মিষ্টি চা
-- আরে এত কথা কিসের? বড্ড বেশি বলিস। তুই ব্যাটা তো আনন্দবাজারের সাংবাদিককেও ছাপিয়ে গেলি! কোথায় একটা মেয়ের
গায়ে অটোওয়ালা একটু গাড়ি ছুঁয়েছে আর তুই কিনা মহাভারত শুরু করেছিস। আয়, চা খাবি আয়। থামতে শিখতে হয়। এখন থাম। চল চা খাওয়া যাক।
দোকানে বসে কমল বলল – দুটো কচি দেখি ভাই।
-- কচি মানে কি? তোর
নজর এখনো খারাপ। কচি চাই। নিজে তো বুড়ো হচ্ছিস।
-- আরে ধুস্! কচি মানে কম চিনির চা। তোরই নজর খারাপ। কম চিনি তোর কাছে ছুকরী হয়ে গেল। পারিসও! কেবল মেয়েদের দিকে
দৃষ্টি।
আমি হাসছি মুখ চেপে।
-- এতে হাসির কী হলো আবার?
কমল জানতে চাইল।
আমি বললাম -- ধীমান ফিকি চা খায়। বাঙালির
দোকানে বিনা চিনির চা কী বলে চাইবে?
-- শালা!
ওর ভাবনায় তখনো সেই অটোয় ধাক্কা খাওয়া
মেয়েটা। কমল এমন ভাবে লড়ে গেছিল যেন
ওরই বোন বা প্রেমিকা। অটোওয়ালাকে এই মারে তো সেই মারে। সে কোনোক্রমে পালিয়ে বাঁচলো। কমল জানতে চাইল -- খুব লাগেনি তো? এ পাড়ায় নতুন
মনে হচ্ছে। চলুন, পাশেই ডাক্তারের চেম্বার। আমি গেলে ফ্রি দেখে ওষুধ দিয়ে দেবে।
মেয়েটা অপ্রস্তুত হয়ে তোতলালো -- না না,
লাগবে না। কি কি কিছু হয়নি। ধাক্কা লাগেনি। শুধু পাশ ঘেঁষে গেছে। আমি এক বন্ধুর কাছে এসেছিলাম এখানে।
-- আমার নাম কমল বসু। আপনি?
মেয়েটা ডান বুকের আঁচলটা টেনে নিলো। কমলের
আগ্রহে স্পষ্ট অস্বস্তির লক্ষণ। বেশ ভালো দেখতে। দোহারা
চেহারা, ফর্সা, স্মার্ট হাঁটা,
সবচেয়ে আকর্ষক তার বক্ষদেশ। কমল বলে চলেছে এপাড়ার অটোওয়ালাদের দৌরাত্মের কথা, পুরনো গল্প। ভালো করে দেখছেও না মেয়েটার বিরক্তি। ঠিক বুঝেছে
মালটা ফিটিং চাইছে! আমি দেখছি।
সে সব ফর্সা হয়ে যেতে এসে চা খাচ্ছে। মেয়েটা নাম বলেনি। কমল ফেল। বিগড়ে রয়েছে। লাইট করতে বলি -- মেয়েটার বুক মনে পড়ায় ভাবছি বেশি চিনি, মানে চূড়ান্ত – কী বলবি রে? বলেই নিজে হেসে উঠল হো হো করে। আমিও সেই সঙ্গে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন