কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬

অভিষেক ঘোষ

এসো... আরামের কথা বলি

                                
যে মাঝরাতে আমি লেবুর আচার খেয়ে নিজের কাব্য লেখার দুঃখ ভুলতে থাকার চেষ্টা করি
ট্রাম লাইনের ধারে কত বসে থাকা ব্যথা আমায় খোঁজ না নিয়ে, আজ বাড়ি ফিরে গেল,
আমি জানি তারা কেউ বাড়ি ফিরতে পারবে না। তাদের মদ্য রাতের কান্না কান্না ও কান্না,
কোনো প্রাক্তন কবির দরজা খুলে দেবে না।
তারা ভেবেছে,
এবার থেকে, গঙ্গার পারের, হাওয়া ও বাদামের ভিক্টোরিয়া হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে, বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবে।
ময়দানের প্রতিটি গাধা ক্রিকেট প্লেয়ার, জুয়া খেলতে যাবে, বাবা মার হাত ধরে।
বাবা মা... জুয়া খেলতে যেত... তাদের বাবা মার হাত ধরে।
তার বাবা মার মধ্যে একটা বাবা মাকে আমি চিনতাম,
আমি জানতাম...
শুধু এই বাবা মা-টা জুয়া খেলে ছেলেকে মেয়েকে বড় করে তোলে নি...
ছেলে মেয়ে, মা বাবাকে, জুয়া খেলে, খেপ খেলে,
বেসিকালি, সেফ খেলে,
বড় করে তুলেছে।
তবুও,
সেই বাবা মার মুখে হাসি নেই...
তবুও,
সেই বাবা মার বুকে কান্না নেই কেন?


আলো কিনে

তোমার ঠোঁটের সামনে, যে পাহাড় দেখেছি
তার একটু দূরে, আবছা আরও ঘাস পাহাড়
সকাল এগিয়ে গেল... হলুদবালি ফেলে দিয়ে
এখন দুটো। স্নান করে, ফিরে আসে নি সাহা...
আমার জানালা ভেঙে এই প্রথম নোনা জল
লো
আমি বৃষ্টি নিয়ে আদিখ্যেতা করেছিলাম যত
যে মূর্তি, মাটির নিচে সারাদিন পোঁতা থাকে
প্রা নিয়ে, তারাও কথা বলে যায় নিজের মতো
যার মতো হয়ে গেলে, অবাক হয় না বিশ্ব
শিষ্যরা সবাই মিথ্যুক হবে, এই যেন আশা
পাঁচিল টপকে জল আসেনি, এসেছে যত পাঁচিল
তারও তো, সেই মুহূর্তের স্বাদ। অপূর্ণতার ভাষা।
যাকে পড়ে বোঝা যায় না এমন কোনো দিন নেই
আবার, যাকে পড়ে বলতে বললে, মুখে আসে কালো
এই সাদা ঢেউ নিয়ে ফিরে এলে পায়ে পায়ে,
বালিগুলো গুণে রেখো, হে আমার, পাহাড়ে কেনা আলো।


মিত্ররা সবাই জানে না তা

তোমার পৃথিবী শব্দের পিছনে ছোটে না
চামচে অল্প লেগে থাকা মিত্র... জানে তা
সূর্যোদয়ের কান্না কোথায় লুপ্ত করেছে জয়
কোথায় শান্ত রেখেছে অশালীন নীরবতা
তবু কেউ প্রান্তে যাব না, শেষের দিন
জানতে যাবে কোনো ভূমিকায় যুদ্ধ লেখে
নম্বর তো ভগবানকেই ফিরিয়ে দিলো
যন্ত্র নিয়ে, মানুষকে যারা পড়তে শেখে
সেই কান্নারই কোনো দুঃখ নেই, আছে জল
পাখির বাসায় কম্বল দান করেছ শীতকালে
চায়ের ভাঁড় উল্টে পরে, ভাঙা বেঞ্চির গায়ে...
বাক্য প্রসারিত হলেও, উঠতে পারে না ডালে
জালে আরও রোদের বড় বড় পাথর ওঠে,
কাদার ভেতর গেঁথে থাকে মাছের নীল আঁশ
ছেলেটা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে এলে, মেয়েটি বলে...
কী রে বল,   
কেন আমায় এত ভাবাস?
                              
                                                                     


2 কমেন্টস্: