কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / দ্বিতীয় সংখ্যা / ১২৯

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / দ্বিতীয় সংখ্যা / ১২৯

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

০৭) পৃথা রায়চৌধুরী



পৃথা রায়চৌধুরী

অন্ত্যেষ্টিকালীন
তারপর ইস্পাতও লজ্জায় লাল হলো
অ-জীবন তোমাকে ছুটতে দেখে প্রাণপণ

সরে যাও, জায়গা দাও একটু ঠিক তোমার পাশে
লুটিয়ে পড়ে দেখি, মানবতা কোন বেজন্মার নাম;

কার হাবুডুবু প্রেমিক, কার হবু পিতা, ভাই
কবর বা চিতা অথবা নৃশংসতায় শুধু তাদের...
অবগাহন কিংবা অতিপ্রাকৃত রমণ।


অঙ্গীকার
রাত সত্যি এলো তাহলে, বলো
এবার সময় অন্ধকারকে চিরতরে
নিজেকে দেবার 
কিন্তু, সে কি নেবে আমায়, কালো?

দূরকে নিজের করে নেবার কাল
আগতপ্রায়, পড়ে থাক যত সম্ভাব্য না হওয়া; 
এসে যায়নি কোনো কিছু জন্ম ইস্তক
আজ নতুন করে বনশিমুল হতে লোভ হয়
একরাশ খয়েরাটে লাল চটচটে জমাটের মাঝেও
কেন তোমার হতে চাই, শুধু একবার 
এক বিন্দু আলো...

সব বন্ধ ছবির রঙ মুক্ত করতে চেয়ে
অন্ধ তুলি শূন্য শুষে ছড়িয়ে গেলো
তোমার জন্যে
আকাশ ভরা ভীতু ধুলো

সাহস করে একবার আমিও বলতে চেয়েছি,
ভালোবাসি,
অবশেষে বেলা বয়ে গেল।


স্বস্তি
মেষপালকের বাঁশি হারিয়ে গেছে অবিন্যস্ত চাহিদা ফোয়ারায়
জ্যোৎস্না সযত্নে আগুনের বাসা বাঁধে তেঁতুলপাতার রাশে
ভিন্ন ভিন্ন সজাগ প্রতিকৃতি যদি যাপন করে ভুল বাসা

এমনভাবে ভেজা ভেজা হাতেই লিখে রাখা
দমন নামের তাৎপর্য, বিশ্বের দরবারে একমাত্র তুমিই
তুমিই সেই শূকর শাবক...

পরবর্তী চৌপরে হারজিত দেখে নেবে নতুন সূর্যোদয়
দূষিত সমুদ্রের নখ কাটা হয়নি বহুযুগ 
আগামীতে নিয়মভঙ্গ... সামান্য কোণা ছিঁড়ে দিও

উল্লাসী ফোয়ারার গায়ে লেপ্টে থাকে দৈবের আতসবাজি।

1 কমেন্টস্: