সুবর্ণরেখা
-
‘কেমন আছ বারীন?’
-
‘ভালো আছি রাহুলদা। কবে ফিরলেন? দাড়ি তো লম্বাই হয়ে যাচ্ছে! কার মডেল দাদা?’
-
‘আমারই মডেল। ফিরেছি অনেকদিন। তুমি তো আগরতলার গল্প বললে না! আসব একদিন তোমার বাড়ি। ফোন নংটা, হ্যাঁ, আছে।
একটু আধটু চলে তো?’
-
‘চলে আসবেন রাহুলদা। একটু কাজ আছে বাজারে। চলি!’
-
‘যাও যাও! বাজারে কেউ বেড়াতে আসে না!’
একটু
এগিয়েছি, ব্রহ্ম চেপে ধরল। ‘ভাল আছিস বারীন? তোর না কী হয়েছিল?’ বললাম, ‘এখন একদম ফিট’। কোনোরকমে
এড়িয়ে আর একটু দূরে যেতেই, ‘আরে, বারীন,
খুব ভালো লাগছে তো! কী হয়েছিল? হৈ-চৈ শুনলাম। তুই নাকি যাস যাস? টেলকো হাসপাতালে
ছিলি?’ এরপরে সমীর, ‘কী খবর রে? কবে ফিরলি?’
মুড
খারাপ হয়ে গেল। বাজারে না এগিয়ে উলটো মুখো, নদীর দিকে চললাম। পায়ে পায়ে
সুবর্ণরেখা। আমার ছোটবেলার নদী। আমার চিরকালের শান্তি। ছোটবেলায় শান্তি
বুঝতাম না। আকূল ভা্লো লাগা। এই একমাত্র নদীর উৎস দেখেছি, অস্ত দেখেছি। সব সময় খেলতে ডেকেছে। কখনো জিজ্ঞেস করেনি, কেমন
আছি। কেবল ডেকেছে... আয়, নেমে আয়...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন