ভাষা
ভোরের প্রথম
স্বরগম শুরু হলো অথচ ধরি ধরি করে আর চোখের ভাষা ধরা গেল না। বোঝা হলো না তার নিরুচ্চার শব্দবন্ধে লুকোনো ছিল কোন
সর্বনাম। ইমেজারির দিকে যে আলোক কণাটি আজ বেঁকেচুরে যায় তাকেই কি আমি বলি অক্ষমতা! অজুহাতের ভেতর এখন যে যার পথ খুঁজছে। খয়েরী
ডানার অলস ওড়াউড়ি চক্রাকারে
ছড়িয়ে দিচ্ছে কিছু ভ্রমণ। চিরকুট আসার দিনগুলো ছোট হয়ে আসছে।
একটা গল্প
তুমি লিখে গেলে অনন্তকাল ধরে। কালঘুম থেকে জেগে আমিও এক রূপকথার ভেতর চোখ লুকিয়ে বারবার বলে গেছি - ধর আমিই সেই পতনশীল পাতা, ঘুরে ঘুরে উড়ে এসে মুখ রেখেছিল যে পড়ে থাকা এক প্রাচীন আয়নায়। আয়না কখনও সেই ইতিহাস লিখে
রাখেনি। রাখে না অথচ জুড়ে থাকা সেই স্পর্শ কিংবা স্পর্শহীনতার ওই দূরবর্তী ছায়া উভয়কে সে ধারণ করে, কেন না উভয়ই প্রবল আকর্ষক।
প্রায়ান্ধকার
সেই দৃশ্যের ইতিবৃত্তে আজও তবু সেই ভাষা কেন আমি খুঁজে যাই চোখের তারায়..
সম্পর্ক
ওঁ...
পাশাপাশি চলা মুহূর্তগুলো আলোর নির্মাণ, আঁজলা ভরে তুলে নিতে চাই যা ভোরের কাছে। এই আলো, এই বসন্ত ছুঁয়ে ছুঁয়ে উড়ে আসা চক্রাকার চিলের ডানা, তোমরাও পাশে এসে বসো। থমকে
যাক সময়।
দ্রুত ফুরিয়ে আসছে সব। আবার খেলা শেষে
আড়ালস্পর্শ যদি নামাও, দেখাও স্পর্ধা-
জেনো - সম্পর্ক কেবল অন্ধকারের দিকে ভাসিয়ে দেওয়া সেই অনন্ত নৌযান
এবং জীবন.. .
যদি বলো প্রেম এখনো অবকাশ যাপনের বালিয়াড়ি তবে তুমি
বিষণ্ণ হলদেটে এক বাড়ি, সাদা-কালো মোডে রাখা বর্ণমালার ইতিহাস - যদি ভাবো প্রেম তবে তুমি পরিত্যক্ত
শহর। সুর ও সুরায় নির্জনতাপ্রিয় লাল কাঁকড়ার কাছে এভাবেই সব কুর্চিফুল,
ফ্ল্যাট ন্যারেটিভ। তোমাকে বুঝতে গিয়ে কেটে গেল সর্বনামের দ্বিধা,
শাখা
থেকে খুলে গেল বোতামফুলের
রঙ।
চিঠির ডানায় তবু অবিকল সেই ডাক শুনি।
ক্রিক রোর চালচিত্র ফিরিয়ে দেয় ছায়াপথ, একাকী
হরিণী রাত।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন