MAY BE, OR
MAY NOT BE...
প্রতিবারের
ফিরে থাকানোর থেকে এইবারেরটা কোথাও কি আলাদা?
টি-শার্ট আঁকা ট্রাম, 'ক' অক্ষরের কেরামতি, আর দাড়ির হালকা মত ঘন নকশা।
আবহাওয়া দপ্তরের ফোরকাস্টে কোথাও আজ রাস্তা ধুয়ে যাওয়ার কথা ছিল না।
যে ভাবে আমার অ্যালফাবেটও কোনওদিনও তার নামের আদ্যক্ষর চিনত না। চিনত না... হ্যাঁ চিনতই না। কিন্তু এখন?
বর্ণ চিনুক। অ এর
পিঠে আ, আ এর পিঠে ই। ই এর
পিঠে ঈ। শব্দ
হোক। গল্প
হোক। তারপর;
তারপর আমরা একদিন কবিতা হতে হতে দুম করে উপন্যাস হয়ে যাবো। কলকাতার ফুটপাথে ফুটপাথে আমাদের
গান বিকোবে। শোভাবাজার
মেট্রো স্টেশনের সামনে যে ঠাম্মাটা হাইপাওয়ারের চশমায় বুঝে পায় না ছোট কয়েন আর বড় কয়েনের
পার্থক্য।
ক্যানিং লোকালের যে দাদুটা, আজ একটা বেকারি বিষ্কুটও কিনতে পারবে না, আমাদের গান
ওদের জরির পাড়ের কাপড় কিনে দেবে, পেট ভরে খাওয়াবে।
আমাদের ভালোবাসা বেশ, অকাল শ্রাবণের মত ছড়িয়ে পড়বে গ্রাম থেকে মিউনিসিপ্যালটি, পঞ্চায়েত থেকে মফঃস্বল।
জল জমবে।
আমি চাইবো, তোর জমা জল অ্যাকোরিয়ামের মত হোক। আলোকিত, সুন্দর, রঙিন।
আমারটা বরং কুঁয়োর মত।
অন্ধকার, অবহেলিত।
তবুও ধর, আমার জমানো শ্যাওলায় তুই মুখ থুবড়ে ঝাঁপ দিবি আমার কাছে।
ভলিনির ডাকনাম হবে আদর।
চুন-হলুদের শেঁকে দূর হবে আমাদের পারিপার্শ্বিক ব্যথা।
শেষমেষ এ তবে, ভালোবাসাটা শুরু হোক।
আজ, কাল, অথবা পরশু...
অথবা তরশু...
অথবা...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন