মেয়েটা
রুচিস্মিতা ঘোষ
মেয়েটা খুব কাছের। তবু চিনতে পারি না। শান্ত, লাজুক, মুখচোরা। ছিপছিপে, ছোটখাটো চেহারা। লাবণ্যে ঢলঢল।
চোখের সামনেই বড় হলো। দেখতে দেখতে কিশোরী... যুবতী... আমারই সামনে।
কথাই বলে না! দেখা হলে শুধু মুচকি হাসে। খুব জানতে ইচ্ছে করে, মেয়েটা কি সত্যিই বড় হলো? প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম মেনে প্রেম কি নিঃশব্দে এলো ওর জীবনে? চুপিচুপি পা রাখলো ওর মনে? হাত বাড়ালো শরীরে?
--‘ও মেয়ে, কথা বলিস না কেন তুই?’
--‘ও মেয়ে, তুই কি আমারই মতো তোর মনের কথা জানাতে পারবি না তোর ভালো লাগার মানুষকে? কেন রে, তুই তো এ যুগের মেয়ে! তোদের জীবনে প্রেম আসে সশব্দে... সকলকে জানান দিয়ে...’
--‘ও মেয়ে, ফেসবুক-ফ্রেন্ড নেই তোর? চ্যাট করিস না?’
প্রশ্নের পর প্রশ্ন শুধু ঘুরপাক খায় মনে। আগ্রহ কৌতূহল আমাকে অশান্ত করে তোলে। নিস্তরঙ্গ পুকুরে বাতাস লেগেও তো ঢেউ ওঠে! সূর্যের আলোয় বিচিত্র হয়ে ওঠে জলের রঙ! কিশোরী থেকে যুবতী হয়ে ওঠার মাঝখানে একটি মেয়েই যে শুধু পারে রূপকথার প্রদীপ জ্বেলে রাখতে! বড় কষ্ট হয় মেয়েটার জন্য। এক আশ্চর্য মায়া!
ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই মেয়েকে। সে অ্যাক্সেপ্ট করে।
ফেসবুকে তার মনের কথা জানতে পারি। আমি একা তো আর তার বন্ধু নই! তার যে অনেক বন্ধু। মনের কথা জানায় মেয়ে। তার একাকীত্বের কথা... ভালোবাসার কথা... ভাঙা প্রেমের কথা... সোজাসুজি না হলেও সব ফুটে ওঠে অন্ধকার কেটে সকাল হওয়ার মতো।
এক এক করে ফেসবুকে জেগে ওঠে তার তীব্র দহন... আকাঙ্ক্ষা... স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনার কথা...
ফেসবুক জুড়ে তার অনুভব কাঁদায় আমাকে, হাসিতে ভরিয়ে রাখে।
ফেসবুকে কখনও মেয়ের হাসি চলকে ওঠে, চঞ্চল হয় সে—
কখনও শান্ত... একা... নিঝুম...
কখনও কান্না ঝরে পড়ে...
--‘ও মেয়ে, তোর জীবনের স্পন্দনই তো শুনতে চেয়েছিলাম!’
--‘ও মেয়ে, তুই ভালো থাকিস!’
রুচিস্মিতা ঘোষ
মেয়েটা খুব কাছের। তবু চিনতে পারি না। শান্ত, লাজুক, মুখচোরা। ছিপছিপে, ছোটখাটো চেহারা। লাবণ্যে ঢলঢল।
চোখের সামনেই বড় হলো। দেখতে দেখতে কিশোরী... যুবতী... আমারই সামনে।
কথাই বলে না! দেখা হলে শুধু মুচকি হাসে। খুব জানতে ইচ্ছে করে, মেয়েটা কি সত্যিই বড় হলো? প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম মেনে প্রেম কি নিঃশব্দে এলো ওর জীবনে? চুপিচুপি পা রাখলো ওর মনে? হাত বাড়ালো শরীরে?
--‘ও মেয়ে, কথা বলিস না কেন তুই?’
--‘ও মেয়ে, তুই কি আমারই মতো তোর মনের কথা জানাতে পারবি না তোর ভালো লাগার মানুষকে? কেন রে, তুই তো এ যুগের মেয়ে! তোদের জীবনে প্রেম আসে সশব্দে... সকলকে জানান দিয়ে...’
--‘ও মেয়ে, ফেসবুক-ফ্রেন্ড নেই তোর? চ্যাট করিস না?’
প্রশ্নের পর প্রশ্ন শুধু ঘুরপাক খায় মনে। আগ্রহ কৌতূহল আমাকে অশান্ত করে তোলে। নিস্তরঙ্গ পুকুরে বাতাস লেগেও তো ঢেউ ওঠে! সূর্যের আলোয় বিচিত্র হয়ে ওঠে জলের রঙ! কিশোরী থেকে যুবতী হয়ে ওঠার মাঝখানে একটি মেয়েই যে শুধু পারে রূপকথার প্রদীপ জ্বেলে রাখতে! বড় কষ্ট হয় মেয়েটার জন্য। এক আশ্চর্য মায়া!
ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই মেয়েকে। সে অ্যাক্সেপ্ট করে।
ফেসবুকে তার মনের কথা জানতে পারি। আমি একা তো আর তার বন্ধু নই! তার যে অনেক বন্ধু। মনের কথা জানায় মেয়ে। তার একাকীত্বের কথা... ভালোবাসার কথা... ভাঙা প্রেমের কথা... সোজাসুজি না হলেও সব ফুটে ওঠে অন্ধকার কেটে সকাল হওয়ার মতো।
এক এক করে ফেসবুকে জেগে ওঠে তার তীব্র দহন... আকাঙ্ক্ষা... স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনার কথা...
ফেসবুক জুড়ে তার অনুভব কাঁদায় আমাকে, হাসিতে ভরিয়ে রাখে।
ফেসবুকে কখনও মেয়ের হাসি চলকে ওঠে, চঞ্চল হয় সে—
কখনও শান্ত... একা... নিঝুম...
কখনও কান্না ঝরে পড়ে...
--‘ও মেয়ে, তোর জীবনের স্পন্দনই তো শুনতে চেয়েছিলাম!’
--‘ও মেয়ে, তুই ভালো থাকিস!’
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন