কবিতার কালিমাটি ১৩৩ |
ডাক
স্টার্ট নেয়ার শব্দে
ঈশান কোণ পড়লে
মনঘোলা হয়
ডাক আসে
বা যেমন
সাঁঝপ্রক্সির ফাঁক-ফোঁকরে চাপা ঈশারাতীত টুঁটি
ডাক হতে পারে না
মাঝের রাস্তাটা কিছুটা ব্যবস্থা-ভাঙা ডাক
ছিনু একা
একা ছিলাম টাইপের
খুব কষ্ট কিন্তু কে যেন আছে
মনে হয়
মনে হয়, ছুটি শেষ, কাল সোমবার
কাল বৃষ্টি হতে পারে
আবহাওয়া-দপ্তরের মাথায় বেশ খানিকটা জোলো মেঘ
ডাকছে
তুলনামূলক
নদীর চেয়েও তুমি
তোমার চেয়েও বৃষ্টি
শুরুর গণনা
অপেক্ষা জলীয় কেন
কেন এতদূর এসেও তাকানো
আর বলার ফাঁকায়
এক আধটা ময়লা কুয়াশা
এক আধটা ট্রাকের চলে
যাওয়া
সেই দিন
সেই রাত
চেয়েও হল না বা হয়েছিল
অল্প দেরীর
কাঁচা মেঘ
শরীর আবছা করা তুমি
তোমার চেয়েও বেশি
একটা পড়ে যাওয়া তিস্তা
ত্রিস্তান
জারা
বইয়ের তাকে রাখা
ছোপ ছোপ
তোমার চেয়েও বেশি
বৃষ্টির সম্ভাবনা
বিকেল
কথা ঘুরে বসেই দিওয়ানা
নদী উঠেই সোঁতা
চোখ মেলল বিয়াস
বিপাশা হয়ে গেল
নদী আর নামের ভেতরে
বসে আছে
মুখ, হাত, পা, শরীর
আর কথায় কথায় যে রাত কেটে গেল
রাতের সেই নিছক আলোহারা
একটা ছোপ
গলতে গলতে
টিপের সামান্য হয়ে
ঠিক মাঝখানে
কী কপাল
কী যে ব্যবহারোজ্জ্বল
অসম্ভবা নদী
তুমি বললাম না
নদী কিন্তু তোমাকে
নিয়েই চাপা ভয়ের কারণে
ফুঁসছে
বিয়াস হোক বা বিপাশা
জলে থাকে জলে ভাসে
পানের পাতায় লং আর
চমনবাহার ফেলে নেমে আসে
খুব ঘণ কাজলা একটা
বিকেল
এই যে অমান্য
কোনও সংবিধানে নেই
সব ধারা নিচোড় হয়ে
যা হল
আমি দরজাটা সত্যিই
খুলে ফেললাম
কিশোরকুমার
আছি ও আছ’তে ‘হার্বার’
মদ দেশি
মদহোশ দিল কি দওয়া,
বিদেশি
রাতে যখন কিছু নেই,
গলা ভাত
ট্রানজিস্টারে কিশোর
কুমার
হার্টস ফেলি
ডায়মন্ড পড়েই কঁকিয়ে
ওঠে
দারুসা চাঁদের গায়ে
জলকে চলা রাত পোহাবার
জিদ
ডায়মন্ডহারবারে
কিছু হয়নি
কিছুই হয়নি যে রাতের
কিছু ভঙ্গীতেই
কিশোর দিল কথা
কুমার দিল ইউডলিং
বিপ্লব আছে, আছে হে
বিপ্লব
ঘোড়সওয়ার না জলসওয়ার
আছে আছে হে, বিপ্লব
আছে আছে, হে বিপ্লব
ওই তো সিগারেট ধরালো
ফেরিঘাটে
Jemon apni mugdho koren notun ar kobitar হৃদিতন্ত্রে?
উত্তরমুছুন