কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

২০) আসমা অধরা



আসমা অধরা

প্রেম; মেঘে আর প্রজাপতিতে
আজ খুব নাকি মৌতাত হবে রোদে,
পুড়ে যাবে পিঠ!
তার উপরে মেঘের কারসাজি
সে বড্ড পাজী কিনা... ধরাই যায় না;
শুনলাম আজকাল মেঘেরও নাকি দাম বেড়েছে ঢের!
এক টাকার জিনি পঞ্চাশ টাকায় বিকোচ্ছে  
তবে ছেড়েই দি, কি বলো?
দূর হতেই সাধি তারে
ছুঁয়ে দেখাকী দরকার?
অস্পৃশ্য হয়ে রই,
দামে বনিবনা হচ্ছে না বলেই বুঝি
ওর সাথে প্রেমও গেছে জুটে
দামী দামী খুব দামী,
সেই প্যারিসের আকাশ ছোঁয়া দামের
পারফিউমের মতোই কিন্তু খুব ক্ষস্থায়ী;
মেখে বেরোলেই প্রেম উবে যাবে বাতাসে!
অথবা দিগন্তে ধোঁয়াশার মতোই,
দেখা দেবে ঠিক তবে
ধরা যাবে না সে নীল প্রজাপতি
এই যাহ্‌, অনির্বাণ বলে;
আজকাল প্রজাপতি হওয়া নাকি খুব সাংকেতিক!
তার চাইতে জাহাজের পাটাতন হয়ে
হাঙরের দাঁতে চুমু খেয়ে যাওয়া ঢের ভালো?
তবুও ভালোবাসব সেই
কথা না রাখা বখে যাওয়া মেঘকেই;
আকাশ, বায়ু আর নীল প্রজাপতি
নিষিদ্ধের আকর্ষণ বেশি হয় জানো তো?
ভালোবেসে আমি নিজেও আদেখলা হয়ে যাব
রাতজাগা কোকিলেরা হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরে যদি মরুক
তবুও আজীবন থেকে যাবে তাকেও
এমনি আদেখলা বানিয়ে ছেড়ে দেবার প্রয়া নিঃশেষে!


কাব্য; মুখ ও মুখোশে
তথৈবচ বয়ে চলা নিঃশ্বাসে
সুর তালহীন হাতুড়ির বাড়ির মতো
অসুখ অসুখ ভাব; জঠরেও কেমন অসুস্থ শব্দেরা গিজগিজ
মহুয়া প্রেমিক তাই ভীষ রেগে গিয়ে
স্বরচিত নামটির আহ্লাদ সরিয়ে নিয়েছে,
সেখানে এখন কেবল দীর্ঘশ্বাসের কেনাবেচা
তারপর মহুয়া ইতিহাস খোঁজে,
দেখে দেখে মৃত মুখোশেরা অট্টহাসিতে ভেঙ্গে পড়ে;
কল্পকথারা সমাপ্ত বলেই তো ঠাঁই পেয়েছে বইয়ের পাতায়!
তবুও আজকাল নাকি মূকাভিনেতারা ভা্লো কবিতাও লিখছে?
কাব্যের সাথে অভিনয়ে কাব্যিক বনে যায় বলেই নাম হারায় মূকশিল্পীরা,
এসো, আজ তুমি, আমি মহুয়া, আর আমরা সবাই মিলে
সেই মুখোশের গল্পগুলোই খুঁজি






জন্মের পর ক্লান্তিহীন বেঁচে থাকায়, স্বহস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি উপেক্ষা করে অন্যের তর্জনী দর্শনে-
আর স্বীয় শির নিম্নগামী করে অপরের পদধুলি দখল করে রেখেছে জীবন

এই যে যাপন, একে আর মানুষ বলে বিবেচনায় আসে না; উদ্ভিন্ন কুকুর অথবা বেড়ালের মতোই
ভাব সম্প্রসার,
অকালবোধন,
ত্যাজ্য অথবা পরিত্যাজ্যতায়
কেবল কালক্ষেপ!


প্রয়াণের যমদূতও যেন পথ ভুলে চলে গেছে অন্য কোথাওঅতঃপর জিজ্ঞাসা, কতদূর হেঁটে গেলে জাগতিক সমস্ত যোগফল শূন্য হয়?
অথচ
এখানে
কেবল
মৃত্যুর অপেক্ষায় মূঢ় মানুষ
প্রহর গুনে চলে

কতশত দিন-রাত-পথ হেঁটে এইখানে ক্লান্তিরা ঝাঁপি খুলে কষ্ট পুষে রাখা বেদে সাপ ণা তোলে, আকাশ নির্জীব হয় আজকাল আলোতেও শেষ কবে রজঃস্বলা   হয়েছিল মেঘদল? সেইদিন ক্লান্তি ভুলেছিল নীলনদ অথবা কাস্পিয়ান সাগর

এখন, সারাক্ষ ভ্রুকুটিল নীলাম্বরে, মেদুর রঙে সাজে না রোদ্দুর
ষড়যন্ত্র
ছেলেখেলা
গম্ভীর বজ্রনিনাদ,
শুধু ঝড়ের পূর্বাভাস

যুগান্তরের আকাশ, আলো, পৃথিবী বুড়িয়ে গেছে - সীমাহীন নষ্ট নিষ্ঠুরতায় ছিড়ে গেছে বৈকুন্ঠের উইল, মরে গেছে পথের পাঁচালীর অপু - পৃথিবী এখন কিছু হৃদয়হীনদের দখলে

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন