ভাঙাচোরা
রোজনামচার
হাঁক পেড়ে যাওয়া জীবনটাও
একদিন
দুমড়ে-মুচড়ে গেলে
প্রিয়জনেরা
বেচে দিতে চায়,
যত্নের
ছবি নিয়ে এ অফিস থেকে সে অফিস
হয়রান
কপালের ঘাম মুছে
স্মৃতির
প্রমাণ দেখিয়ে যেন
বুঝে
নিতে চায় বাঁচার রসদটুকু,
যে
গেছে তার দাম ছিলনা কোনোকালেই—
মৃত্যুও
তার দর বাড়াতে পারেনি।
একটি মৃত্যুর জন্ম
প্রতিটা
দিন আসলে প্রতিটা দিনেরই মত,
আলাদা
না করা গেলে
ফুরিয়ে
আসে আত্মহত্যার রসদ,
আর
তখন,
মানুষ যেন এক কল্পতরু—
বিগত
রূপ,
সোনালী ফসল ও স্মৃতিরা
একে
একে ভিড়তে থাকে বুকের বন্দরে;
তুমি
যে এক পড়ন্ত দিনলিপি আগে বুঝিনি!
আগে
বুঝিনি,
চৈত্রশেষ নিঃশ্বাসে মুকুলের ঘ্রাণ,
রিক্ত
ডালপালায় সবুজায়নের গল্প আর
যুবতী
বেহালার বেজে চলা, অবিরাম;
ফুরোয়
একদিন কোনো ভবিষ্যদ্বাণী ছাড়া-ই—
লাভার
ডানা-ঝাপটানো স্বপ্নে মশগুল শহর
পুড়ে
যায় পালকের বসন্ত, আগুনের ছাই যেন
আবারো
জন্ম দেয়,
আরো একটি মৃত্যুর!
কুয়াশাওয়ালা
কেউ
জানতেও পারে না কোনোদিন
মাঝরাতের
কতটা গভীর থেকে
বেরিয়ে
আসা
আদিম-আক্রান্ত
সংসার ছেড়ে
নিঃশব্দ—
আলোর
সাথে বৈরিতা তার
বিলুপ্ত
নগরীর মত ব্যাপ্ত ঝোলায়
একলা
হাইওয়ে—সরষে ক্ষেত কিংবা
হৃদয়ের
সিটিলাইটস বেয়ে
কুয়াশা
ফেরি করা কবিতার প্রান্তর
কেউ
কেনে না—মেলে না কেউ কেনার মত,
আর
গাঢ় বিতৃষ্ণায় ছড়াতে থাকা
সমস্ত
সৃজন—সব আয়োজন
নিঝুম
উত্তরের মন—শরীরে
সময়
গড়াতে থাকা ছাইপথ,
মায়ানির্মিত
অলীক আড়ালে
আলো
ছুঁতে চায় ঠোঁটেরা,
আর
উপলব্ধিতে সে অমোঘ অস্তিত্ব
ধোঁয়াবীজ
ছড়িয়ে যায়—রাশি রাশি
অস্পৃশ্য—
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন