কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

০৬) তানিয়া চক্রবর্তী


ময়ূর ও কাক ছাদনাতলায়

এটা একবিংশ শতাব্দী, এখানে কাক ময়ূরের পেখম নিয়ে নিজেকে সাজালে ময়ূর রাগ করে না, অদ্ভুতভাবে পেষক ও পুরঃপেষকের বদলে চঞ্চুর দুঃখ নিয়েও বসে থাকে না।  কাককে বাহবা দেয় প্রোমোট করে -- কাকও ভাবে ময়ূর আমায় স্বজাতি ভাবছে, আমিও হচ্ছি -- ময়ূর জানে একক জাতীয় তকমা গলিয়ে নিয়েছি, ওকে স্তাবক বানিয়ে চোরাবালিত ধ্বংস করব আর ওপরে আধখানা নষ্ট করব... লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড প্রশমিত হওয়াতে হওয়াতে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। আঁচল, প্লিট করা কুঁচি আর রঞ্জকের ব্যবহারে ইতর জীবগুলোর গায়ে পতঙ্গ লেগে থাকে... রং দেখিয়ে বলে “দ্যাখো-- দ্যাখো না ওরা আমার রক্ত খাইছে!” কাক একটু করে বাড়ে... চামড়ায় ধুনো লাগে -- খিলখিল হাসে, আবর্জনা খেয়ে খেয়ে ভাবে, আমি ময়ূরের সখা --  আমি তো ময়ূরই! আরে প্রত্যেক গতিতে ঢ্যাংকুরা-কুর শক্তিগুলোর নিয়তি থাকে।  কারণ শূন্যে আসতে গেলে, সমতায় খেলতে গেলে ‘+’’ ও ‘_’কে এক জায়গায় জাপটাজাপটি করতে হবে সৎ ভাবে। সমোচ্চশীল জল একটা কাককে কাকস্নান করিয়ে  বুঝিয়ে দেয় ও আসলে চাঁচাছোলা কাক। কাক ময়ূরী খোঁজে... ব্যর্থ পাঁচালি ময়ূরকে শুনিয়ে বলে, ‘দ্যাখো ও না আমার কলজে চুষতে চেয়েছিল!’ ময়ূর ভাবে এটা   অ্যান্টিরোবোটিক্স নিয়ম -- ময়ূর অন্তরে গামলা বাজায়। আজকাল কাক পাত্তাটাত্তা  পায়। কিন্তু কালো পালক বংশের আগডুম-বাগডুম -- আহা! কাকের কত ক্লোন! তবু কাক ট্যারা চোখে তাকায়। বোধহয় বৃষ্টিকে বোঝার জন্য অপদার্থ হয়ে পদার্থবিদ্যার ভেক্টর বুঝতে গিয়েছিল -- বৃষ্টি আবার খাবলা খাবলা করে দিয়েছে।
ময়ূরের পেছনপাকামির ফল! তবে ঘোর ঘোর কা কা শব্দ ওকে কিছুতেই ছাড়ে না। কাক ভাবে ময়ূর যদি ময়ূরী হতো -- ছাদনাতলায় ওরা একসঙ্গে হিসি আর হিহি করত...




1 কমেন্টস্:

  1. অতলানিন্দ্রা

    অতলানিন্দ্রা!
    ঘুমিও না এখন।
    এই শোন! চুপিচুপি বলি শোন,
    কান পেতে রাখ।

    তুমি কি আমার মনের ভাষা বুঝ?
    রাতের কাছে বলি, তুমি শোন।
    হাঁটু জল করে বুকের মধ্যে টলমল,
    লেগে গেছে জলের সবুজ শেওলা,
    জলে তা ধোয়া যায় না।

    মিহি সুতার শুভ্র বিছানা,
    চাঁদের আলোয় আলো-ছায়ায় মাখামাখি;
    দুজন দুজনা মিশে আছি আদি একজনা।

    এতক্ষণ পাশাপাশি ছুঁয়ে দেখি তোমার আঁখি,
    সৌদ তাঁরা অর্ধরাত্রি কেটে গেছে দুজনার।

    বহুক্ষণ মুখোমুখি মুখাসন
    একবার আঁখি মেলে দেখি।

    চোখে চোখ রাখি মনে মনের কথা বলি শোন;
    একটু একটু করে খুলছিলে চোখের পাপড়ি,
    তুমি যখন নীল শাড়ি অমি তখন আড়ি পেতে দেখি
    শাড়ি আবডালে খুলছিলে শুভ্র বিছানার নীল চাদর।

    আমার হাতে তোমার হাত সব কিছু ভুলে থাক
    বুকের পাঁজরে করে ধুক ধাক তবলা নাচ।

    উত্তরমুছুন