কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রদীপ চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৪


আধভেজা ময়ূর 

 

অথচ শীতের রত শব্দে খামারবাড়ির কুড়ানি

জলের সঙ্গে অল্প আলো মেশানো রঙ,

ক্রিয়ামতি ঢেউ ওঠে

পাতাপ্রসারী সবুজ ঝরার মুখরতা

 

পাঁচমিশালি পাখিদের একটা চলা ভেসে উঠছে,

পুরনো অন্ধের মতো 

ছেঁড়ামানুষের ছায়ায় 

ছায়ারা অবাঙ সমিধ

এই শূন্যতা বন্ধ করছে, এই জানলা খুলে দিচ্ছে

মাটি কামড়ে পড়ে আছে সবুজের বাকশক্তি

 

বুদ্বুদ হত্যার শেষে জল চলে যায়

কিশোরীবেলায়,

আধ ভেজা ময়ূর কাঁদছে আজ

কোনও গ্রামের পাঠশালায় 

ফিরে এসো পুঁটুরানী,

কুয়াশা প্রস্তুত...

 

নিষাদ ঝরার আগে

 

যখন বনস্থলী

যখন তুমি অসহযোগের স্মৃতিচিহ্নে

অবিকল,

ফাঁকা পড়ে আছো

জল ভাঁজে,

ঢেউ অংশে,

যে নদী দীর্ঘকালীন

পায়ে পায়ে খরস্রোতা

কেন যে নেমে যায় ইতিবাচক শব্দ

 

দূরে ছায়া - অবয়বটুকু ভেঙে চলে গেছে

অবাঙ বনের গুণপনায়

একটা পথ ক্রমশ চোখের রঙে মিশে যাচ্ছে

পৃথিবীর বাইরে ছুটন্ত আলো আঁকলো যে

 

এ বড়ো পিছল  রত্নগঞ্জ

জলের কলঙ্কপড়া দাগ

যে খেলাটা শুরু করেছিল

নিমজ্জিত বনের অন্ধকার জ্বর

তুই ও তোর ভাঙা রুমানিকা

সান্ধ্য টেবিলের আসরে

দুটো মুখোশ

দুটো মুখের মুখোমুখি বসে আছে আজ!

 

নৈরাত্মমণি

 

আলো পড়ছে বৃষ্টি হয়ে

বৃষ্টি পড়ছে আলোর তস্কর

তার চুরি গেছে সর্বস্ব

দেহনিশি, বসুধারা, মহাময়ূরীর

নীল সংঘারাম

 

দূর আভাসে  ভোজ্যের অতীত ওই ধাবমান হরিণী

ক্ষুদ্র ছত্রাকবন,

মনের মাখানো লোহা গলানো হয়

আগুনের ফিদায়

 

যতটুকু চেয়েছো, তার অতিরিক্ত বাতাস আজ

মলয়শীল

এসো রবীন গঞ্জিকাহীন শ্যামলসারিকা

এসো মেঠোসুরে রবাব  বাজিয়ে

নীলবৃংহণ তোমার নিজস্বী ছিল


প্রাকপৃথিবীর ভোরে

 

থেরীগাথার নারী আদিসঙ্ঘ ভেঙে আজও তোমার স্বপ্নে

ক্রমশ ঝরা পাতা ঝিঙুরের ডাক আর

সন্ধের সরাইয়ে লাল আপেলের মদে

বেসামাল ঠোঁট,

 

সেদিন অহর্তের সমুদ্রগামী পায়ের ছাপ,

জনস্রোতে বালুকাবেলায় কংক্রিটের

চাঙড়, ঢালাইমেশিন, দু’একটা ঝগড়াটে কুকুরের  ডাকে ছায়া ভিড়ের কলহ খুনসুটি  

 

পাথর কাটার শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছে

মফঃস্বলের আকাশ

অতিকায় অসমাপ্ত স্ল্যাব

বাড়ি হয়ে আকাশে মিলিয়ে  যাচ্ছে অহর্ত!

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন