কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

অভিজিৎ মিত্র

 

সিনেমার পৃথিবী – ৩৫




এই পর্বে আমরা ফিরে দেখব হলিউডের বিখ্যাত পরিচালকদের। শুরুর আগে এক ছোট টিপ্পনী। চলচ্চিত্রের স্বর্গরাজ্য বলতে গোটা পৃথিবীতে আমরা হলিউডকেই বুঝি। কিন্তু এই জায়গা এল কিভাবে? লস এঞ্জেলস শহরের খুব কাছে এইচ জে হুইটলি ৪৮০ একর জায়গা কিনেছিলেন। পরে উইলকক্স নামক এক ব্যক্তি ১৮৮৭ সালে  আরো ১২০ একর জায়গা কেনেন। তার স্ত্রী সেই জায়গার নাম রাখেন হলিউড, কারণ ‘হোলি’ শব্দের অর্থ পবিত্র। ১৯০৩ সালে এই গোটা জায়গাটা পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। ১৯১০ সালে  জায়গাটা লস এঞ্জেলসের সাথে একত্রিত হয়। একে একে ছায়াছবির কোম্পানিগুলো আসতে থাকে, পরিচালকরা আসতে থাকেন, নিউ জার্সি ছেড়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউডে পাড়ি দিতে শুরু করে। ১৯১০ সালে ডি ডব্লু গ্রিফিথ প্রথম ১৭ মিনিটের এক শর্ট ফিল্ম বানান ‘ইন ওল্ড ক্যালিফোর্নিয়া’। শুরু হয় হলিউডের জয়যাত্রা। একদম শুরুর দিকে অনেক বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ১৯২৭-২৮ সাল নাগাদ হলিউডে স্বর্ণযুগ শুরু হয়। আমরা আজ যে যে পরিচালকদের বেছে নেব, তারা কিন্তু সবাই স্বর্ণযুগ বা তার পরবর্তী কালের। স্বর্ণযুগের আগেকার নির্বাক চলচ্চিত্র জমানার কাউকে আমি এখানে বাছিনি। এবং এটাও ঠিক, আজ যাদের নাম এই লিস্টে রেখেছি, তাদের সবার ছবি আমি এই ধারাবাহিকের আগের কোন পর্বে উল্লেখ করেছি বা আলোচনা করেছি। আমাদের বাছাই নবীনে-প্রবীনে হলিউডের সেরা দশ - ১) ভিক্টর ফ্লেমিং ২) বাস্টার কিটোন ৩) ফ্রাঙ্ক কাপরা ৪) আলফ্রেড হিচকক ৫) অরসন ওয়েলেস ৬) ফ্রান্সিস ফোর্ড কোপালা ৭) মার্টিন স্করসেসি ৮) স্টিভেন স্পিলবার্গ ৯) কোয়েন্টিন টারান্টিনো ও ১০) ক্রিস্টোফার নোলান। প্রথম পাঁচজন স্বর্ণযুগের এবং পরের পাঁচজন স্বর্ণযুগ পরবর্তীকালে খ্যাতিলাভ করা পরিচালক।

এই পর্বে শুধু প্রথম পাঁচজন, হলিউডের স্বর্ণযুগের পরিচালকদের নিয়ে। স্মৃতি ক্ষুরধার পাঠককে মনে করানো  যেতে পারে যে, এই ধারাবাহিকের বিস্মৃতপ্রায় ৪ নম্বর পর্বে আমরা আজকের পর্বের বাস্টার কিটোন বাদে  বাকি চারজনের ছবি নিয়েই কিন্তু আলোচনা করেছিলাম।

ভিক্টর ফ্লেমিং (১৮৮৯-১৯৪৯) শুরু করেছিলেন একজন স্টান্টম্যান হিসেবে। পরিচালক হিসেবে ওনার প্রথম হিট ছবি ‘দ্য ভার্জিনিয়ান’ (১৯২৯) গ্যারি কুপারকে স্টার বানিয়েছিল। কিন্তু সাধারণ যে কোন সিনেমাপ্রেমী  মানুষের কাছে ভিক্টর ফ্লেমিং বললেই চার ঘন্টার মহাকাব্য ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ (১৯৩৯) এবং পাশাপাশি ‘উইজার্ড অব অজ’ (১৯৩৯)। গন উইথ দ্য উইন্ড সেই প্রথম ছবি যা একাধারে দশটা অস্কার পেয়েছিল। কেন? আলোর খেলা, রঙের সাবলীল ব্যবহার, আউটডোর সিন, অনবদ্য অভিনয়, লং শট, এরকম বেশ কিছু ব্যাপার। আরো বড় কথা, এই ছবি সিনেমার ইতিহাসে সাদা কালো ছবির ভীড়ে প্রথমদিকের কয়েকটা রঙিন ছবির ভেতর একটা। আরেকটু এগোই, এই ছবি সেই প্রথম ছবি যা রঙের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে দর্শকের মুড ভাল করার জন্য অনারারি অস্কার পেয়েছিল। সঙ্গে অনবদ্য কস্টিউম ডিজাইন যার জন্য আর্ট ডিরেকশনেও অস্কার। আবার উল্টোদিকে উইজার্ড অব অজ। শুধুমাত্র রঙের খেলা আর সঙ্গীত দিয়েই যে বাচ্চাদের মন জয় করা যায়, এই ছবি তার নিদর্শন। সঙ্গীতের জন্য দুটো অস্কার। আর শিশুশিল্পী জুডি গারল্যান্ডের জন্য বিশেষ অস্কার। অবশ্য এখানে জানিয়ে রাখি, ফ্লেমিং খুব কড়া মেজাজের পরিচালক ছিলেন। প্রতিটি সিনের খুঁটিনাটি নিজেই খুঁটিয়ে দেখতেন। কাউকে ফাঁকি দিতে দেখলে অসম্ভব রেগে যেতেন। জুডির অমনোযোগ দেখে ঠাসিয়ে এক থাপ্পড় মেরেছিলেন – ব্যস্‌, কাজ হয়ে গেছিল। সেই যে জুডি সিরিয়াস হয়ে গেলেন, অভিনয়কেই পরবর্তীকালে পেশা করে নিয়েছিলেন। ফ্লেমিংয়ের শেষ ছবি জোয়ান অব আর্ক (১৯৪৮)। সাফল্য পায়নি। যদিও উনিই একমাত্র হলিউডি পরিচালক যার ১৯৩৯-এর দুটো সিনেমাই সেরা ১০০-য় স্থান পেয়েছে।

বাস্টার কিটোন (১৮৯৫-১৯৬৬)–কে নিয়ে আমি আজ অব্ধি কোথাও কিছু লিখিনি। আসলে স্ল্যাপস্টিক কমেডি বললেই আপামর ছবিদর্শকের কাছে চার্লি চ্যাপলিনের নাম ভেসে ওঠে। আমিও এই লেখার ৪ নম্বর পর্বে আর চারজন পরিচালকের সঙ্গে চ্যাপলিনের ‘মডার্ন টাইমস্‌’ নিয়ে লিখেছিলাম। কিন্তু এটা মানতেই হয় যে কিটোন চ্যাপলিনের থেকে কোথাও একটু হলেও বেশি ফিল্ম বোদ্ধা ছিলেন যার নিদর্শন থেকে যেত তার ভাবলেশহীন চুপচাপ মুখে, যখন পর্দার সিনে হাসির তুফান উঠত। ফলে দর্শকরা আরো মজা পেত। এজন্য তার ডাকনাম ছিল দ্য গ্রেট স্টোন ফেস। হ্যাঁ, আমাদের আজকের আলোচ্য পরিচালকদের ভেতর একমাত্র কিটোনকেই সঠিক অর্থে বলা যায় স্বর্ণযুগ পূর্ববর্তী, কারণ তার খ্যাতির প্রায় পুরোটাই স্বর্ণযুগের আগে।  ১৯২০ থেকে ১৯২৯ অব্ধি যত সাইলেন্ট ছবি, ওয়ান উইক (১৯২০), দ্য প্লে-হাউজ (১৯২১), কপ্‌স (১৯২২), ইলেকট্রিক হাউজ (১৯২২), শার্লক জুনিয়র (১৯২৪), দ্য জেনেরাল (১৯২৬), স্টিমবোট বিল জুনিয়র (১৯২৮), দ্য ক্যামেরাম্যান (১৯২৮), স্পাইট ম্যারেজ (১৯২৯), সমস্ত একে একে হিট। নির্বাক কিন্তু ননসেন্স নয়। হাসির কিন্তু দার্শনিক। পরবর্তীকালে উনি আরো ছবিতে অভিনয় করেছেন, কিন্তু সেসব ছবি এগুলোর পাশে ঠিক পাতে দেবার যোগ্য নয়। দ্য জেনেরাল দেখে শুধু যে আমি বিভোর হয়েছি, তা নয়, গোটা পৃথিবী মুগ্ধ হয়েছে। এই ছবি নিয়ে অরসন ওয়েলেস বলেই দিয়েছেন – ‘the greatest comedy ever made…and perhaps the greatest film ever made’। আসলে আমার মনে হয়েছে ওনার ছবিগুলোতে কোথাও যেন অঙ্ক লুকিয়ে আছে, প্রতি সিনে, প্রতি আপেক্ষিক ফ্রেমে, ওনার মুখে, ওনার চলাফেরায়। ডেভিড থমসন পুরো ব্যাপারটার ক্রাক্স যেন কয়েক লাইনে বলে দিয়েছেন – ‘Buster plainly is a man inclined towards a belief in nothing but mathematics and absurdity…like a number that has always been searching for the right equation’। কি হল পাঠক, সুকুমার রায়ের ‘আবোল তাবোল’ মনে পড়ে যাচ্ছে? মিল পাচ্ছেন? ভুলে যাবেন না, এ বছর কিন্তু আবোল তাবোলের ১০০ বছর পূর্তি হল।

ফ্রাঙ্ক কাপরা (১৮৯৭-১৯৯১) যে যে সিনেমার জন্য আজো একদম ওপরের দিকে, সেগুলোর কয়েকটা হলঃ ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট (১৯৩৪), মিস্টার ডিডস্‌ গোজ টু টাউন (১৯৩৬), ইউ কান্ট টেক ইট উইথ ইউ (১৯৩৮), মিস্টার স্মিথ গোজ টু ওয়াশিংটন (১৯৩৯), ইট’স আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ (১৯৪৬)। উনি সেই পরিচালক যার তৈরি ছবি (ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট) হলিউডের প্রথম ছবি হিসেবে পাঁচটা সেরা অস্কার (বিগ ফাইভ) পেয়েছিল – সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা স্ক্রিপ্ট, সেরা নায়ক ও সেরা নায়িকা। আবার ‘ইট’স আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও, অনেক পরে, ১৯৯৮ সালে, আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট এই ছবিকে শেষ ১০০ বছরের সেরা ১০০ ছবির তালিকায় স্থান দেয় এবং ২০০৭ সালে এই সিনেমাকে আমেরিকার সর্বকালের সেরা অনুপ্রেরণা দায়ক ছবি হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। ওনার ছবির কিছু বিশেষ দিক বলতে হলে প্রথমেই বলতে হয়, ওনার ক্যামেরা ছিল শুরুর দিকের ক্যামেরা যেখানে একদিকে প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং আরেকদিকে গ্রাম্য আমেরিকা ফুটে উঠেছিল। ক্লোজ শটে স্পেসিয়াল প্রক্সেমিক্স কিভাবে ফুটিয়ে তুলতে হয়, সেটাও উনি পৃথিবীকে শিখিয়েছিলেন। এবং এটাও দেখিয়েছিলেন, পরিচালক কিভাবে অভিনেতাদের সেরাটা বের করে আনতে পারেন। বারবার শট পরিবর্তন করতেন, শুধু মাত্র একটা মাস্টার স্ক্রিপ্ট হাতে নিয়ে সেটে চলে আসতেন, কিন্তু পরিচালনা করার সময় প্রতি সিনে ডুবে যেতেন। টেকনিকাল গিমিক পছন্দ করতেন না। ওনার নিজের ভাষায় – ‘what you need is what the scene is about, who does what to whom, and who cares about whom…all I want is a master scene and I’ll take care of the rest – how to shoot it, how to keep the machinery out of the way, and how to focus attention on the actors at all the time’। ক্লাসিকাল বিশুদ্ধতা তকমা যদি কোন পরিচালকের পিঠে সেঁটে দেওয়া যায়, তাহলে তিনি অবশ্যই কাপরা। দেখুন, উনি কিন্তু একমাত্র পরিচালক যাকে নিয়ে আমি ৩ এবং ৪, দু’পর্বেই আলোচনা করেছি।

আলফ্রেড হিচকক (১৮৯৯-১৯৮০) সিনেমাটিক স্টাইলে এদের থেকে অনেকটাই যেন দূরের মানুষ। আজো, এই এত বহু বছর পরেও, তাকেই মাস্টার অব সাসপেন্স বলা যায়, অন্য কাউকে নয়। উনি ব্রিটেন ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে হলিউড আসার পর রেবেকা (১৯৪০) প্রথম ছবি, তারপর একে একে লাইফবোট (১৯৪৪), স্পেলবাউন্ড (১৯৪৫), নটোরিয়াস (১৯৪৬), রিয়ার উইন্ডো (১৯৫৪), ভার্টিগো (১৯৫৮), নর্থ বাই নর্থওয়েস্ট (১৯৫৯), সাইকো (১৯৬০), দ্য বার্ড (১৯৬৩)। বলতেই হয়, আজো যে সব হবু পরিচালকরা সিনেমা শিখতে শুরু করেছে, তারা সাসপেন্স থ্রিলার বলতে হিচককের ছবি বোঝে। হিচককের রেবেকা নিয়ে, সেই সূত্র ধরে ওনার ক্যামেরা নিয়ে, আমি বেশ কিছু তথ্য ৪ নম্বর পর্বে লিখেছিলাম। সেগুলো আজ আর রিপিট করব না। উৎসাহী পাঠক, ওগুলো নিজগুণে ঘেঁটেঘুঁটে একটু পড়ে নেবেন। আমি আজ শুধু এটুকুই বলব, হিচককের  ক্যামেরা মানেই চলাফেরা, এডিটিং, কিন্তু এমনভাবে যেন ছবি দেখার সময় মনে হয়, ক্যামেরা নয়, মানুষের চোখ। যেমন ধরা যাক, বিয়ে এবং বিয়ে সংক্রান্ত থিম। সেটা bleak and skeptical হিসেবে দেখানোর বাহাদুরি ওখানেই। আবার এটাও ঠিক, বিতর্ক যেন হিচককের সঙ্গী। যখন যা ইচ্ছে বলেছেন, যেটা ইচ্ছে হয়েছে সেইসব সিন কেটেছেন বা জুড়েছেন। যেমন একবার বলেছিলেন – ‘actors should be treated like cattle’। পরে অবশ্য শুধরে নিয়েছিলেন। যাইহোক, হিচককের সঙ্গে একটা মোটা নোটবই থাকত, যেটা থেকে উনি যে কোন সিনের ডিটেলস জুড়তেন, কাটতেন, এবং সে বই নিয়ে চুপচাপ বারান্দায় বসে ভাবতেন, যেদিন সিনেমা রিলিজ হবে, সেদিন দৃশ্যটা কি রকম হবে?

অরসন ওয়েলেস (১৯১৫-১৯৮৫) হলিউডের সেই পরিচালক যাকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে এটাই প্রথমে মাথায় আসবে – ‘I don’t think any word can explain a man’s life’। দুর্দান্ত। ব্রিটেন থেকে কম বয়সে আমন্ত্রিত হয়ে হলিউড চলে এসেছিলেন। শুরু করলেন সিটিজেন কেন (১৯৪১) দিয়ে। তারপর দ্য ম্যাগনিফিশিয়েন্ট অ্যাম্বারসন (১৯৪২), দ্য স্ট্রেঞ্জার (১৯৪৬), লেডি ফ্রম সাংহাই (১৯৪৭), টাচ অব এভিল (১৯৫৮), দ্য ট্রায়াল (১৯৬২), চাইমস অ্যাট মিডনাইট (১৯৬৬), এফ ফর ফেক (১৯৭৩)। মাঝে অবশ্য কিছু বছর আবার ইউরোপ চলে গেছিলেন। ওয়েলেসের ক্যামেরা মানেই নন লিনিয়ার বর্ণনা, অদ্ভুত লাইট, বেয়াড়া রকমের ক্যামেরা অ্যাঙ্গল, অফবিট ক্যামেরার জায়গা, লং , মন্তাজ এবং অবশ্যই ডিপ ফোকাস। এগুলো কি, সেটা কিন্তু ৪ নম্বর পর্বে বিশদে বলেছিলাম, সিটিজেন কেন সিনেমার প্রেক্ষিতে। এবং এটা বলাই যায় যে শুধুমাত্র এই ছবির জন্য ওয়েলেসের এত খ্যাতি, শুধু এই সিনেমাই ওনাকে পৃথিবীর সিনেমার ইতিহাসে অমর করে দিয়েছে। মননশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত সিনেমা বলতে কি বোঝায়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরন এই ছবি। ২০০২ সালে দুবার দুটো ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট এক সমীক্ষায় ওনাকেই ‘দ্য গ্রেটেস্ট’ পরিচালক তকমা দিয়েছিল। বিখ্যাত গার্জিয়ান পত্রিকা একবার ওনাকে নিয়ে কভার স্টোরি করেছিল –‘Why Orson Welles lived a life like no other’? ভাবুন, এক অগোছালো মানুষ, থিয়েটারের মঞ্চ থেকে এসে জীবনের প্রথম ছবিটাই গ্রেটেস্ট বানিয়ে ফেলেছেন – পরিচালক প্রযোজক লেখক ও অভিনেতা হিসেবে, বাকী জীবন সেই চাপ নিয়ে আরো ছবি বানাতে হবে, লিখতে হবে, একটা মিথ নিজের ঘাড়ে করে বয়ে বেড়াতে হবে। এবং ক্রাইম থ্রিলার বানাতে গিয়ে উনি আস্তে আস্তে হলিউডের স্টুডিওগুলো থেকে বহিরাগত হয়ে গেলেন। কি অদ্ভুত নিষ্ক্রমন, তাই না?

আগামী কিস্তিতে হলিউডের আরো পাঁচজনকে নিয়ে আলোচনা চলবে, যার মধ্যে এই সময়ের দুজনকে নিয়েও।

(ক্রমশ)

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন