হাতবন্দী
দোতলার যে জানালার গরাদ ছুঁয়ে
মাঝে মাঝেই রোদ্দুর আসে
কখনো বৃষ্টির ছাটে সেখানেই ভিজিয়ে নিই
নিজের অনাবৃত দুই হাতের চেটো
ওপার থেকে তুমি স্বাদ নিতে থাকো
আলতো হাতে আগলে রাখো কোনো
বন্দী জীবনের কথামালা
একই স্বরলিপিতে গাঁথা কয়েকটি জীবন
হারতে হারতেও জাগতে থাকে কিছু মায়াবী রাত
চেঁচিয়ে ডেকে ওঠে কত মায়াকান্না
পথ চলতে চলতে থেমে যায় যে অসমাপ্ত জলরাশি
তার অবশেষ নিয়ে বেঁচে ওঠে
কয়েকটা অর্ধভুক হায়নার সংসার
মেয়েটা
মেয়েটার ঠোঁটে কালসিটে দাগ আছে
বসন্ত কবে যেন তাকে চুমু দিয়েছে
হাড় হিম ঠান্ডায় স্ট্রিট লাইট আলো
কিছু খুঁজে চলে সারারাত মিছে
ডিপ ফ্রিজে রাখি তোমার প্রশ্বাস
ঠান্ডার মাত্রা মাপি রাত্রিদিন
একদিন আসবেই বসন্ত
আমি জেগে প্রহর
গুনি অনন্ত
মেয়েটা দাঁত দিয়ে নখ খুঁটে চলে
কোনোদিন বাড়ি ফেরার পথে
বসন্ত সন্ধ্যা মুছে নিয়েছে
তার সমস্ত দুপুরের
ক্লান্তি
ভর্তি ফলে নুয়ে আছে শাখা
নিস্তব্ধ দুপুরের আলসেমি মাখা
উড়ে যায় এঁটো খাওয়া কাক
পড়ে থাকে নির্বাক গণিতের সমীকরণ
চিরকুট
ঝড় ওঠার আগে এক বিশিষ্ট নীরবতা
এই মুহূর্তে আপনি নিজেকে চেতনা ভেবে নিন
নিকোটিন চুম্বনের আলসেমি ভেঙে
এইমাত্র যে চঞ্চলতা রাস্তায় নামলো
তার আর কোনো ঠিকানা নেই
শুধু গলির মোড়ে হ্যান্ডব্যাগ থেকে পড়ে গেছে
একটি নীল রঙা চিরকুট...
অন্ত্যমিল
ব্যতিক্রমী কবিতার গায়ে ছায়া লিখে দিতে গিয়ে
খুঁজে পাই অমৃতভান্ড
বিলুপ্তির আড়ালে যে কপটতা লুকিয়ে যায়
তার হদিস মেলে
কোনো এক অন্ত্যমিলের বারান্দায়
ব্যাখ্যা সূচি মুখস্ত নেই
মুখোশ খুলে রেখেছি অযুত বর্ষে
ওজোনকে সংকেত বানাতে গিয়ে ফিরেছি
গতিপথে
শুধু বিনিময় প্রথার আড়ালে
অর্কিড সাঁতারে ফিরছে চপল সারল্য
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন