আয়না
রুণা বন্দ্যোপাধ্যায়
লক্ষ্যহীন। বহুদিন। উদ্দেশ্য বিধেয়রা হারিয়ে গেছে, নয়ত শহীদ। কলিংবেল।
--আরে, মিঃ এন্ড মিসেস সান্যাল, আপনারা দুজনেই আজ আমাদের গরিবখানায়! কী ভাগ্য আমাদের!
--আরে, না না, কী যে বলেন মিসেস রায়! আপনার মতো ঘরণী যেখানে, সে ঘর কি আর গরিবখানা হতে পারে!
নিখুঁত সলজ্জ হাসির আভাস ফুটিয়ে তুলি মুখে। কাটগ্লাসের সুদৃশ্য গ্লাসে চিল্ড লেমন্ ওয়াটার সার্ভ করি। গ্লাসের গায়ে বিন্দু বিন্দু জলের নির্লজ্জ চাহনি।
--জানেন মিসেস রায়, রিপাপ্লিক ডে-তে মিঃ রায়, শর্মা, আরো কয়েকজন আমার বাড়িতে দু’পাত্তর নিয়ে বসেছিলাম। মিঃ রায় তো আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
মিসেস সান্যাল একটু আদুরে গলায় –- আমার কিন্তু ভাই বেশ একটু হিংসে হচ্ছিল।
মিঃ সান্যাল আবার -- স্বামী পুত্র নিয়ে এই যে সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন, দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। নিউ জেনারেশানে আজকাল তো প্রায়ই দেখি আজ প্রেম, কাল বিয়ে তো পরশুই ডিভোর্স।
দেখানো গর্বের আঁচে আমার গালদুটো আরো একটু লাল হয়ে ওঠে।
রাতের মেঘেরা এমন বিষণ্ণ কেন? আলো আলো করে কাঁদে, নাকি আমারই ছায়া নিয়ে ভাসে!
শান্ত্বনুর আদুরে আঙুল আমার পিঠময় ঘুরে বেড়ায় –- এই, এদিকে ফেরো না
--না, আমার ইচ্ছে নেই আজ
আদুরে আঙুলগুলো মুঠি পাকিয়ে যায়। পিঠ থেকে ক্রমশ বুকের কাছে।
--এসো বলছি
--প্লিজ শান্ত্বনু, আমার আজ সত্যি ইচ্ছে করছে না
স্বর আর মুঠির কঠিন টানে বুকের কাছ থেকে ছিঁড়ে যায় পাতলা নাইটি।
স্খলিত শান্ত্বনু পাশ ফিরে শোয়। আমি ছেঁড়া নাইটি বুকের কাছে জড়ো করে উঠে যাই এটাচ্ড বাথরুমে। নাইটিটা টুকরো টুকরো করে প্রবল ঘৃণায় ফেলে দিই টয়লেট ডাস্টবিনে। সারা গায়ে লিকুইড ডাভ উপুড় করে ঘষতে থাকি। ঘষতেই থাকি--
--সব দাগ মুছে ফেলতে হবে। সব চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করতে হবে। না হলে তাতাইকে কোলে নেবো কী করে?
বাথটাব থেকে উঠে বিশাল আয়নার সামনে দাঁড়াই, নগ্ন আমি। খিল খিল হেসে ওঠে আয়না।
--সব দাগ মোছা যায় না রে পাগলী মেয়ে!
আমার ম্যানিকিয়র্ড নেলপলিশ্ড নখ আঁচড়াতে থাকে সারা শরীর। আমার জিভ, ঠোঁট, স্তনবৃন্তে রক্তের আভাস। আয়নাটা হঠাৎ দুলে ওঠে। দুলতে দুলতে ক্রমশ ছোট হতে থাকে। চেনা হাত পা মুখের আদল ফুটে উঠতে থাকে। তাতাই ঝাঁপ দিয়ে পড়ে আমার কোলে। ওর কোমল স্পর্শে একটা একটা করে মুছে যেতে থাকে সব ধর্ষণচিহ্ন।
আমি আর একটা ধোওয়া নাইটি পড়ে আবার ফিরে যাই আমাদের বেডরুমে।
লক্ষ্যহীন। বহুদিন। উদ্দেশ্য বিধেয়রা হারিয়ে গেছে, নয়ত শহীদ। কলিংবেল।
--আরে, মিঃ এন্ড মিসেস সান্যাল, আপনারা দুজনেই আজ আমাদের গরিবখানায়! কী ভাগ্য আমাদের!
--আরে, না না, কী যে বলেন মিসেস রায়! আপনার মতো ঘরণী যেখানে, সে ঘর কি আর গরিবখানা হতে পারে!
নিখুঁত সলজ্জ হাসির আভাস ফুটিয়ে তুলি মুখে। কাটগ্লাসের সুদৃশ্য গ্লাসে চিল্ড লেমন্ ওয়াটার সার্ভ করি। গ্লাসের গায়ে বিন্দু বিন্দু জলের নির্লজ্জ চাহনি।
--জানেন মিসেস রায়, রিপাপ্লিক ডে-তে মিঃ রায়, শর্মা, আরো কয়েকজন আমার বাড়িতে দু’পাত্তর নিয়ে বসেছিলাম। মিঃ রায় তো আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
মিসেস সান্যাল একটু আদুরে গলায় –- আমার কিন্তু ভাই বেশ একটু হিংসে হচ্ছিল।
মিঃ সান্যাল আবার -- স্বামী পুত্র নিয়ে এই যে সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন, দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। নিউ জেনারেশানে আজকাল তো প্রায়ই দেখি আজ প্রেম, কাল বিয়ে তো পরশুই ডিভোর্স।
দেখানো গর্বের আঁচে আমার গালদুটো আরো একটু লাল হয়ে ওঠে।
রাতের মেঘেরা এমন বিষণ্ণ কেন? আলো আলো করে কাঁদে, নাকি আমারই ছায়া নিয়ে ভাসে!
শান্ত্বনুর আদুরে আঙুল আমার পিঠময় ঘুরে বেড়ায় –- এই, এদিকে ফেরো না
--না, আমার ইচ্ছে নেই আজ
আদুরে আঙুলগুলো মুঠি পাকিয়ে যায়। পিঠ থেকে ক্রমশ বুকের কাছে।
--এসো বলছি
--প্লিজ শান্ত্বনু, আমার আজ সত্যি ইচ্ছে করছে না
স্বর আর মুঠির কঠিন টানে বুকের কাছ থেকে ছিঁড়ে যায় পাতলা নাইটি।
স্খলিত শান্ত্বনু পাশ ফিরে শোয়। আমি ছেঁড়া নাইটি বুকের কাছে জড়ো করে উঠে যাই এটাচ্ড বাথরুমে। নাইটিটা টুকরো টুকরো করে প্রবল ঘৃণায় ফেলে দিই টয়লেট ডাস্টবিনে। সারা গায়ে লিকুইড ডাভ উপুড় করে ঘষতে থাকি। ঘষতেই থাকি--
--সব দাগ মুছে ফেলতে হবে। সব চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করতে হবে। না হলে তাতাইকে কোলে নেবো কী করে?
বাথটাব থেকে উঠে বিশাল আয়নার সামনে দাঁড়াই, নগ্ন আমি। খিল খিল হেসে ওঠে আয়না।
--সব দাগ মোছা যায় না রে পাগলী মেয়ে!
আমার ম্যানিকিয়র্ড নেলপলিশ্ড নখ আঁচড়াতে থাকে সারা শরীর। আমার জিভ, ঠোঁট, স্তনবৃন্তে রক্তের আভাস। আয়নাটা হঠাৎ দুলে ওঠে। দুলতে দুলতে ক্রমশ ছোট হতে থাকে। চেনা হাত পা মুখের আদল ফুটে উঠতে থাকে। তাতাই ঝাঁপ দিয়ে পড়ে আমার কোলে। ওর কোমল স্পর্শে একটা একটা করে মুছে যেতে থাকে সব ধর্ষণচিহ্ন।
আমি আর একটা ধোওয়া নাইটি পড়ে আবার ফিরে যাই আমাদের বেডরুমে।
ভাল লেগেছে কঠিন আর কোমল স্পর্শের দুলুনিতে মনোবিকারের পরিবর্তন। ভাল লিখেছিস রুণা।
উত্তরমুছুন