মোহকাল
এ পথেই বসে থাকি
অনন্ত ঋতুকাল। মৃত পাথরের মতো তরঙ্গহীন, অভিশপ্ত পাখির নিদ্রাহীন আয়তচোখে
তীরকাঁটা বিঁধে আছে শূন্য কোরটিতে। ঝুলে আছে স্তব্ধতার ইতিহাস। এমনই
এক অচেনা দূরত্বের মাঝে সরল হেলেঞ্চার মতো তিক্ষন মনোযোগ দানা বাঁধে দু’চোখের দৃষ্টি! অথচ আমরা দুজনই জানি এ দূরত্বের মোহকাল ঘুচবেনা কখনো আর। হে মীন! আমাকে তমসা দাও। তোমার
জাল ফেলেছো বাসনা তীরে। এ নষ্ট মাটির দেহ বশ্যতা মানেনি কোন শূন্যতার লেহনেও। এই মানব জীবন আমার, মুক্তি
পাক তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে। জয় হোক
ভয়ের সম্মোহনের। ভ্রান্তিকালে
হাহাকারের মাঝে।
মিথ
এমনি ঘোর চৈত্রমাসে ভেঙে পড়ে
মাটির আদিম অন্ধকার। গ্রীবার
আড়ালে আগুনের ডিলিউসন। সেলুলয়েড ককটেলে ঢল নামায়
প্রগলভতা! ভেঙেচুড়ে আসে গেরুয়া। রামকিঙ্করের স্কাল্পচারস। আর দালির সারিয়াল পেইন্টিংসে গলে গলে পড়ে যত আন্দোলুসিয়ান ঘড়ি। প্রাচীন মোহনায়
জলস্রোত থির হয়। মডার্ন উপমার মোটা দাগে চাঁপা পড়ে নারীর ক্রীতদাসত্বে। ভরা জ্যোৎস্নায় স্মৃতিমাখে ওম। এতো যে প্রবল ক্রোধ এ তরঙ্গমালায়, তবু তো নদীতে চীবর গায়ে শ্বেত আঁকে বালিহাঁস।
অবিরাম কণ্টকের গায়ে শুয়ে থাকে লিরিক্যাল সহবাস। তারই সাথে বেহালা বাজায় বেহায়াশোক! কত যে নিদারুণ সে যাতনা। এমনি আমুল বিষাদমাখা ঠা ঠা রোদে শুকায় নারীর সব সন্তাপ।
সিসিফাস
দেয়ালের গভীর ফাটলে লুকিয়েছিলো সভ্যতার ধ্বসে যাওয়া
স্তুপ, বাস্তুহারা শামুকের খোলস আর কিছুটা সেলুলয়েডে মোড়ানো ছেঁড়াখোঁড়া ক্যানভাস! উন্মোচিত
হওয়া এন্থোপোলোজিতে চিন্তার পারদ ছড়ানো বিস্ময়। তবু আজও হেমন্তের স্নিগ্ধতা জাগায়
আমার অরণ্য মনে তোমার সেই নিঃসীম নৈঃশব্দ্য, সিসিফাস! পাইনবনের গহীন মাঝে শুনি এখনো কিছু পাতার ব্যাকুল ঝরে পড়ার
মর্মর শব্দ। আকাশের তারার মতো ফুটে থাকে সেইসব চিরশ্যাম তরু আর থোকা থোকা ঘাসফুল
ছায়া ফেলে গ্ল্যাসিয়ারে। আর জন্মের বিস্মৃত স্মৃতিফলক ফেলে গেছি তোমার কাছে
সিসিফাস! নিষ্ঠুর পর্বতচূড়া থেকে গড়িয়ে
পড়ে এখনো আমার সব নিষ্ফল প্রাপ্তি, আশা জাগানিয়া নিদারুণ সেই পাথর খণ্ড। আর তুমি?
অযুত বৎসর ধরে বহন করে চলেছো আমারই আঁধার
ভবিষ্যৎ!
জাস্ট ওসাম। দীর্ঘদিন পর আপনার লেখা পড়লাম আবার। কিছু বলবার নেই। জাস্ট অসাধারণ।
উত্তরমুছুনপাঠসঙ্গী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ শাপলা !
মুছুন