ক্ষুধা
নৌকো নিয়ে এসো সত্যবতী
মৃতের দেহ নিয়ে বয়ে এনেছি
ছায়ায় বসে আছে ধ্যান ধারণা
মূর্তি ঘিরে অপত্য স্থাপন
কতকাল হাত পেতে আছি পরমান্নের লোভে
ছাদ নেই
ছাতা নেই
কাকেদের ঠোঁটে উড়ে বেড়াচ্ছে
আজন্ম জমানো শোকচিহ্ন
ধুতুরার বীজ
ভাঙা কলসের জলে কিলবিলে জন্ম
শপথবাক্যের লোভে মরে যাচ্ছে
একান্ত প্রণয়
নুনশরীর ছড়িয়ে জেগে উঠছে মন্দিরের পবিত্র চূড়া
চিতার আগুনে হাত ধুয়ে এসেছি
এবার
ভাত দাও
অ্যাডজাস্টমেন্ট
গ্রীষ্ম আসার আগেই সমস্ত জানালা খুলে যাচ্ছে
রাস্তা উঠে আসছে উঠোনে
কোথায় শিমূলের বাঁশি পড়ে আছে
কোথাও ঘুমানো জন্মদিন
পা দিয়ে যাচাই হচ্ছে রসিকতা
অবশিষ্ট জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ছায়ায়
আর ছায়ার মধ্যেই পরিচয় গড়ে উঠছে
গাছের
তুমি তাকেই সংসার ভেবে সলতে দেখাচ্ছ
সকাল বিকেল
নক্ষত্রপতন
চরিত্র আর চাঁদ গুলিয়ে ফেলছি
পাতায় পাতায় পুষে রাখছি তৃণভূমি
তেজপাতা প্রচ্ছদে তোমার রাত্রিমথ
নান্দনিক পাঠে গাইছে সৃষ্টি আর ভেঙে ফেলার রূপকথা
এইমাত্র কেঁপে উঠলো মৃত্যু
চিত্কার শব্দ জানান দিল অঙ্কুরোদ্গমের কথা
শুধু একবার, পুরনো দিন এসো
কতদিন সেভাবে রাত্রি পড়িনি
1 Comment
উত্তরমুছুনSort by Oldest
Add a comment...
Also post on Facebook
Write 6 more characters to post to Facebook
Commenting as
Post
দিশারী মুখোপাধ্যায় ---
এইভাবে রাত্রি পাঠ চলুক বেবীর ।আমরা দুএকটি খেজুর গাছেরা খোঁজ পাই । অভিনন্দন ।