কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

শিবাংশু দে

 

মাণ্ডবীর গান




 

কেউ কেউ জানেন, অনেকেই জানেন না। এদেশে একটা রাজ্য আছে যেখানে দুপুরে ঘুমোবার ছুটি পাওয়া যায়। মানে, সিয়েস্তার জন্য ​​​​​​​ছুটি। সরকারি ভাবে অনুমোদিত নিত্য প্রাপ্তি। দুপুর একটা থেকে  চারটে, রাস্তায় কুকুর বেড়ালও চোখে পড়ে না। বোধহয় তারাও শয়নে পদ্মনাভ হতে চায়। চারটে থেকে আবার অফিস-দফতর খোলে। চলে ছটা-সাড়ে ছটা পর্যন্ত। রাজকীয় বিলাসিতা। আরবসাগরের তীরে এই জনপদ। সন্ধে হতে সাড়ে সাতটা। সকাল নটা নাগাদ ছোটা হাজরিতে ‘সরপোতেল’ সেবা করে অফিসে আসা। আর বেলা একটায় ভরপেট ভাত আর জিট্টি কোড়ি খেয়ে গভীর সিয়েস্তা। আর একটু উমদা খাবার লাগলে চিকেন জাকুটি বা কাফরিল অথবা পর্ক ভিন্দালু। ঘুমটা জমিয়ে হয়। সারা বছরই মনে হয় সেখানে 'উসসব'। আলাদা করে মন্ত্রীদের বাণী-টানি দিয়ে ফিতে কাটতে হয় না। ঠিকই ধরেছেন। আমি গোমন্তক দেশের কথা বলছি। মানে, গোয়া। উত্তরে তিরাকোল থেকে দক্ষিণে তিলমাতি বড়ো জোর একশো তিরিশ-চল্লিশ। আরামসে গেলেও সাগরের তীর ধরে গাড়িতে সাড়ে তিনঘন্টা। পূর্ব দিকে কোলেমই শেষ। পশ্চিমে ভাস্কো থেকে মাত্র ষাট কিমি। গাড়িতে বড়ো জোর ঘন্টা দেড়েক। তার পরেই গোয়ার পৃথিবী শেষ।

শুধু আমি নই, গোয়া আমাদের সবার কাছেই অতি প্রিয় ছোট্টো একটা স্বর্গ। ভুলিয়ে দেওয়া, হারিয়ে যাবার অনন্ত ঠিকানা। বহুদিন ধরে সারা দেশ থেকে, সারা পৃথিবী থেকে কতশত মানুষ ভিড় জমিয়েছে এখানে। কতরকমের কালচার জড়াজড়ি করে রয়েছে। প্রেয়, প্রার্থিত অন্য স্বাদের দুনিয়া। অবসরের পর ভেবেছিলুম কয়েকবছর এখানে থাকবো। চাকরি করার সময় পোস্টিঙের সুযোগ হয়নি। কিন্তু  অবসরের ​​​​​​​পর ভেবেছিলুম একবার লড়ে যাবো। আমার এক অগ্রজ প্রিয়জনের একটি ঠেক আছে  ভাস্কোতে। বছরে একবার তিনি স্যামচাচার দেশ থেকে কয়েকমাসের জন্য আয়েশ করতে আসেন এখানে। তখন বারবার আমন্ত্রণ জানান। বহুবার কথা দিয়েও রাখতে পারিনি। তাঁর উদার আমন্ত্রণ অকারণ উড়ে গেছে আরব সাগরের পাগলা হাওয়ায়। আমারও বহুদিন গোয়া যাওয়া হয়নি।

অবসরের ​​​​​​​পর ​​​​​​​থাকা ​​​​​​​যাবে ​​​​​​​ভেবে গোয়ায় পনজিতে, আমার পুরনো বন্ধুরা মাণ্ডবীর  উত্তরে দু'চার বছর থাকার মতো একটা ঠেকও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর থাকা হয়ে ওঠেনি। ঐ যে... যাহা চাই, ইত্যাদি। তাতে অবশ্য কিছুই যায় আসে না। আমার মনে গোয়ার জন্য প্রেমদুর্বল প্রদীপের আলোয় একটি অলিন্দ জেগে থাকে। থেকে যায়।   

গোয়া-চর্চা করতে গিয়ে বারবার একটা ​​​​​​​কথা মনে পড়ে। সূর্যমুখী ফুলের মতো তৃপ্ত  এই বসতিটির অন্দর মহলটিও ​​​​​​​কি ​​​​​​​এতোটাই ​​​​​​​পরিপূর্ণ? প্রদীপের নিচে ছায়াটি  ​​​​​​​প্রায়শ ​​​​​​​আমাদের ​​​​​​​চোখ এড়িয়ে ​​​​​​​যায়। কতোটা অন্ধকার রয়েছে ​​​​​​​সেখানে? একদিকে গৌড়ীয় সারস্বত ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি। অন্যদিকে পর্তুগিজ 'ম্লেচ্ছ' কালচার। দুইয়েরই  ভিত্তি রয়েছে কোঙ্কণী মৎসজীবী, শ্রমজীবীদের বিশ্বাসের মাটিতে। কিছুটা মরাঠি, কিছুটা কন্নড়। নানা রকম সমন্বিত ঐতিহ্যের  রহস্যটান ​​​​​সাগরতীরের এই ছোট্টো জনপদটিকে ​​​​​​​সমৃদ্ধ ​​​​​​​করেছে। যাবতীয় আপাত সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে গোয়া তাই আমাদের মজিয়ে রাখে। বলা হয় গোয়ায় প্রতি একশো মিটারে একটি শৌণ্ডিকশালা  দেখা ​​​​​​​যাবে। আর গির্জার ​​​​​​​সংখ্যা ​​​​​​​নাকি সুরাবিপণীর থেকেও বেশি। এই ​​​​​​​সব ​​​​​​​পরস্পরবিরোধী ​​​​​​​কাটাকুটি সারা হলে ​​​​​​​শেষ ​​​​​​​পর্যন্ত ​​​​​​​হাতের ​​​​​​​পেনসিলটি কেমন থাকে? ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত  কোথায় ​​​​​​​দাঁড়ায়? এক কথায় বলতে ​​​​​​​গেলে, কিছুই  দাঁড়ায় না। গোয়া হলো 'গোয়া'! ইতিহাসের নানা পর্বে নানা সংস্কৃতির মিশেলে গড়ে ওঠা  এই ভারতবর্ষটির কোনও আলাদা নাম দেওয়া যায় না।  সে নিজেই একটা দৃষ্টান্ত। একম এবং অদ্বিতীয়ম।

প্রকৃতিদেবী গোয়ার প্রতি উদারতায় এতো দাক্ষিণ্যসুন্দর, যে তার কথা আলাদা করে বলা অর্থহীন। তার তুলনা পাওয়া যাবে আরব সাগরের তীর ধরে কেরালা আর শ্রীলংকায়। প্রকৃতি আর মানুষের সমবায়ে গড়ে ওঠা এই প্রান্তটি মনে হয় 'সব পেয়েছির দেশ'। অন্তত বহিরঙ্গে তো সেরকমই। কিন্তু প্রকৃতি যতো উদারই হোক না কেন, মানুষ তার আবিলতা ছাড়তে পারে না। মানুষের গল্পে অন্ধকারের ইশারা বারবার ঘুরে আসবেই।

গোয়ায় যাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ তার সঙ্গীত ঐতিহ্য। ভারতীয় লোক ও  মার্গসঙ্গীতের সঙ্গে য়ুরোপিয় মিশেল এমন অনুপম ভাবে সেখানে জড়িয়ে গেছে, যার তুলনা সে নিজেই। গোয়ার লোকসঙ্গীত এদেশের সঙ্গীত ধারার এক অনন্য শৈলী। অন্যান্য প্রান্তের মতো গোয়ার সংস্কৃতিতেও সঙ্গীত ও নৃত্যের পরম্পরাটি পরস্পর বিজড়িত। বিভিন্ন ধারার মধ্যে গোয়ায় একটি নাচের ঘরানা আছে, 'দেখন্নি' এই নৃত্যশৈলীটি নানা কারণে গোয়ার সংস্কৃতির মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছুদিন ধরে। বিশেষত বম্বের চিত্রজগতের দৌলতে গোয়ার লোকনৃত্য বলতে 'দেখন্নি'রই বোলবালা।

সবচেয়ে বিখ্যাত ‘দেখন্নি’র গানটি কম্পোজ করেছিলেন কার্লোস ইউজেনিও ফেরেরা, ১৮৮৭ সালে। তাঁর সাকিন ছিলো, কর্জ্যুয়েম, আলডোনা। ভাই এডুআর্ডো ছিলেন পিয়ানোবাদক। ১৮৯৫ সালে তিনি পারীতে 'কোঙ্কনী ব্যালাড' নামে এই সুরটি বাজিয়ে খ্যাত হয়েছিলেন। তারপর কয়েক দশক কেটে গেছে। ১৯২৬ সালে তিপোগ্র্যাফিয়া র‌্যাঞ্জেল গানটিকে আবার গোয়ায় ফিরিয়ে আনেন।  

যদিও ​​​​​​​আপাতভাবে 'দেখন্নি' নৃত্যপরা বালিকাদের গান। কিন্তু ​​​​​​​এই ​​​​​​​গানটির ​​​​​​​অন্দরে ​​​​​​​রয়েছে ​​​​​​​এক ​​​​​​​বিষাদের ​​​​​​​ইতিকথা। ​​​​​​​​​​​বিষয়, একটি মেয়ে বন্ধুর বিয়েতে যাবে নদীর ঐ পারে। মাঝি যেতে রাজি নয়।  দুজনের ​​​​​​​মধ্যে দরাদরি চলছে। মেয়েটি তাকে ফুল দিলো, অলংকারও দিলো। কিন্তু মাঝি রাজি নয়। তার ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​বাসনা ​​​​​​​আছে। সে মেয়েটির থেকে একটি চুম্বনের প্রার্থী। তা না নিয়ে সে নৌকা ছাড়বে না।  অনেক ​​​​​​​রাতে মেয়েটির ​​​​​​​বাড়ি ফেরার সময়ও একই দুর্যোগ। মাঝি তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে না। তার তখন ​​​​​​​চুম্বনের ​​​​​​​থেকেও ​​​​​​​বেশি ​​​​​​​কিছু চাই। বিষণ্ণ একলা মেয়েটির আকুতি ফুটে ওঠে এই গানে। যদিও এটি একটি লোককথা। কিন্তু তার গভীরে ইতিহাসের আরও একটা বিষাদিত-অধ্যায় লুকিয়ে আছে।  

গানটি বাংলায় অনুবাদ করলে এমনটা দাঁড়াবে,

 "আমি নদীর ঐপারে যেতে চাই

আমার বন্ধু দামু'র বিয়ে আজ

আমি যাবার পথ চিনি না

আমাকে নিয়ে চলো সেখানে

বিনতি করি

 

দামুর বিয়ের মণ্ডপে

নাচিয়ে মেয়েরা নেচে যাচ্ছে

দামুর বিয়ের মণ্ডপে

নাচিয়ে মেয়েরা নেচে যাচ্ছে

 

নাও, নাও নাও (ঘে ঘে ঘে)

 

না, আমি চাই না আমার পায়েলগুলি 

চাই না, চাই না

না, তুমিই নাও, নাও নাও"

মেয়েটির কাছে মহার্ঘতম সঞ্চয় তার পায়ের নুপূরজোড়া। মাঝিকে সে অনুনয় করছে সে দুটি নিয়ে যেন তাকে রেহাই দেওয়া হয়। কিন্তু গল্প সেখানেই শেষ হয় না।

আমরা অনেকেই জানি না, গোয়ার প্রতাপশালী সারস্বত ব্রাহ্মণরা আসলে বাঙালি ব্রাহ্মণদের বংশধর। বহুদিন আগে জলপথে বাংলা থেকে তাঁদের পূর্বপুরুষরা গোমন্তকদেশে গিয়েছিলেন। এদেশ থেকে তাঁরা নিয়েছিলেন দেবীপূজার ঐতিহ্যটি। গোয়ায় শক্তিদেবী, যেমন, কালীর পূজা হয়ে আসছে বহুদিন ধরে। কালীমন্দিরের দেবদাসীদের বলা হতো 'কালীবন্তী', অপভ্রংশে 'কলবন' তাঁদের কাজ ছিল দেবতার পূজার সময় নাচ পরিবেশন করা। সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেবদাসীদের কী দুর্গতি হয়, সবাই জানে। ক্ষমতাশালী লোকেরা তাঁদের পণ্যা করে রাখতে পছন্দ করেন। বৃত্তি হিসেবে কলবনরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ‘দেখন্নি’ নাচ পরিবেশন করতেন।  বিশেষত বিবাহাদি অনুষ্ঠানে তাঁদের নাচ জরুরি ছিল। ঠিক যেমন দেশের উত্তর প্রান্তে বিবাহাদি, এমন কি 'ধর্মীয়' অনুষ্ঠানেও বাই-নর্তকীদের নৃত্যগীত অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিলো একদিন। অথচ তাঁদের কোনও সামাজিক সম্মান ছিল না। মানুষ তাঁদের নিতান্ত 'সহজলভ্যা' মনে করতো। এই গানটির রচয়িতা, কার্লোস ফেরেরা, কলবন মেয়েদের প্রতি সামাজিক নিপীড়নকে কেন্দ্রে রেখে গানটি বেঁধেছিলেন। বস্তুত এটি একটি প্রতিবাদ, প্রতিরোধের গান।     

পর্তুগিজরা গোয়া দখল করার পর স্থানীয় ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো।। সালেকর বংশের কুখত্তোবা রানে নামের একজন বিদ্রোহী শাসকদের অত্যাচারের বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর এই প্রতিবাদের সূত্রে পর্তুগিজরা দেশীয় সাংস্কৃতিক  ঐতিহ্যের প্রতি তীব্র দমননীতি প্রয়োগ করে। বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রচলিত রীতিরেওয়াজের প্রতি বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হয়। শহরের মধ্যে প্রকাশ্যে কলবনদের নাচগান বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরুপায় কলবনরা তখন বিপজ্জনকভাবে নদী পেরিয়ে অন্যপারে নাচগান করে ক্ষুধানিবৃত্তি করতেন। সেরকমই একদিন এক কলবন যখন গভীর রাতে নদী পেরিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার পর একাকিনী ফিরে আসছিলেন, তখন নৌকোর মাঝি তাঁকে বলপূর্বক অধিকার করতে চায়। সবাই জানে, কলবন নারী মানেই বহুভোগ্যা। মেয়েটি তার কাছে যা অলংকার, অর্থ ছিল সব দিয়ে নিস্তার পেতে চাইলেন। কিন্তু মাঝি নাছোড়। আক্রান্ত মেয়েটি তাঁর আরাধ্যা কালীর নামে শপথ  নিয়ে মাঝির প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে সফল হন। মরিয়া লড়াইয়ের পর তিনি মাঝিকে নৌকো থেকে নদীতে ফেলে দেন। রাত ভোর হবার আগেই ক্লান্ত, বিধ্বস্ত মেয়েটির ধীরে ধীরে বাড়ির পথ বাওয়া। সেই ভোর  যা ‘মচকাফুলে’র মতো লাল। গানটি উঠে আসে সেখান থেকেই।



মূল কোঙ্কনী গানটি "হাঁও সাইবা পোলতোদ্দি ওয়েতম" (নদী পেরিয়ে অন্য পারে যাই) শুনলেই আমাদের মনে গোয়ান সংস্কৃতির আনন্দময় উদযাপনের যে ছবিটি ভেসে ওঠে, তার ইতিহাসটি কিন্তু রক্তাক্ত নিপীড়নের সাক্ষী। গোয়া-সমুচিত, আপাত আনন্দ উৎসারের আড়ালে যে অন্ধ-অতীত আমাদের পীড়িত করে, বিড়ম্বিত করে, তার আসল রূপটি জানা হয়ে যায় মূল  "হাঁও সাইবা পোলতোদ্দি ওয়েতম"  গানের অন্দরে প্রবেশ করলে। আমরা কজন জানি? কোন অশ্রুবিন্দুর মুক্তো এই চেনা সুরের ছন্দকে উদভাসিত করে এসেছে গত প্রায় দেড়শো বছর ধরে! মূল কোঙ্কনী গানটি নতুন করে শোনা যায় গোনজাগা কুটিন্হোর কণ্ঠে। সিনেমার গানের জাঁকজমক নেই তাতে। কিন্তু সেই একলা মেয়েটির আকুতিটি সমান ভাবে বরকরার।

https://www.youtube.com/watch?v=eC2O1RnnQ0g

পরবর্তীকালে এই সুরটি অবিকল অনুসরণ করে  অনেক ​​​​​​​গান ​​​​​​​বাঁধা ​​​​​​​হয়েছে। ​​​​​​​খোদ ​​​​​​​গোয়া ​​​​​​​​​​​​​​অন্যত্র। আমাদের জোয়ান বয়সে লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল সেই অবিস্মরণীয় গানটি সিনেমার ​​​​​​​জন্য বেঁধেছিলেন।  সে গানের সঙ্গে পা মেলায়নি এমন ছেলে-মেয়ে ছিলো না সেকালে। হঠাৎ সেদিন আবার গানটি শুনে মনে পড়ে গেলো পুরনো সেই দিনের ​​​​​​​কথা। মান্না দে'র গলায় আমাদের কিশোরবয়সের স্বপ্নের গানটা না শুনলে  যেন মাণ্ডবী নদীর যাত্রা সম্পূর্ণ হয় না--

(145) Bobby - Song - Na Maangoon Sona Chandi - Manna Dey, Shailendra Singh - YouTube

ভিভা লা গোয়া... 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন