কবিতার কালিমাটি ১৩৩ |
বিসর্গের ওম
(১)
গায়ে উলকি ভাজা
দুয়োগুলো
কানে
অন্ধগলি
ঘুরে
হারমোনিটাকে
পকেটেই।
দিচ্ছে পাখির দেওয়াল
দিচ্ছে শূন্যের দিকে
আলিসান আম
ছুড়ে দিলে
ছোট ছাপ
একদম নাবুঝে।
নাবুঝেই বিন্দু বিন্দু ওম
বিসর্গ হয়ে
নাহয়েও একটু
দিচ্ছে নিচ্ছে।
ওই পড়ে পাওয়া দিল
রুবা
হবে
ঝুরো পালকে…
(২)
সেই বুদবুদে বেড়ে
আমাদের
ওঠা
তরঙ্গ
ঝেড়ে বেছে
এক মাঠ।
পৃথিবীর সমস্ত
ফুরোবার গল্প
ফাঁকা আঙুলে।
এক একটা দিন
জন্মের চেয়েও
এক একটা গান
থেকে
বেগানায়
ভেসে
নীল চন্দ্রমা।
চরণ না ফেলে
পদে
পদে
পতন শব্দ
নিপাতনে কেউ
ফুরসৎ
নিচ্ছে
কেউ কোমল
কেউ নিঃশব্দ…
(৩)
কাঁটাতারের মাস মাংসে
জলের দোলনা
ছেড়ে দিলে তারানায়
না ঝুলন্ত
একটা
শিশুপার্ক।
এই রেস্তোরাঁর
হাফ কাপ তারিয়ে
চিনি ছাড়া
কোনও একদিন
নিঝুমের
বুক
জ্যোৎস্নাগলিতে।
আশকারা হাওয়া
বিছিয়ে
অনেকের চোখ
প্রিয়ভোজ
নিয়ে
যেন ইচ্ছে করেই।
দীঘল উপমা
জমে
ক্ষীর
এরপরও বসন্ত
দিনে দিন প্রিয়ফুল।
এতো খেলা নয়
আলা গন্ধ…
মুগ্ধ হয়েই চলেছি।💚💚
উত্তরমুছুনকারুকাজ, শব্দের বুনন শিখে নিতে চেয়ে ভাবি, না থাক, পাঠিকার মন মুগ্ধতাতেই থাকুক, অপার...
উত্তরমুছুনচিত্তরঞ্জন হীরা দাদার কবিতা সবসময় অন্যরকম চিন্তার জন্ম দেয়। ভাবতে হয় প্রচুর বুঝতে হলে। অনবদ্য👌👌👌👌
উত্তরমুছুন