ফ্রম জেমস বন্ড, উইথ ইডিওলজি
দ্বিতীয় পর্ব
হ্যামলেট এবং বন্ড
“James Bond rubs shoulders with Hamlet”
২০০০
সালের ১০ই সেপ্টেম্বর। টাইমস অফ ইন্ডিয়া
দৈনিকের ৬-এর পাতায় উপরে উল্লিখিত শিরোনামে মহুয়া চ্যাটার্জীর লেখা আর্টিকল। আর্টিকলের উপপাদ্য বিষয় দিল্লী ইউনিভার্সিটির ইংরেজি
অনার্স সিলেবাসে বেশ কিছু নতুন টেক্সট-এর সঙ্গে সঙ্গে কিছু পপুলার লিটারেচার ও
ইয়ান ফ্লেমিং রচিত ‘ফ্রম রাশিয়া, উইথ লাভ’
উপন্যাসটির অন্তর্ভুক্তি। সমস্ত আর্টিকলটিকে বিচার্য বিষয় না করে শুধুমাত্র এই
শিরোনামটিকে ধরা যাক। এই শিরোনামটি দু’টি অনুমেয় বিষয়কে প্রবলভাবে নির্দেশ করে।
প্রথমত, ধরেই নেওয়া হয়েছে যে ইংরেজি সাহিত্যের দু’টি চরিত্র — বন্ড ও হ্যামলেট — সাধারণ মানুষের কাছে, এমনকি হিমালয়ের উলটো পারের ভারতীয়দের কাছেও ভীষণ
পরিচিত নাম। এই ‘ধরে নেওয়ার’ ঘটনাটি ভীষণভাবেই ‘জনপ্রিয় সাহিত্যের’ একটি চরিত্র হিসেবে
জেমস বন্ডের বিপুল পরিচিতির দিকে ইঙ্গিত করে। দ্বিতীয়ত, দু’টি বিপরীতধর্মী, বিপরীত
স্তরে ও গোষ্ঠীতে বিরাজিত চরিত্রের পাশাপাশি সহাবস্থান ঘটিয়ে এই হেডলাইনটি একটি
অবশ্যম্ভাবী নাটকীয়তা সৃষ্টি করতে চেয়েছে। এই সহাবস্থানটি একটি ‘অসম্ভব’ ঘটনা।
এবং, এখানেই এই সহাবস্থানের নাটকীয়তা লুকিয়ে আছে। দু’টি চরিত্র এখানে নিজেদের
গোষ্ঠীর — যথাক্রমে ‘লো লিটারেচার’ ও ‘হাই
লিটারেচার’ গোষ্ঠীর প্রতিভূ। তাদেরকে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ‘মেটোনিমি’ হিসেবে।
পপুলার
লিটারেচারের প্রতিভূ বা ‘মেটোনিমি’ হিসেবে জেমস বন্ডের জনপ্রিয়তার পিছনে অনেকটাই
ইয়ান ফ্লেমিং-এর প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরা নির্দিষ্ট ‘ইডিওলজি’ এবং তৎকালীন ‘ইতিহাস’
দায়ী। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ডিকলোনাইজেশন চলছে — বিভিন্ন উপনিবেশগুলি স্বাধীন হচ্ছে। ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য হারিয়ে ইংল্যান্ডের
রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী
বিশ্ব-রাজনীতিতে মার্ক্সীয় শাসনাধীন রাশিয়ার গুরুত্ব ও প্রতিপত্তি উত্তরোত্তর
বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ও তার সহযোগী আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার ‘ঠাণ্ডা
যুদ্ধ’ চলছে। এই সবগুলি বিষয় সেই সময়ের ইতিহাসের নকশাচিত্র তৈরি করে। বাস্তবে,
দু’টি বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন গুপ্তচরের সংখ্যা ও গুরুত্ব দুই’ই খুব বেশি ছিল সমস্ত
দেশেই। বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে অনেক গুপ্তচর কর্মচ্যুত হয়ে পড়ে, এবং তাদের অনেকেই
স্পাই-ফিকশন লিখতে শুরু করে। ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলাকালীন গুপ্তচরদের এই ধরনের গোপন অথচ
দেশাত্মবোধক, খতরনাক অথচ নায়কোচিত কর্মকাণ্ডের টানটান বর্ণনা সাধারণ মানুষের মনের
গোপন ইচ্ছাগুলোকে, উদ্দীপকগুলোকে, জাগিয়ে তুলেছিল। এই ফিকশনগুলো রাষ্ট্রের
ইডিওলজির ধারক, বাহক, প্রচারক ও প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিযুক্ত হয়। রাষ্ট্রীয় ইডিওলজি
জনসাধারণের মনের গহীনে আস্তানা তৈরি করে স্পাই-ফিকশনের, বা বৃহত্তর অর্থে পপুলার
লিটারেচারের, মখমলি অথচ মুচমুচে কাহিনীর জনপ্রিয়তার হাত ধরে। এবং, এই বিষয়ে
রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রনায়কদের নিজস্ব উদ্যোগও ছিল চোখে পড়ার মতোই। দু’টো উদাহরণ
দেওয়া যাক। ফ্লেমিং-এর ‘ফ্রম রাশিয়া, উইথ লাভ’ ৮ই
এপ্রিল, ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হওয়ার আগে ১৯৫৬ সালে যখন ফ্লেমিং তার জামাইকার
‘গোল্ডেন আই’ এস্টেটে ছুটি কাটাচ্ছেন এবং উপন্যাসটি লিখছেন, তখন তৎকালীন ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রী স্যর অ্যান্টনি ইডেন সেখানে কিছুদিনের জন্যে ছুটি কাটাতে যান।১
এই ঘটনাটি উপন্যাসটির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ এবং পরবর্তীতে উপন্যাসটির বিক্রি
বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।২ এরপরে, ১৭ই মার্চ, ১৯৬১ ‘লাইফ ম্যাগাজিন’-এ
আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির পছন্দের দশটি বই-এর তালিকাসমৃদ্ধ একটি
আর্টিকল বেরোয়।৩ সেই তালিকায় ‘ফ্রম রাশিয়া,
উইথ লাভ’ ছিল দুই নম্বরে, এবং একমাত্র ফিকশন।৪
এই ঘটনাটি এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিপুল প্রচার ‘ফ্রম
রাশিয়া, উইথ লাভ’-এর জনপ্রিয়তা ও
বিক্রি ব্যাপক হারে বাড়িয়ে দেয়, এবং আমেরিকায় ফ্লেমিং সর্বোচ্চ বিক্রীত
ক্রাইম-রাইটার হিসেবে পরিগণিত হয়।৫ সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা,
বিপুল চাহিদা, সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ — এই তথ্যগুলোই জেমস বন্ডের ‘মূল্য’ নির্ধারণ করে।
ব্রিটেনে
ও ব্রিটিশ সাহিত্যে গুপ্তচরদের সামাজিক স্বীকৃতি বরাবরই পরিলক্ষিত হয়, যা আমেরিকা
ও মার্কিনী সাহিত্যে সেইভাবে হয় না। ব্রিটেনে স্পাই-ফিকশনের এবং জেমস বন্ডের এই
স্বীকৃতি ও পরিচিতির কারণ হিসেবে দিলীপকুমার বসুর একটি তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা আছে:
“…Britain
had an empire, its anxieties and compulsions gave this kind of fiction a
direction at its moment of birth which, notwithstanding its mutations in
different periods, has given the production of a hundred years in UK continuing
engagements, intertextuality, complex conversations across time, a clan
existence almost (where not everybody may be everybody’s friend). James Bond
novels by Fleming can be more clearly understood by focusing on its closest
surroundings— placing them in Britain’s history and in the context of the spy
fiction written in the island.”৬
বসুর
পরামর্শ অনুযায়ী যদি ব্রিটেনের স্পাই-ফিকশনের ইতিহাস পর্যালোচনা করা হয়, দেখা যাবে
এই শাখার লেখাকে যুগ অনুযায়ী পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়:
১) বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত
২) বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশক
৩) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-কাল
৪) ঠাণ্ডা যুদ্ধের যুগ
৫) ঠাণ্ডা যুদ্ধ-পরবর্তী যুগ।
প্রথম
পর্যায়ে Erskine Childers, E.P. Oppenheim,
Rudyard Kipling, Baroness Orczy, Joseph Conrad ইত্যাদিরা গুপ্তচর
কাহিনী লিখতেন। তবে এই পর্যায়ের সবথেকে নামী লেখক ছিলেন William Le Queux, এবং রিচার্ড হ্যানে নামক গুপ্তচরের স্রষ্টা John Buchan। দ্বিতীয় পর্যায়ে Oppenheim, Orczy, Le Queux, H.C McNeile (‘Sapper’), Somerset Maugham,
Compton Mackenzien এবং Valentine Williams এই
ধারাকে লেখার মাধ্যমে পুষ্ট করেছেন। Oppenheim আগের পর্যায়েও
লিখতেন, তবে এই পর্যায়ে এসে তিনি একজন প্রধান লেখক হয়ে ওঠেন। Maugham একটি মাত্র কাহিনী লিখেছেন ‘অ্যাশেন্ডেন’ নামে ১৯২৮ সালে। এই পর্যায়ের
প্রধান দুই স্তম্ভ হল Sapper এবং Williams। এরা দু’জনে গুপ্তচরের চরিত্রায়নে এবং লিখনশৈলীতে আগের
পর্যায় থেকে চলে আসা ধারার কিছু পরিবর্তন ঘটান। স্যাপারের নায়ক বুলডগ ড্রামন্ড
অনেকটা ছিল কাউন্টার-স্পাই ধরনের। উইলিয়ামস-এর কাহিনীর
নামকরণ হত শত্রু-পক্ষের গুপ্তচর এবং গল্পের খলনায়কের নামে — ‘ক্লাবফুট’ — যাকে ব্রিটিশরা পরাজিত করত
অবশেষে। এছাড়া, ১৯৩৬ সালে Eric
Ambler এবং ১৯৩৮ সালে Graham Greene লেখা শুরু
করেন। এঁদের লেখায় বাস্তব-রাজনীতি এবং মরাল আনসার্টেন্টির প্রবেশ ঘটে। তৃতীয় পর্যায়ে
Ambler, Greene এবং Manning Coles-এর
কিছু লেখা পাওয়া যায়। সংখ্যা ও মান দু’ই দিক থেকেই এই পর্যায়ে বিশেষ কোনো অগ্রগতি
দৃষ্টিগোচর হয়না। কোল্ড ওয়ার পরবর্তী
পঞ্চম পর্যায়ের স্পাই-নভেল প্রকৃতি ও দর্শনের দিক থেকে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়;
অনেক বেশি পরীক্ষামূলক বিষয়ের দিক থেকে।
যে
পর্যায়টি নিয়ে উপরে আলোচনা হয়নি সেই চতুর্থ পর্যায় বা কোল্ড ওয়ারের বছরগুলোতে
সংখ্যায় ও বৈচিত্র্যে অনেক অগ্রগতি হয় স্পাই-ফিকশনের; অনেক সমৃদ্ধ হয়। পুরনোদের
মধ্যে অ্যাম্বলার ও গ্রীন ছিলেন; নতুন লেখকদের মধ্যে Le Carré, Den Leighton, এবং সত্তরের
একদম শুরুর দিকে Desmond Bagley আর Anthony Price এসেছিলেন। কিন্তু গুপ্তচর-কাহিনীর গোটা ইতিহাসটাই বদলে দেন ইয়ান ফ্লেমিং।
ব্রিটিশ ফিকশনের এবং থ্রিলার কাহিনীর ইতিহাসে সবথেকে বেশি অর্থ উপার্জনকারী হল
ফ্লেমিং। বিশেষত ফিল্ম-ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সাধারণ মানুষের মনে
সর্বোচ্চ প্রভাব বিস্তারকারী লেখক হল ফ্লেমিং। সাহিত্য এবং গুপ্তচর-কাহিনী দুই’এর
ক্ষেত্রেই ফ্লেমিং-এর এক বিশেষ ও অনস্বীকার্য অবদান ছিল। ডেনিং লিখেছেন,
“[Fleming Books] retain certain playfulness and
self-consciousness as artifacts. With Fleming, the thriller becomes ‘spy novel’
in two new and contrary senses, both of which make for this self-consciousness.
The first move is towards the ‘literary’, the spy novel: the second,
towards the generic, the spy novel.”৭
এই
সময়ে, পানেক-এর মতে যাকে “the
golden age of the spy novel”৮ বলা
হয়, Le Carré, Den Leighton ইত্যাদি লেখকদের সৃষ্ট
গুপ্তচর-কাহিনী ফ্লেমিং-সৃষ্ট কাহিনীর সুর, ভঙ্গিমা ও ধরনের দিক থেকে সম্পূর্ণ
বিপরীত ছিল। বিশেষত, লে কারে’র ‘The Spy Who Came in from The Cold’ (১৯৬৩), “with
its cold, spare and cynical prose”, ফ্লেমিং-এর লেখার ধরনের থেকে অনেক বেশি বাস্তবধর্মী ছিল। কিন্তু, তা
সত্ত্বেও ফ্লেমিং ও বন্ড জনপ্রিয়তার চূড়ায় থেকে গেছে।
যদিও হ্যানেকে সরকার থেকে নিয়োগ করতো, এবং
অ্যাশেন্ডেন একজন পেশাদার ছিল, তবু ১৯০০ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত লেখা
কাহিনীতে নায়ক ছিল মূলত একজন অ্যামেচার গুপ্তচর। কিপলিং-এর ‘কিম’ গল্পে গুপ্তচর
বৃত্তি ও প্রতি-গুপ্তচর বৃত্তিকে প্রথম এক ‘গ্রেট গেম’ হিসেবে দেখানো হয়। দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুগে সত্যিকারের পেশাদার গুপ্তচরের আগমন ঘটে। এরা ‘মরাল ডিলেমা’, ‘পলিটিকাল ডাউট’ ইত্যাদিকে একেবারে মুছে ফেলে পুরোপুরি
রাষ্ট্রের প্রতিভূ হয়ে ওঠে এবং রাষ্ট্রীয়-ইডিওলজির ধারক ও বাহকে পরিণত হয়। অবশ্য
এরা কাজকর্মে, চাল-চলনে অনেক বেশি আধুনিক ছিল। এই বিষয়ে দিলীপ কুমার বসু
বলেছেন,
“References
to contemporary intelligence organizations, consumer goods, latest fashionable
sexual mores make the surface modern, but it may be argued that in much of this
fiction the core is again of the adventure-romance. The competition between
rival espionage agencies stands as a simulacrum for the larger forces of
historical struggle.”৯
ওয়ার্ক
বলছেন গুপ্তচর-সাহিত্যের ইতিহাস “suggests a typology of alternating modes of quasi-realism in which the
thrill of the adventurous romance vies for command with the politically charged
narrative of social danger. Both modes are perpetually recycled.”১০
উনি
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেখান যে পাঁচের দশক ও ছয়ের দশকের শুরুর দিকে
“The
old style of the individual hero rescuing civilization was resurrected just at
the moment when the stupendous forces of ideological and military confrontation
appeared to rule out any role for the individual at all.”১১
আপাতনিরীহ
সুপার হিরোইজম-এর কাহিনীর মলাটের ভিতরে এক গম্ভীর বুর্জোয়া মতবাদ ভাঁজ করে রাখা
রয়েছে— গোষ্ঠীতন্ত্রের থেকে ব্যক্তিতন্ত্র বেশি প্রাসঙ্গিক, বেশি শক্তিশালী। ঠিক
এই কারণেই জেমস বন্ড মিথ-এ পরিণত হয়, ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রে উন্নীত হয়— বিশেষ করে ‘ফ্রম রাশিয়া, উইথ
লাভ’ গল্পে।
সূত্র ও ঋণ
1) Andrew Lycett. Ian Fleming. London: Phoenix. 1996. p. 313.
4) Andrew Lycett. Ian Fleming. p. 383.; Ian Fleming; Charlie Higson. (2006). From
Russia, with Love. London: Penguin Books. p. vi.
5) Dilip Kumar Basu. ‘Introduction’. From Russia, with Love. Dilip
Kumar Basu. ed.Worldview. 2001. p. xxiii-xxiv.
6) Michael Denning. Cover Stories: Narrative and Ideology in the British
Spy Thriller. Routledge & Kegan
Paul. London and New York, 1987.
Quoted in
‘Introduction’. From Russia, with Love. Dilip Kumar Basu. ed. Worldview.
2001. p. xxv.
7) L. LeRoy Panek. The Specal Branch: The British Spy Novel, 1890-1980.
Bowling Green. Ohio: Bowling Green University Popular Press, 1981.
8) Dilip Kumar Basu. ‘Introduction’. From Russia, with Love. p.
xxvii.
9) Wesley K. Wark. ed. Spy Fiction, Spy Films, and Real Intelligence.
London: Frank Cass, 1991.
10) ibid.
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন