ছদ্মবেশ
হে নিরক্ষর জীবন, সমস্ত চোখের ভাষা মুদ্রিত করো
ফেনাময় তীরে বসে ঢেউ গুনি
শুধু
যুবক অশ্বের পাশে ঘাস
খেতে আসে আজও সে যুবতী
তার খুরের শোভা, নীলাভ বিকিনি কী মর্মার্থ খোঁজে
পুরুষ-আলোয়?
সন্ধ্যার কলরোল নিয়ে একা
জেগে থাকি
প্রদীপ-সংলাপে কাঁপে দহন কস্তুরী
গহন গানের মতো প্রবৃত্তির
অমোঘ শিহরনে
বাক্যবাণে ছুটে আসে নীল
প্রজাপতি
লুকোতে পারি না পবন
জোর সামর্থ্য বাচক শব্দে
দুলে ওঠে শিস
অতিক্রম করতে চায় ঘরের
দেয়াল
ফুঁ দিয়ে ওড়াতে চায় এই
জীবন পরিধি
তখন যুবক অশ্বের মতো ঢুকে
যাই
নীল কুয়াশার ভেতর কোনও
লৌকিক বাগানে
চুপিচুপি
জলে নামতে নামতে নির্ধারিত
জীবন জানিয়ে দেয়
ডুবসাঁতারের পর কোথায়
গিয়ে উঠব আবার
সব নদীরই মতো যমুনা কূল
সব পুরুষেরই মতো আমার
বুকেও বাঁশি
তবু রোজ দেখি শ্রদ্ধার
সূর্য ডোবে
কাতর আঁধারে হারিয়ে যায়
মন
নক্ষত্র ও জোনাকির উল্লাসে
আলো জ্বলে
সে আলোয় খুঁজি শুধু তোমাকে
জীব!
যে জীবনে দু-আনা তিন-আনা খরচ হয়ে গেলে
কেউ আর নিল না আমাকে
সব নৌকা চলে গেল পরপারে
ঠিকানা হারিয়ে একা নীরব
বাঁশিতে
তোমাকে বাজাই শুধু লগ্নভ্রষ্ট
আমি
যেখানে নিশুতি রাতের ফুল
ভ্রমর বিহনে কাঁদে...
বেশ ভাল লাগে আপনার কবিতা। এ দুটি কবিতাও বেশ লাগলো। ভাবের জোয়ার কোথাও কোথাও বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। আমার লেখাতেও আপনাকে পাই। ভাল লাগে। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন