কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

শঙ্কর বসু

মাটির ময়না  


নিঃস্বের আসক্তি কিসে!  ছেড়ে ছেড়ে যেতে পারলে বাঁচে ...
যতটা সে ফাঁকা করবে, আলো ধরবে ততই আঁধারে  
দৃশ্যকল্পতরু, তারও বেড়ে ওঠা নেই সে আঁধারে
কপালে দপদপে এক শিখা, হু হু হাওয়া পেলে নাচে ...

আকৈশোর গেছে যার কালো দিগন্তের সাদা বকে
চেয়ে থেকে থেকে ... দেখে নদীতে-আকাশে কানাকানি !
কিসের তুমুল জোর খাটাবে সে দড়ি টানাটানি!

খেলার সাত-হাত দূরে, ধরা-ছোঁয়া নেই বাঁধা-ছকে

রোকোনকে রাখতে হবে বদজিনের মন্তর পেরিয়ে
মাদ্রাসারই সুপ্ত বুকে গুপ্ত আস্তানায় চুপিচুপি
কানে বাজবে ঝিঁঝি, চলবে খালি হাতে বল লোফালুফি ...
বাঁশি-ফুঁয়ে সাপ আসবে মুরুব্বীরও চোখ ফাঁকি দিয়ে

যুদ্ধে গেলে দিল-দরদ মেয়ে-মরদ বন্ধু শত্রু সবে
আনুর মায়ের হাতে হাত রেখে হাঁটা শুরু হবে ...



বৈভব 


একটা ঠাণ্ডা বাতাসের রূদ্ধদল, বুকের ঠিক মাঝখানটায় 
পদ্মের নালের মতো ফাঁপা ... শেষপর্যন্ত এই তুমি দিয়ে গেলে ... 
নিচের, মূলের টান ছাড়িয়ে 
ভার আলগা করতে করতে, নিরাভরণ, উঠে আসছে 
বাষ্পলীন ভেসে থাকছে, অনাঘ্রাত, অনাহত ... 
বুক-জলে ডুবে থাকছে ঘর ... 
যখন শরীরমনে স্রোতে ও তরঙ্গে ছিলাম মগ্ন, পরস্পর 
যে এক বাতাস এসে ঘন হয়ে উঠেছিল দুজনের ফাঁকে ও ফাঁকায় 
দিয়ে গেছে এ বৈভব, 
একা, একান্তের ...


বেলাই বিল


ঠায় চেয়ে থাক মেয়ে, চোখ থেকে সরাস না ও চোখ
মণিতে ও কার মুখ ! ঢেউ উঠুক ঢেউ অপলক ...
ট্রলারের শব্দ ছেঁকে মৃদু-স্পন্দমান এক তুমি'
ডানা মুড়ে মেলে পুনর্জন্ম দিচ্ছে এই জলাভূমির
আমরা সে আঁতুর ঘিরে একমনে ডাকছি, ‘হে মালিক
ব্যথার ভাঁড়ার যেন ফুলে ওঠে, প্রসবকালীন ...
যদি ঝড়ে ওড়ে চাল ... ভূলুণ্ঠিত, ভেঙে পড়ে খুঁটি
পড়ুক, সে মূর্ছনায় ডুকরে কেঁদে উঠুক শিশুটি
দুহাতে পদ্মের মতো স্ফুট মুখ -- মৃত-সঞ্জীবনী ...
কে এলো অকূলে ভেসে, এ অবগাহনে, হারামণি
বেঘর সে কার আত্মা! ঘাসে ঘাসে চিহ্ন নেই কোনো
হিমেল নিঃশব্দ পথ ... ফুলে ফুলে মধু-আহরণও
থমকে গেছে ভ্রমরের; করুণার্দ্র অস্ত সূর্য-আভা
কার না-ফেরার পথ রঙে ধুয়ে দিল আজ আবার ... 




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন