কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

তাপসকিরণ রায়




চড়াই


চড়াইকে ঘর বানাতে দেখি,
অন্যদিকে ঘর ভাঙা স্বপ্নের একটা চোর
লতা পাতার বের ছিঁড়ে নেবে বলে
কখনো ছাগল হয়ে যাচ্ছে,
ভাল হবার তাগিদ নেই--সে অভ্যাসে ভেসে যাচ্ছে
সন্ধিক্ষণগুলি নাকি হাসি ও হুল্লোড়
আবার কখনো মানুষ হতে হতে একটা পাথর জন্ম নেয়
সে তখন আর মানুষ হতে পারে না।


রঙ


আপেল রঙ দেখে তুমি বললে, এটাই ভাল
বসন্ত এলে তুমি পলাশকে ভালবাসলে
চাওয়ায় ভালবাসা জন্মাচ্ছে
যথেস্চারের মাঝে অগণিত মানুষ জন্মাচ্ছে
ওরা পাখি হচ্ছে কখনো ছাগলছানা
কখনও কুকুর ও খরগোশের মধ্যে তোমার স্বপ্ন
লালায়িত হচ্ছে।
ইতর থেকে একটা সুস্থ মানুষ দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে !
কখনো মনে হবে তুমি একটা গাছ কিংবা পাখি
অথবা বাঁদর।


চাওয়া


যত চাও তত মূল্যবান হয়ে যাচ্ছে তোমার চাওয়া
অন্যদিকে সাজানো ফলফলাদি ও সবজির বাগান হচ্ছে
পাখিদের বন আছে, তবু তারা লোকালয়ে ঢুঁ মেরে যায়
যা যা দেখ না তুমি
অভ্যাস মত নতুন শূন্যতায় ভরে যায়
পেতে পেতে অবশেষে তুমি ধ্যানে বসলে,
ভোগের কঙ্কাল শরীর তখন খোলস ছাড়ছে।
নাম নিয়ে তাকে চিনি--তাই বুঝি ভগবানের দেখা পাই না !


পরিচয়


তার পরিচয় ছিল। 
তবু রঙ হাতড়ে হাতড়ে খরার ধূসরে তার হাত পা ও গালের ওপর
উঁড়ু চুল
তখন প্রসাধন নেই। বাঁশ বনে ঝড় উঠেছে। সাঁই সাঁই শ্বাসশব্দে তবু ব্যথা নেই
দোলন ভাল লাগে তার, সে জানে সহজে তার ভাঙন নেই।
রাত নামে, তবু মাঝ রাতে মাথার ফাঁকে চাঁদ উঁকি  মেরে যায়।
ঝড়ে চালা উড়ে গেলো। তবু দুটি বয়স্ক ছেলে মেয়ে
নির্ভয় উদাম শুয়ে আছে।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন