চোখের ধারাপাত
মনে করে নেমে এসো জংশনে দাঁড়ানো মালগাড়ি তোমাকে ডেকে নিয়ে গেল। সবগুলো জানালায় উৎসাহী মুখোশ
তোমাকে খুঁজতে স্টেশনে ঝড় তুলে দিলো। যাও
বনদেবী যাও, এই অরণ্যবাস, চোখ ও চোখের ধারাপাত অসংখ্য
সন্দেহ কাঁপা হাতে ভূর্জপত্রে লিখে গেল-
সর্বনাশের চেয়েও বেশি চেয়েছিল যা, তার মুখ ঝিমঝিম রৌদ্রস্নাত।
এবার শুনছি শতাব্দীর সঘন সংবাদ, জলে নেমে খেলা হবে তোমার আমার
পুনর্জন্মের পৃথিবী
আজ আমার
জন্মদিন,
মুখাগ্নি করো না ভুলে
তিনহাজার বছরের প্রেম নিয়ে এসেছি এবার
তিনশো বছরের প্রাচীন শহরে
তিনহাজার বছরের প্রেম নিয়ে এসেছি এবার
তিনশো বছরের প্রাচীন শহরে
কেউ কি
চিঠি লিখেছিল, অন্ধকারে ডুবে যেতে যেতে কেউ হয়তো গান
গেয়েছিল। জন্মদিনে পাঠানো কার্ড ও চিঠি ফিরে গেছে প্রেরকের কাছে, সে তো অবাক!
তাহলে কি বেনামে লিখলেই পেয়ে যেতাম অথবা ভুল ঠিকানায়। তিনহাজার
বছর ধরে এই ভুলভাল চলছে। তবু প্রেম বয়ে আনি তিনশো বছরের প্রাচীন
শহরে, জন্মদিনে
দিয়ে যাও সেই হারানো চিঠি, তুমি
যার শব্দে বসে হৃৎপিণ্ডের ধ্বনি গুনে যাও। দাও একটু ছলনা চাহন, খানিক অন্য রকম। সেসব চিঠির দিন কাটুক র্যালির সাথে দলবেঁধে। ঠিক নামের ঠিকানা লেখা আটচল্লিশটি খামে অন্ধকার
ডুকরে উঠুক অন্দরমহলে
ভ্যান
গগের জ্বর
ভ্যান গগ বসেছিলেন এইখানে, জলের
দরজা খুলে, সৈকতে পোশাক রেখে নেমেছিলেন জলে, সেই থেকে জলের ছবিগুলো বড়
বেশি নীল মনে হয়। তারপরও সূর্যমুখীর মুখ কেন এত হলুদ লাগছে বলো তো ভিনসেন্ট
পুড়েছে জ্বরে, তার চোখে সূর্যের আলো। কপালে জলপট্টি দিয়ে সারারাত বসে আছি পাশে, আহারে
কেন তার এত জ্বর এল! কেন বোঝে না সূর্যমুখী সে যে ব্যথার গহন তাপে কেঁপে কেঁপে
ওঠে, ঝরে পড়ে আল্পসের বনে
সারারাত ভুল বকে ভোরবেলা ঘুমিয়েছে সে, ডেকো না তাকে। রঙের
স্বপ্নমাখা কোনো স্বপ্ন দেখছে হয়তো, ঘুমঘোরে জ্বর এঁকে যাচ্ছে। তার নিশ্বাসের শব্দ খুব অন্যরকমের অচেনা লাগছে। এবার থিউকে লিখে দিতেই হলো একবার আসতে
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন