ধূসর সভ্যতা
ধূসর সভ্যতায় গা ভাসিয়েছি সেই কবে
প্রতিটি পরিক্রমায় ক্ষরিত হয়েছে উদ্বাস্তুদিন
বিকেলের আলোয় ফুটে ওঠা
আকাশের রিনরিন দেখতে দেখতে...
গুলিখেলার সাদা আন্টুল গড়াতে গড়াতে...
নাগরদোলায় চড়ে এখন সবাই ব্যস্ত ধাবমান পাখিধরায়
পায়ের পাতা ছুঁয়ে হেঁটে যায় তালপাতার শিশুরা
পূর্বপারের মানুষেরা আসছে আসছে সমানেই আসছে
দল্মায় খুঁটে খাচ্ছে অন্ধকারের ময়না
জানা হলো না আজও ক্যালকুলাসের সেই জটিল সূত্রগুলো
ত্রিকোণমিতির সমীকরণে ধরা দিল না কোনো উজবুক চাঁদ
লাল সালোয়ার কামিজের মেয়েরা অনেকেই এসেছিল নৈবেদ্য হাতে
নীল নীল ঠাকুর দেবতারা তাদের হাতে খেয়েছিল কাঙ্ক্ষিত
পরমান্ন
ধূসর সভ্যতা ছেড়ে তবু একদিন চলে যাব আমরা সবাই
সেদিন দামামা বাজবে ঠিকই তবে হয়তো শুনতে পাবে না কেউ
ঘুড়ি ও সাবান
এতটা ভাবার পর যখন সাবানের সন্ধানে তুমি হবে নদী পারাপার
কারও কারও ঘুড়িতে মাঞ্জা দেবার ব্যস্ততায় কেটে যাবে রাত
হয়তো গাছেরা তখনও থাকবে নির্বিকার
তাদের তো নেই কোথাও যাবার
গেলেও অভ্যেস নেই ফিরে আসার
এদিকে সাবানের ফেনায় পিচ্ছিল সব রেস্তোরাঁ পথঘাট
গৃহস্থালির ফর্দতে তাই সাবান বাদ
সাবান মাখবে না কেউ
সাবানে খেলবে না কেউ
সাবানের পিচ্ছিলতায় চলবে না আর কোনো রমণবিলাস
এবার কাটাঘুড়ি দোল খেতে খেতে যদি নেমে আসে তোমার দরজায়
তুমি না হয় সাবানের বিকল্পে ঘুড়ি নিয়ে রঙ্গ কোরো তোমার
নিভৃত আয়নায়
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন