিটালিস্ট দেশের অবমাননা ঘটায়, ওই
‘সিস্টেম’কে নঞর্থক রূপে পরিবেশন করে। এই পদ্ধতি মেনে মিস্টার বিগ-এর হারলেম,
ডক্টর নো-এর জামাইকা এবং কেরিমের ইস্তানবুল-এর অন্ধকারাচ্ছন্ন ছবি সামনে আসে। এই
রকম অন্ধকারময় পরিবেশেই বন্ডের সঙ্গে খলনায়কদের লড়াই হয়। উম্বার্তো একো দেখিয়েছেন
যে বন্ডের ভিলেনরা, অদ্ভুত ভাবে, মূলত সবাই প্রায় একই রকম। ধোঁয়াটে অতীত থেকে উঠে
আসা মিশ্র রক্তের, অস্বাভাবিক যৌনতা-বিশিষ্ট, এবং শারীরিক ভাবে দানবীয়। তবে এই একই
অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে খলনায়কদের পাশাপাশি বন্ডের অসাধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন
সহকারীরাও আছে— ‘ডক্টর নো’ গল্পের ক্যুয়ারেল এবং ‘ফ্রম রাশিয়া, উইথ লাভ’ গল্পের
কেরিম। এদের হাত ধরেই বন্ড নন-ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতির গহনে প্রবেশ করে এবং খলনায়কদের
তাদের নিজভূমে বধ করতে সফল হয়। ডার্কো কেরিম তুর্কী ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সংযোগ
সাধনকারী। কেরিমের বাবা একজন তুর্কী আর মা ব্রিটিশ, কেরিম নিজে ব্রিটিশ সিক্রেট
সার্ভিসের ইস্তানবুল অফিসের কর্ণধার। ইস্তানবুল অঞ্চল সম্বন্ধে কেরিমের জ্ঞান
প্রখর। সে বন্ডকে রুশ ঘাঁটিগুলির সঙ্গে পরিচিত করে। পাশাপাশি ইস্তানবুলের বিভিন্ন
ক্লাব এবং তভোঁগুলোরও পরিচিতি ঘটায়। এরকমই এক স্থানে— এক জিপসি রেস্তোরাঁয়— বন্ড
দুই জিপসি মহিলার যুদ্ধের সাক্ষী থাকে। সেখানে কেরিম বন্ডকে বলে:
“It
will not be for the squeamish, but it will be a remarkable affair. It is a
great privilege that we may be present. You understand? We are gajos [foreigners]. You will forget your
sense of proprieties? You will not interfere? They will kill you, and possibly
me, if you did.”
একজন বিদেশী হয়েও বন্ড
এই ঘটনার সাক্ষী থাকার ‘প্রিভিলেজ’ প্রাপ্ত। এখানেই বন্ড অন্য সমস্ত সাধারণ
পর্যটকের থেকে আলাদা, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। বন্ড সাক্ষী হতে পারে ওখানকার পুরনো ও
নিখাদ দেশীয় সংস্কৃতির। এই অ-পশ্চিমী সংস্কৃতি পশ্চিমী দেশের কাছে অশুদ্ধ,
‘ইম্পিয়োর’। এই সংস্কৃতি কলঙ্কময়। এখানেও বন্ড এক ইডিওলজির ধারক ও বাহক হিসাবে কাজ
করে।
এই ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ, এই
ধরনের অস্বাভাবিক স্বভাববিশিষ্ট খলনায়কেরা অশনি সঙ্কেত বহন করে বন্ডের জন্যে,
ইংল্যান্ডের জন্যে, অথবা পশ্চিমী ঔপনিবেশিক মানসিকতা সম্পন্ন দেশগুলির জন্যে। এরা
পশ্চিমী পর্যটকদের জন্যেও বিপদের সঙ্কেত দেয়। কারণ ডিকলোনাইজেশন। কারণ ‘তৃতীয়
বিশ্বের’ নিজস্ব সত্তাবিশিষ্ট চরিত্র গঠন। সমগ্র এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা
জুড়ে মুক্তি-আন্দোলনের মাধ্যমে ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ স্বতন্ত্র সত্তা অর্জন করেছে।
ফ্রাঞ্জ ফেনন লিখেছেন ডিকলোনাইজেশনের ফলে তৃতীয় বিশ্বের মানসিক গঠনে এক বিরাট পরিবর্তন
আসে, এবং তা হল: “reversal of the
look, the refusal to be the object of the colonizer’s gaze”। এবং এটাই একজন
পর্যটকের কাছে হয়ে ওঠে দুশ্চিন্তার কারণ, ভয়ের হেতু। ‘লিভ অ্যান্ড লেট ডাই’ গল্পে
ফেলিক্স লিটার, বন্ডের আমেরিকান সহকারী, বন্ডকে বলে:
“Harlem’s
a bit changed these days...Harlem doesn’t like being stared at anymore.”
কিছুক্ষণ বাদে বন্ড
নিজেও লিটারের কথার সত্যতা বুঝতে পারে:
“Bond suddenly felt
the force of what Leiter had told him. They were trespassing. They just weren’t
wanted.”
এই অপ্রয়োজনীয় উৎসাহ,
এই অনধিকার প্রবেশ, এই নিয়ম-ভাঙ্গা মানসিকতা, এই অবমাননাকর দৃষ্টিভঙ্গি— এসবের
অদৃশ্য, অজানা ফলাফলের ভয় বোধহয় ‘য়্যুবারমেন্স’
বন্ডের শিরদাঁড়া দিয়েও প্রবাহিত হয়।
ঔপনিবেশিকতাবাদী পশ্চিমী রাষ্ট্র ও
তার অধিবাসীরা স্বাধীন অ-পশ্চিমী ও স্বতন্ত্র তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রে প্রয়োজনীয়
নয়, কাম্য নয়। পশ্চিমী রাষ্ট্রের স্বভাবগত নাকউঁচু মানসিকতা, অসম দৃষ্টিভঙ্গি,
বলপূর্বক স্বাধীনতা-হরণ, লাগামছাড়া অপমান ও অত্যাচার তাদের মধ্যে রাগের বীজ বপন
করেছে দীর্ঘদিন ধরেই। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এবং ডিকলোনাইজেশনের যুগে পরিস্থিতির
পরিবর্তন ঘটে। অ-পশ্চিমী ও তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র ঔপনিবেশিকতাবাদী পশ্চিমী
রাষ্ট্রের নিজভূমে ঢুকে তাকে আক্রমণ করার ধৃষ্টতা দেখায় এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে;
ক্ষমতাও রাখে। এটা ‘ফ্রম
রাশিয়া, উইথ লাভ’ গল্পে স্পষ্টভাবে
প্রতিষ্ঠিত। এখানে বন্ড লুণ্ঠিত ধন নিয়ে নিজভূমে ফিরছে, এবং ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস
পূর্ব-ইউরোপ ছাড়িয়ে ‘ফ্রি ওয়ার্ল্ড’-এর দেশে ঢোকার পরে সে অনেকটা নিশ্চিন্ত বোধ
করে। কিন্তু বন্ডের তথাকথিত ‘নিজভূমে’ ঢোকার পরে তার সহযোগী ডার্কো কেরিম
শত্রুপক্ষের আক্রমণে মারা যায়। বন্ড নিজেও আক্রান্ত হয়। যদিও এই যাত্রা সে রক্ষা
পায়— রেড গ্রান্টকে সে হত্যা করে— কিন্তু পশ্চিমী রাষ্ট্র প্যারিসের মাটিতে রোজা
ক্লাব তাকে আবার আক্রমণ করে এবং সম্ভবত বন্ডের মৃত্যু ঘটে। এই সমগ্র ঘটনাবলীর
মধ্যে অবশ্য বন্ডের সঙ্গে গ্রীক এপিক নায়ক ওডিসিয়াসের এক অদ্ভুত সাদৃশ্য আছে—
ওডিসিয়াসও যুদ্ধে জয়লাভ করে লুণ্ঠিত ধন নিয়ে নিজভূমি ইথাকায় ফেরার পরে শত্রুপক্ষের
দ্বারা আক্রান্ত হয়। তবে গুরুত্বের বিচারে, গাম্ভীর্যের বিচারে এই এপিক
অ্যানালজিকে এক ধরনের ক্যারিকেচার বলে মনে হয়। গুরুত্বহীন এই মহাকাব্যিক সমীকরণকে
ছাপিয়ে বেশি গুরুত্ব ছিনিয়ে নেয় বন্ডের নিজভূমি পশ্চিমী ক্যাপিটালিস্ট রাষ্ট্রে
তার উপর প্রাচ্যের কম্যুনিস্ট রাষ্ট্র দ্বারা আক্রমণের ধৃষ্টতা এবং বন্ডের
সম্ভাব্য পতনের কাহিনী। ফ্লেমিং অজান্তে, আনমনে কি সাম্রাজ্যবাদ, ভোগবাদ, বুর্জোয়া
তন্ত্রের আগত পতনের দিকে ইঙ্গিত করে ফেলেছেন? এই আসন্ন পতনের আশঙ্কা কি কোনো শিহরণ
জাগায় না? এই কাহিনী কি সাম্রাজ্যবাদ, ভোগবাদ, বুর্জোয়া তন্ত্রের প্রতি অজান্তে এক
চরম চাবুক-প্রহার হয়ে ওঠে না? নাকি, এই গল্পের এই প্রকার পরিশেষ জেমস বন্ডের
পরবর্তী গল্পের সূচনার ইঙ্গিত দেয় যেখানে অবশ্যম্ভাবী ভাবে বন্ড আবার সেই একই
‘মিশন’-এ যাবে যার মূল উদ্দেশ্য “putting England [or,
all Western countries] back on top”?
গ্রন্থসূত্র
1) John Sutherland. Fiction and the Fiction Industry. The Athlone
Press. London, 1978.
2) Michael Denning. ‘Licensed to
Look’.
3) Louis Turner and John Ash. The Golden Hordes: International Tourism
and the Pleasure Periphery. Constable. London, 1975.
4) Quoted in Michael Denning. ‘Licensed to Look’.
5) Ian Fleming. Live and Let Die. Pan Books.
London, 1957. p. 41.
6) Annette Kuhn. ‘The Body in the
Machine’. Women's Pictures: Feminism and Cinema. p. 113.
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন