কবিতার কালিমাটি ১১০ |
মনকেমনের শ্রাবণদিন
নিজেদের কর্মফলে
ধরা দিচ্ছে চমৎকার পতঙ্গবাহিনী। দলে দলে দূরবর্তী
জাটিঙ্গার জঙ্গলে
...যার যা অর্জন,
দাবিদার তো সে-ই
অথৈ জোৎস্নার
জল পান করে শান্ত হয়েছে চাতকমন।
আঁধার-মিনারে
কত রাত দেখায় এখন।
অজস্র সাধ
-আহ্লাদ বুকের ভিতর। লালনপালন করে কেউ, কারো হতাশায় ঝরে
মনকেমনের শ্রাবণদিন
ঈশ্বর
সামান্যতম উপেক্ষাও
সহ্য হয় না দুর্বলতর মুহূর্তে--
অসহ্য কিপটে
লাগে পর্দাগুলোর বাদামী রং
ধূসর ছাইদান,
ছাই ধূসর
ধূসর শরীরী
উত্থান-পতনগুলো,
আলাপের স্বর
খুঁড়তে খুঁড়তে খুব ইচ্ছে হয়
মেশিনে ফেলে
দেখি
এখানে হৃদপিণ্ডগুলো
নাকি পাথর!
ক্লান্তিরও
সুর হয়। নীরবতায় নিরাময়।
যাকে ডেকে পাঠালাম
সে তো এলই না। অতঃপর
ছলছুতো
ফন্দিফিকির
সুতো বাঁধি
মন্নতের...
কীভাবে ফেরাতে
হয় যে জানে
আপাতকালীন কোনোও
ঈশ্বর!
পরিক্রমা
অশীতিপর বাঘের
বোটকা গন্ধও ঠিক নাকে এসে যায়,
শাবক মুখে পালিয়ে
যায় হরিণী।
বদ্গন্ধ নাকে
এলে টের পাই কাছাকাছি
মানুষের মন।
ব্রেইল থেকে
শিখছি
অন্ধের ধারাপাত
নতুন করে
বৃষ্টির জল
গোড়ালি ছুঁলেই
দোরগোড়ায় শ্রাবণডাকা বান
শালপ্রাংশু
নৌকা ঠিকই বয়ে যাব বিরুদ্ধ স্রোতে...
এই জন্ম
আমাদের শেষ
পরিক্রমা
বেশ ভালো লাগল তিনটেই। বেশ ভালো। কিছু শব্দ চয়ন ও ব্যবহার ভারি সুন্দর হয়েছে ।
উত্তরমুছুনজামশেদপুর থেকে বিমল চক্রবর্তী।