কবিতার কালিমাটি ১২৫ |
ভূমিকা:
আরণ্যক টিটোর কবিতা [বঙ্গীয় শব্দকোষ (শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়), বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ ও ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক শব্দার্থবিধি (কলিম খান-রবি চক্রবর্তী) অনুসৃত] প্রকৃতিপুরুষ ভাষাদর্শন-এর বানান রীতিতে (যথাসম্ভবভাবে) সম্পাদিত, আজিকার ভুল আগামীতে সংশোধনযোগ্য, এই সম্পাদনা প্রক্রিয়া চলমান ... কারণ, আমাদের নৈতিক অবস্থান এই রীতিতে ...আরও কারণ, আমরা মনে করি প্রতিটা বর্ণের, প্রতিটা শব্দের (মহাজাগতিক) ক্রিয়াময় অর্থ আছে, যাহা আমাদের জীবনাচারের অর্থের সাথে সম্পর্কিত, তাই শব্দের বানানে কোন বর্ণের সংস্হাপণ যদি ভুল হয় তাহলে সে শব্দের অর্থ পরিবর্ত্তন হয়ে যায় ... যাহার ফলে শব্দের অর্থবিজ্ঞান ভেঙ্গে পড়ে ... শব্দ অর্থহীন বর্ণের জঞ্জাল না ... শব্দই পরম ব্রহ্ম, যে নির্ম্মাণ করে বাক্ ও বাক্যের জগৎ, ভাষার জগৎ ... তাই ‘‘তত্বীয়’’ প্রলাপ, ‘মিনিং ইজ অ্যারবিটারী!’ বাক্যে আমাদের আস্থা নেই ... আমাদের (ভাষাতাত্ত্বিক) আস্থার ভাষিক উদ্ভাস জানা যাবে নিম্নে উদ্ভাসিত কবিতায় ...
পাঠক, আপনাকে আমন্ত্রণ, পাঠে
... গ্রহণে ... কিংবা বর্জ্জনে ...
—
আরণ্যক টিটো
চরণেসু
চয়নিকা, যা গো চয়নে ...
চায়ীর যাওয়ন রহস্য না-কৃত/অন-কৃতে
ধরিতে দিও গো চরণযুগল
আশীষ চয়নে ...
কদমবুচির দেশে
শ্রী শ্রী
চরণযুগল, অনেক পবিত্র!
যতই চরেছে ততই জেনেছে, অজানাকে ...
চরাচরে
যতই চরেছে
ততই রচেছে পথের চরিতনামা!
এই
চরণের কাহিণীই লেখা আছে জীবনবহীতে, চরণে ... চরণে ...
(আচরণে
কুলের আচারে) চরণ লেগেছে,
তাহাতে
কী এমন হল?
পদ ও পদবী মুখরিত বসবাসে
পাদপদ্মে
এই পা (কদম মুবারক, পবিত্রম্)
যতই ফেলেছে যুগল কদম ততই ফোটেছে পদচ্ছাপ, জীবন রঞ্জিত পদাবলী!
তা ... ধিন্ ... ধিন্ ... তা ...
নৃত্যপর
আলতা নূপুর রাঙ্গা পদাঘাতে শিহরিত মাটীর হৃদয়,
দেখে দেখে
বাজে
ভোরের রাগিণী—
চরণ
ধরিতে দিও গো আমারে
নি ও না স রা য়ে ...
দূরালাপন
— আমার ভেতরে ‘আমি’ সামগ্রিক চিন্তার
ফসল,
বাহিরে প্রকাশিত আমি, কে?? ...
: আপনার ভেতরে যে ‘আমি’ সে হল আধেয়,
বাহিরের যে আপনি, সে আধার ...
আপনার জীবনযাপনে প্রকাশিত হয় আধেয়-আধার/পুরুষ-প্রকৃতি ...
অর্থাৎ
আপনার ভিতর/আধেয়/পুরুষ/Content/মন ...
প্রকাশিত হয়
আপনার বাহির/আধার/প্রকৃতি/Context/অঙ্গে ...
— অঙ্গ? কেমন তাহার রূপ?
: অঙ্-রূপী গমন করে যাহাতে।
[এই অঙ্গেরও (অনঙ্গকলার) নন্দনতত্ত্ব আছে, আছে সৃজনের কারুজ বাসনা
...]
— কী ভাবে অনঙ্গকলা (কারুজ বাসনা)
ধারণ করছে
অঙ্গ?
: এটুকু বুঝতে হলে
(কেবল দোঁহারে ... ধারণাবর্ণনে ... যাবে না জানা!)
আমূল জানায়
চলুন, মিশি ধারণে ... ধরণে ... গেঁথে ফেলি দোঁহে, অঙ্গজকলায়
এবং
একই নন্দনে
কী ভাবে প্রকাশিত আসমগ্র ...
জেনে নিতে
পাশাপাশি চোখ রাখা যাক, অপরাপর সৃজনকলায় ...
জানা ও যানেলা
বিদ্
মানে জানা! নিভৃত পাঠে
খুলুন, বিদের আধার— সৌন্দর্য্যের
বিদ্যালয়!
বিদ্যানন্দে, বেদ ও নির্বেদে
যাই, আপনাকে জানার লাগি—
অথচ লুকান, পর্দ্দার আড়ালে, যেন অবরোধবাসী, অজানা ভূগোল ...
খোল
সকল যানেলা!
দেখি বিরল পৃথিবী, ইচেছর আকাশ।
যাওয়া, দিশাগ্রস্তন
নাকরণ-অনকরণ লালন আধারে
কাল
যতটা যানেলা খোলে, রচে ততটা সৌন্দর্য্য!
আসুন
সৌন্দর্য্যের বিদ্যালয়ে, পাবেন পৃথিবী দেখার চোখ!
বিদা, ইহা
নহে বিদ্আত! ...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন