কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রশান্ত গুহমজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১৩২


আহত মাগুর       

নিস্পৃহ শব্দটি আপাত গোল। কৈশোরযথা। কয়েকটি তীর্যক চিহ্ন অতুল করিয়াছে উহাকে। হাতুড়ি এবং নেহাই মনে পড়ে। মনে পড়ে সময় এবং আগুন। পাঁচ আঙুল ক্রমশ স্পষ্ট। যন্ত্রণা। মৌচাক হইতে উড়িয়া গেল এক ছায়া। বিবাদী কেহ নাই। আহত মাগুরে ভাঙিয়া গেল স্বপ্ন। মূর্খ, শূন্য, সাদা বালির অভ্যন্তরে হাড়, হারিয়ে যাওয়া মাছের। খেলা করি, মা আমাকে খেলা করে, অদ্ভুত ক্রীড়ায় দেখি সাপ, স্পৃহা লতায় লতায়। গোল নহে আর।

 

বৃদ্ধাশ্রম

অবহেলার সে শব্দে প্রহার। অনিবার্য অথচ মাংসের ন্যায় অনির্দিষ্ট। সেরিব্রামে আঘাত করিল। তদবধি ত্রিমাতৃক দৃশ্যে অভ্যস্ত। অপরে। শূন্যের অদেখা পৃষ্ঠে। সৌর আখ্যাত জগতের বিপরীতে। প্রণামে। নাভিকুন্ডলিতে। কে আর কবে বৃদ্ধাশ্রমের দেয়াল দেখিয়াছে। আমি দেখিয়াছি। অন্ধকার। নগ্ন টেবিল। শিশ্নের অনাখ্যাত স্মৃতি।

 

লুণ্ঠন

টেবিল হইতে পিরিচপেয়ালা এবং সাদা সরিয়া গেল। এবং সাদা দরজা আসিয়া টেবিলের উপর। ইহা একরকম সত্য। তাহার লাল অনুযায়ী ছিল কিছু, যাহা স্বাভাবিক এবং উষ্ণ। মিথ্যা বলিতে কেবল রাত্রি যাহার অবসান ঘটে নিত্য প্রভাতে। লণ্ঠনেও ঘটে। লুণ্ঠনেও। অবগুণ্ঠন প্রয়োজন তাহার। আলাপে যেরূপ ভাসিতে থাকে চারটি চেয়ার। কৌতুক ভাসে। কৌতূহল কোহলে আনন্দ পায়। রেলগাড়ি ভাবে, চলিতেছেবস্তুত ঘরসংসার এক জলাশয়, জীববৈচিত্র লইয়া শরতে স্থির হয় স্মিত শালুকে। আমি, কেবল আমিই নিজের কাছে, নিজেকে নিজের কাছেই চাবিকাঠি বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে খেলা করি, গোলাপী লইয়া।

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন