কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩

পৌলমী ভট্টাচার্য

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৩


মোহনার কোল মায়ের একরত্তি নিমকাঠ

বাহবা দেব ব'লে নদীর কাছে গিয়েও শুকনো হলাম। মায়ের ডালের বাটি যেন উধাও হওয়া নদী। স্রোত ভাঙছে, আছড়ে বলছে-

ফোঁড়ন গুণতে পারবি পুরনো আঙুল মেপে?

বুঝতে বুঝতে সম্পৃক্ত পাপশালার আঁধার হয়েছে অজুহাত... তবু ডালের বাটিকে বহমান স্রোত ভাবতে গিয়ে সাঁড়াশি আর আই.সি.ইউ-এর  টারমিনোলজির মধ্যে যোগাযোগহীন করল মগজ। 

হয়তো একদিন মোহনার কোল হবে মায়ের একরত্তি নিমকাঠ...

হয়তো নিটোল দুর্ঘটনা ব'লে চুলকাটা পথ হারাবে এলোমেলো খোঁপা ছেড়ে...

ঠিক যেন সাবেকিয়ানা ঘূর্ণী।

জানি, আলুথালু ভূগোল পেরোনো

হৃদবায়ু প্যাপিরাস ভুলেছে নিক্তি ভাঙতে ভাঙতে অথচ ভৌগোলিক সমারোহে

কেউ সৎকার করবে না আমার প্রচ্ছন্ন আলতা যাপন।

 

গেল জন্মের পাপ দেখেছি জন্মদাতা কে বিসর্জন দিয়ে...

বিগ্রহের কাছে বিলাপ করে পাপী মননের নিষ্ঠাবান নিয়তি। স্নান ঘর জলহীন, চোখ নজরহীন দানাপানি বন্দি থাকে পেটে অথচ কী ভয়ার্ত সংকোচন-প্রসারণের ডঙ্কা বাজে পাকস্থলিতে।

প্রয়োজনীয় ব্যথার কি রং ধারণা ছিল না, তাই ব্যবহৃত বাম-পকেটের আর্টারি সেলাই করিনি গাফিলতিতে।

সাকার পটের কাছে নত থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু রাত হয়েছে, সে ক্ষুধার্ত। অন্তরে জমি থাকলেও সুদ ভরতে ভরতে কপদর্ক হয়েছি; এ হেন বিদ্যায় জল বাতাসা খেও গো মা! ঈশ্বরীর কপোলস্থানিক ভ্রু-এ আমার গেলজন্মের পাপ দেখেছিলাম জন্মদাতাকে বিসর্জন দিয়ে, তাই এ জন্মের জন্মছক চরণে লুকিয়ে রেখেছি; পাছে কেউ টানাটানি করে।

 

তীক্ষ্ণ যাপন প্রাক্কালে অ্যারোমেটিক সম্ভাষণ

আমাকে নোনাজল ভাবলে...

এরপরও প্রসব, যাতনা কাটাচ্ছে ঘুঙুর বিরহে।

তিল তিল করে পুষেছি যে বিরামজাত কাহন, তাকে গান্ধর্ব সমারোহে সৎকার করতে পারব না।

মনের বিজ্ঞাপন পালটাচ্ছে মেধাবী চন্দ্রবিন্দু আর কম্পাসের উপত্যকাটি বেশ তালেবর হ'লে অতীতের হাতে সমর্পিতা ভাবি।

গর্জিয়াস রোদে কী প্রবল বন্যা এঁকেছিলে!...

চুপ থেকেও কথা বোনা যায় তাই মূক বানানের প্রতি অনুগত থাকলাম।

পাঁপড়ির রেলিং ধরে পরাগ নির্বাচন করিনি পতঙ্গ বিলাসী হয়ে অথচ তীক্ষ্ণ যাপন প্রাক্কালে কিছু অ্যারোমেটিক সম্ভাষণে পরিচিত হয়েছিলাম বিদগ্ধ প্রাক্ প্রদোষে।

বরফ বিষাদ আবদার-আল্পনা বাতিল করে; মন্দ মুহূর্ত অতিমন্দ হয় বিবর্তন পথে। কী উপায় একতারা ধরব হে মধুসূদন বলতে পারো! যন্ত্রণার যন্ত্রটা সাবালক হয়েছে গুগল ঘেঁটে।

কুহকিনীর নেশা ভাঙলে দেখি মেরুদন্ড নেপথ্যে ভাষণ দিচ্ছে...; তুমি আঁধার ঔজ্জ্বল্যে ব্যক্তিগত হচ্ছ তমগুণে।

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন