কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

মৌ চক্রবর্তী

 

ফ্ল্যাশব্যাকে থিয়েটার পাঁচালি: আমাদের নাটকের ইস্কুল





 

প্রতি,

অভিনেতা অ –এ শেখান যায় না। বিশেষত ছোট থেকে এর কোন ক্লাস হয় না ইস্কুলে। বিশেষত এর কোন বই হয় না। পাড়ায় পাড়ায় যেভাবে নাচ গান আঁকা ব্যায়াম শেখার স্কুল হয় – তেমন নাটক শেখার হয় কই? এই আপ-শো-শ মেনে নিয়েই নাটক করতে আসিয়েদের ভিড়। শহরময় উৎসবের গন্ধ। আলোর ধোঁয়া। নিটোল থামে আলো থেমে। এরই মধ্যে আসে হেমন্তকাল। প্রকৃতি পাল্টে যায় কালের নিয়মে।

দেখা যায় কাঠামো পড়ে শুধু উৎসব আর নেই। তাই কবি লেখে ... উৎসবের মতো উৎসব হয়ে গেলে ফিকে লাগে এ শহর। আমাদের থিয়েটার করা, দেখা, শেখা, করে চলাতেই -- সারা বছরের উৎসব যেন। তাতে চোখে মনে সারাবছরেরই উৎসব। আর যেদিন শো থাকে? সেদিন তো উৎসব মন ছাপিয়ে গায়ে-মুখে-পোশাকে ছড়িয়ে পড়ে। তো, এই যে নাটকের শোয়েরও প্রস্তুতি এক উৎসবের। ১১ নভেম্বর ২০২৩ কথাকৃতি নাট্যদলের এমনই উৎসবে সামিল হতে পেরেছিলাম। যে উৎসবের শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। এই যেমন যেকোন উৎসবের প্রস্তুতি থাকে। তেমনই, নাট্যদলের উৎসবের শুরুতে থাকে নাট্যকর্মীদের প্রথমে গপ্প বা প্লট বাছাই। নতুন নাটক ধরা হবে। ধরতে হবে ...। কারণ তো অনেক থাকে। হয়ত বিশ্বের কোন তাবড় নাটক-করিয়ের খবর মিলেছে , যে তিনি এই এই অমুক অমুক নাটক করছেন। লিখছেন। এরপরই দলে কথাটা চাউর করে দেওয়া। তারপর দলে সব্বাই মিলে ঐ বাছাই করা নাটকটি পড়ে ফেলা। সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে চালু হয়ে গেল করা হবে কি হবে না। হলে কে, কোথায়- কি করবে? আলোচনা আগে শুধু দলের ঘরেই হত নির্দিষ্ট সময়ে। এখন শুধু তা নয় আর। এখন হয় মুহূর্তে মুহূর্তে মুঠোয় মুঠোয় ফোনে ফোনে। কাজের মধ্যে ফাঁক বের করে একটা টুলস ধরে লিখে ফেলা মেসেজ। সেই মেসেজ আবার মুঠোফোন গ্রুপে। এই গ্রুপ তো আবার ই –গ্রুপ। মোটকথা, অর্থাৎ, আলোচনার সময় বেড়েছে। বেড়েই চলছে এখানে সেখানে। এই নিয়েই এখন দলে নাটক ধরা। নাটক ধরা হলে তার কিছু কিছু পরিবর্তন যেন অবধারিত। এক, ফটোকপি করান। দুই, নাটক কেটেকুটে একটা দেশীয় স্থানীয় ধাঁচায় ফেলা। তিন, চরিত্র ধরা। চার, যেটুক বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার – সেটুকুই রাখা হয়। এখন যেহেতু নাটকের অভিনয় সময় দু- ঘণ্টার মধ্যে রাখতেই হয়। না, না ভাববেন না হে পাঠক, যে এমন কোনও নিয়ম জারি হয়েছে। কিন্তু নিয়মের চেয়েও যা বেশি, কম কিছুই নয় – সেই প্রবণতা চালু হয়েছে। দর্শক দীর্ঘ সময়ের নাটকে মন সংযোগ বা আগ্রহ রাখতে পারেন না। ফলে, দর্শকের কারণেই নাটকের অভিনেয় সময় কমাতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে তাহলে মেগা বা ধারাবাহিকের যুগে নাটকের সময় কম হলেই – তা চলবে। তাইই সই, দলগুলো এসব মাথায় রেখেই তো করে নাটকের নির্বাচন। কারণ, স্ক্রিপ্ট একটা কঠিন যা প্রথমেই করে ফেলতে হবে। যা দিয়ে নাটকের মূল ঘটনা তারতম্য না ঘটিয়ে – একই ভাব বজায় রেখে নাট্য পরিবেশন করা সম্ভব হবে। তো এভাবে একটা নাটকের স্ক্রিপ্ট রূপান্তর পর্ব শেষ হয়। পরে অবশ্যই নাটক মহলাতে গিয়েও অনেক অদলবদল ঘটে। এবং সেসব পেরিয়ে গেলে মহড়া কক্ষে মহলা,  শুরুর পাঠ সঙ্গে সঙ্গে চা মুড়ি ভাজা চপ বাদাম ইত্যাদি প্রভৃতি। এসব নানান ধাপ পেরিয়ে একজন অভিনেতার চেষ্টা চলে তাঁর চরিত্র ফুটিয়ে তোলার। বা চরিত্র হয়ে ওঠার। এইসব পেরতে পেরতে একদিন মঞ্চে ফাইনাল শোয়ের পর্ব। তখনও নির্দেশক ধমকে চলেছেন। কিচ্ছু শিখিসনি, অ্যা। কি পড়াশোনা করেছিস?

এসব শুনতে শুনতে এক নাট্যকর্মী উত্তর দিল, দাদা, ইস্কুলে কি নাটক শেখানো হয়? কোন ইস্কুলে?

নির্দেশক তখন দায়িত্ব নিয়ে বলেন, ওরে, অবুঝ, ওরে আমার কাঁচা, অভিনয় শেখানোর নয়। যা শিখি আমরা তা হল বিহেভ। মানে কেমন করে কি করব। তাতে? তোর বোঝাতে চাওয়া স্পষ্ট হলে তো হিহেভ বা ব্যবহার স্পষ্ট হল।

আর নাহলে?

নির্দেশক বলেন, দলে জায়গা হয় না।

কিন্তু অন্য কোথাও তো জায়গা হয়। মানে হয়েছিল। যেখানে নাটকের শিক্ষা পেয়েছিলাম।

এ আবার এর একটা সূত্রও রয়েছে। নির্দেশক বললেন।

নাট্যকর্মী উত্তর দেয়,  যেমন, পাড়ার ক্লাবে নাটক করা। বিশেষত পুজোর সময়। শীতের ঠিক আগে আগে। একটু গরম চা, মুড়ির ব্যবস্থা, সঙ্গে কচি মাঝারি বয়স্কদের ভিড়। হাজারো চরিত্র। হাজারো নাটক...। তারপর মঞ্চে।

আবার শুরু করলি কিন্তু। নির্দেশক বললেন। এরকম না-করেও অনেকে নাট্যকর্মী হয়ে ওঠেন। এবং এই কার্ডহীন আধার বয়ে চলেন সারাটি জীবন। আমাদের চারপাশে সফল বিফল নিষ্ফল নিশ্চল অচল বিকল – সব ধরনের নাট্যকর্মী দেখতে পাওয়া যায়।

আমরা দেখতে পাই। অনেক মুখ একই ব্যাগ একই জুতোটি পায়ে একই প্রায় পোশাকে গত বিশ বছর আসছেন একাডেমিতে। সেখানে তাঁর জন্যে একটা সিট বা আসন থাকে শুধু – ফ্রি। তিনি নাট্যকর্মী। শুধু কি তাই নাট্যকর্মে এমনভাবে সময় দিচ্ছেন যে, ঘর-পরিবার চিন্তায় ভাঁজ ফেলছে জীবনে।

আর ফেলবেন নাইবা কেন? একথা কে না জানে – নাট্যকর্মীর মানে মানযুক্ত অর্থহীন। নাট্যকর্মীর জীবন মানে – জিহবা বের হয়ে আসা কর্মী। উদয়াস্ত যাঁদের জন্যে থিয়েটারগুলো চলছে ... তাঁরা নাট্যলোকেও কেউই হয়ে উঠছেন না। বরং নাট্যাভাবে এতটাই বিভোর হয়ে থাকছেন যে – তাঁকে পৃথিবীর অন্যান্য মোহ-মায়াও স্পর্শ করতে পারছে না। একসময় তিনি নাট্যকর্মী হিসেবে নাটকের অন্দরের অন্তরের একজন হয়ে রইলেন। তাঁর নামটি অজস্র তারার মধ্যে একটি হয়ে রইল।

আর এরই সঙ্গে গ্রুপ থিয়েটার ৭৫ বছর পূর্ণ করল। যেখানে গ্রুপ থিয়েটারের শেকড়ে নতুন ধারার ইতিহাস চর্চা হতে শুরু করল। এই একটা জোয়ার এল – যেখানে ভাতের সন্ধানে অভিনয় জানাদের একটু জোগাড়ের ব্যবস্থা হল। ছোট পর্দার ধারাবাহিকে কাজ মিলতে লাগল। নির্দেশক বলেন, তো, এই প্রবণতাকে গ্রহণ করেই থিয়েটার। নিজেই বিপাকে পড়েন দলসহ নির্দেশক।

নাট্যকর্মী ঘাম মুছে উত্তর দেয়, একজন অভিনেতা মেগাতে কাজ করেও যখন আত্মিক খিদে মেটাতে ফিরে আসছেন নাটক করতে...? তখন তাঁকে...।

নির্দেশক বলেন, কুর্ণিশ?

নাট্যকর্মী কিছুই বলেন না। শুধু তখন নাট্যকার হয়ে ওঠে সে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার। ভাবে, নাটকের সঙ্গে সঙ্গে তিনি তো সেই আটপৌরে শিল্পী। যে চপ-মুড়ি ফুটপাথেয় খাওয়া-দাওয়া আড্ডা গল্পেও থাকছেন – সেইসব নাট্যকর্মীদের সঙ্গে, যাঁদের এখনও কিছু পেটের ভাতে জোগাড় হয়নি।

এবারে পর্ব ২। অর্থাৎ, এরপরের ধাপে শোয়ের কথায় আসতেই হবে। নাটকের শো মানে তো একটা উৎসব বটে। সেদিন ছিল বিশেষ কোন মূর্তি পুজোর উৎসব। সেই লগ্নে চারদিকে মুখর। তখনই এক নাট্যদল মিনারভা থিয়েটারে তাদের বিপুল আয়োজন করে। দলের নাম কথাকৃতি। কথাকৃতির কর্ণধার সঞ্জীব রায়। দল দুটো নাটক পরিবেশন করছে। এক, শ্রুতি নাটক। দুই, মঞ্চ নাটক। হলের মধ্যে দর্শক, দর্শকের হাতে নিষেধ করা জিনিসগুলো। এক, ভাজা-র প্যাকেট। দুই, জলের বোতল। তিন, খচখচ করা কোন জিনিস। যখন মঞ্চ থেকে অভিনয় থামিয়ে শিল্পীকে সোচ্চার হতে হয় – শব্দ থামুক, তবে অভিনয়।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়-এর নাটক অভিনীত হচ্ছিল ...। ঐতিহাসিক পৈশুন্য। সেই সময়ের এই ঘটনা। এই এক হয়েছে। যেখানে এই কাণ্ডটি চলে। হয় মুঠোফোন বাজবে। হয় কণ্ঠে সুর বাজবে। হয় গাড়ির ধোঁয়ার মতন একের পর কথাগুলো ঘিরে ফেলবে একাডেমির আকাশ। কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠবে নাটকের শোয়ের মধ্যে।

এখন প্রশ্ন হল ... নাটকের ইস্কুল নেই তাই নাটক নাহয় শেখা যায়নি। কিন্তু সহবত তো ইস্কুলে শেখা যায়, মানে গেছে? তাহলে? এরকম অবস্থা কেন? যেখানে ঘোষণা করে বলে দেওয়া হয় যে, নাটক শুরুর হলে আপনার মুঠোফোনটি নিষ্ক্রিয় রাখবেন। অর্থাৎ শব্দ করবেন না। এও বলা হয় যে ফ্ল্যাশ দিয়ে ছবি এবং ছবি তুলবেন না। হে দর্শক, কখনও ভেবেছেন কেন একথা বলা হয়?

নাটক চলাকালীন অভিনেতা নামক শিল্পীদের যে ধরনের মনঃসংযোগ করতে হয় – তা এরকম সশব্দ আবহে সম্ভব হয় না। হলেও, নাট্য মুহূর্ত নষ্ট হয়। এসব থেকে দূরে সরে যেখানে নাট্য একটা ক্রিয়া, বা ব্যক্তির কাছে কর্ম – তার কাছে এমন আবহ যেন শির পীড়ার কারণ।

এখন এই অস্থিরতার কারণ? আরে মুখস্থ থেকে ঝেড়ে তো বলছে। আবার কি? এই যে কবিতা মুখস্থ করে ছেলেপেলেরা বলে – তারা কি ঘাবড়ায়? তাদের কি কি বা হয়।

অভিনেতা-শিল্পী তখন উত্তর দেন, ঐ যে লাস্ট বেঞ্চে বসা ছাত্রদের তালিকা। দেখেছেন? সেখান থেকে মঞ্চে দাঁড়ানো অভিনেতা হয়েছি। আচ্ছা, দর্শক, জানেন ... মঞ্চে চলা অভিনয়ের খেই হারিয়ে কীরকম শোয়ের আয়োজনে খরচ করে একটা দল পূর্ণাঙ্গ নাটক নামায় বা মঞ্চায়ন করে? তার ধারণা মঞ্চে যুক্তদের ছাড়া থাকার নয়। সবচেয়ে বড় কথা এই যে, এত বড় কাণ্ডে থাকে শুধু  -- দর্শকের কাছে পৌঁছুনোর চেষ্টা। মন থেকে শিল্পীর দাবি এই যে তাঁকে কেউ প্রশংসা করুক। তাঁর অভিনয় মনোযোগ দিয়ে দেখুক।

এইখান থেকেই যাব ফের ফ্ল্যাশব্যাকে। তখন? শীত আসেনি তাই কলকাতা ঘামছে। নিজের মতন প্রকৃতিও যুঝতে না পেরে হাঁপাচ্ছে। একটু বাদ দিয়ে গেছি। তাই ... ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া। নাটকের ফ্ল্যাশব্যাক হয়? সে তো সিনেমার বিষয়। তো বললাম ...  হ্যাঁ হয়, ফিরে ফিরে দেখা মানেই ...। ফ্ল্যাশব্যাকে গিয়ে দেখা যে, নাটকের ইস্কুল হল না ...। যেখানে শিখতে আসবে খুদে খুদে ছেলেমেয়েরা। সেরকম ইস্কুল?

এই প্রশ্ন চিহ্নের পাশে পাশে লেখা শেষ করতে হবে। এও বেশি দীর্ঘ হওয়া চলবে না। কারণ, কারণ হল পাঠক পড়বেন না। আর তিনি যদি এই পর্যন্ত পড়ে থাকেন ... তবে? তবে তাঁকে কুর্ণিশ। সাধুবাদ জানাই। জানাই এই কারণেই যে সেই মানে নিয়েই এই লেখা। কথাকৃতি নাট্যদলের ৩৫ বছর। আর সেই থেকে তাঁরা শুধুমাত্র অভিনয়, নাট্যপ্রস্তুত এবং নাট্য-কর্মশালা করে না। করে থাকে আলোচনা সভা নাট্য ও সমাজ বিষয়ক। করে থাকে একটি ইউজিসি কেয়ার লিস্ট পত্রিকাও। যার নামও নাট্যদলের নামে – কথাকৃতি নাট্যপত্র। উক্ত নাট্যপত্রেরও ৩৫ বছর বয়স। ১৯৯০ সাল থেকে নাট্যপত্রটি প্রকাশিত হয়ে আসছে। ধারাবাহিকতা রেখেছে। এবং ২০২৩ সালে এর ৩৫ বর্ষ ৩৫তম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।

প্রকাশ করেন খ্যাতনামা সাংবাদিক সাংস্কৃতিক কর্মী প্রাবন্ধিক শিলাদিত্য সেন। একটা পত্রিকা চালান কত যে চ্যালেঞ্জ ... সেই কথা তিনি বলেন বক্তৃতায়। আরও অনেককিছুই বলেন। আবার বলেন এও যে, বেশি বকবক করবেন না, কারণ পরে নাটক দেখবেন নিশ্চয় , আর অধৈর্য হয়ে রয়েছেন। তাঁকে প্রণাম। কৃতজ্ঞতা। জানাতেই মঞ্চের সামনে এসে প্রস্তুত হতে থাকে পাঠ অভিনয়ের দলটি। নেপথ্যে আবহ। আর সামনে কুশীলব যথাযথ মঞ্চ সাজে। এদিকে নাট্য-পাঠ শুরু হতেই, উশখুশ করতে থাকা দর্শক যেন বেড়ে উঠলেন। সেই প্রথম সারি থেকে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। তাঁদের ফিসফিস সংলাপ ...। যেখানে ফিসফিসিয়ে গন্ধ উঠছে তেলেভাজার। গন্ধ কিনা চাপা দিয়ে রাখা যায় না – তাই বেরিয়ে উড়ছে। ইচ্ছেমতন বলেই এক দর্শক থেকে অন্য দর্শকদের কাছে যেতে পারল। আচ্ছা, গন্ধ কি মঞ্চে যেতে পারে? তাহলে যাবে তো ...। নাট্যের কুশীলব কিছু দূরে তো নেই। এক হাতের মধ্যে। এক মানুষের চেয়েও কম উঁচুতে। তাহলে গন্ধ সেখানে যায়। এরইমধ্যে নাট্যের চরিত্রদের একে একে এক্সপজিশান ঘটছে। যেমনটি ঘটা উচিৎ ব্যাকরণ মেনে। তখন ইতিহাস বলছে। এমন সময় জিভে জল ...।

এবারে, হে দর্শক! আপনাদের সহযোগিতা চাই। আজ নাটকের শো নয়। আজ তবু দৌড়ে ঢুকলাম। নাটক শুরুর আগে না এলে ঐ যে লাল পর্দা – সেটা না দেখলে মনে হয় কি একটা বাকি রয়ে গেল। হে দর্শক, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে লেখাকেই সঙ্গী করলাম। যদি বোধোদয় ঘটে। আমাদের নাটকের স্কুল নেই যেখানে ছোট থেকে নাট্যশিক্ষা ঘটে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার স্কুল রয়েছে তো ! যেখানে যদি মনেহয় একজন দর্শক ছেলেবেলায় কি কি শিখেছিলেন। হে দর্শক, আপনি বা আপনারা জানেন তো যে আপনারা যে থিয়েটার দেখতে এসেছেন। মানে, আপনারাও ঐ নাট্যের এক অবিচ্ছিন্ন অংশ হয়ে উঠেছেন। একটু বুঝুন। প্রেক্ষাগৃহের আলো নিভলেই ... হে দর্শক হৃদয়ের আলো জ্বালো।

 

_ ইতি

একুশ শতকের ফ্ল্যাশব্যাক সত্তাধিকারী

 


2 কমেন্টস্: