কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

শর্মিষ্ঠা ঘোষ

স্বভাব  


শেষ সুতো ছিঁড়ে ফেলার পরও কোথাও না কোথাও তাও বাকি থেকেই যায়...

তাই না রে, বাবিন?

এই যে তুই আমার তিনশো পঁয়ষট্টি জেনে গেছিস
আর আমিও তোর ইঞ্চি ফুট গজ মাইল দৌড়ে যাচ্ছি সুদীর্ঘ ডায়ালগে

কেউ কাউকে ছাড়া হারিয়ে যাচ্ছি আর হারিয়ে ফেলছি
তারপরও রেগুলার তৃতীয় পুরুষে কথা হয়
এক্সট্রা অ্যাটেনশানের পেছনে আমরা নিজেদের সাময়িক মিথ্যে করে ফেলি

বলতে বলতে থেমে যাই
ঠোঁট কামড়াই
নিঃশ্বাসের ওঠাপড়ায় ভাঙতে থাকি নিজেদের
কমন ঘরের চাবি খুলে পুরনো অপেক্ষায় দোল খাই একমাত্র চেয়ারে
একাকীত্বের সিগারেটে পুড়ে যাচ্ছে আঙুল
ফুলকি পুড়িয়ে দিচ্ছে ঠোঁট

শূন্য ইজ ইকুয়াল টু দূর
দেওয়ালের টিকটিকিটা পড়ে ফেলছে চোখের এমনধারা টাইম পাস

স্ক্রিনে বসন্ত ডাকলেই মনে পড়ে যাচ্ছে তুমুল ঘরকন্না
অভাবী ঘরের স্বভাবি আদর আদর...

                                 


তারপর


চানঘরে আর গান বাজছে না
রান্নাঘরটাও যে আদতেই বোবা কালা তা এতদিনে বুঝলাম
তথাকথিত কোজি নুক আর ব্যাবিলন আর একটার ওপর আর একটা ছাদ
তাতে কোনো আকাশ নেই বাতাস নেই আগুন নেই ফাগুন নেই
ছককাটা সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে নেমে আসে মাঘী শীত
আমায় সম্বৎসর কেয়ার করে
আমায় নজরবন্দী রাখে জল স্থল অন্তরীক্ষে জনতায় নির্জনে
দৃষ্টি নিভিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছি রক্তিম কঠোর
বধির ডিঙ্গিয়ে যাচ্ছি ব্লারব ওয়াল
সাঁতার না জেনেও প্রেমে পড়ে যাচ্ছি কাকচক্ষু সরোবরের
আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি কুয়াশা কেটে কেটে বন ভেঙ্গে ভেঙ্গে কারো বা তুমুল অধিকার
তারপর একটুকরো আপন তারপর একপশলা বারিশ
তারপর টুকরো কুড়িয়ে কুড়িয়ে ফেভি কুইকে জুড়ে যাচ্ছি মাথা গলা ধড়

                                             

সঙ্ঘ


তোমার ডান হাতের তুড়িতে গ্রীবা হেলাচ্ছে ভারীমাথা রাজহংসীটি
বাঁ হাতের মুদ্রায় অপার বরাভয় দূর দেশগামী নদীটির
তালি বাজালেই তালবাদ্য আর টঙ্কারে ঝঙ্কৃত এলেবেলে
এভাবেই বুঝি তুমি সঙ্ঘ গড়বে, আহ্লাদীনি?

যা কিছু যুগল নিভৃত রসিক সেই বয়ানের
বাইরে কোথাও গমগম করে একলা ঘর
গুগুল ধূপে ছাইপত্তর যৎকিঞ্চিৎ
বাজছে সময় কাছ দূর ঘেঁষে প্রগাঢ় মন্ত্রে
https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন