কবিতার কালিমাটি ১২৫ |
নাটকপাড়া
পর্দাফাঁই নাটক...
চৌকো গামছার
আড়ালে ঢেকে যাচ্ছে বঙ্গীয় রঙ্গশালা
ঢাকের বদ্যি
নিয়ে ফিরে আসা বুকপকেট
পূর্ণাঙ্গ করে
রাখে বিল্বপত্র
আজ প্রজাপতিদের
আদিগন্ত সাইনবোর্ড
গাছের ফাঁকে
ফাঁকে পরাগমিলনের টুকিটাকি কথা অথচ
নাট্যের পাঠ
ছেড়ে বাসিফুল বয়ে চলেছে
ভোঁতা নদীর
পিঠে। বিশ্রামে
একটি কাকও
মোড়কে মোড়কে
আভূমির ঢল
শূন্যতা সচল
হলেও আহত হবার আগে
মাটি যেন কখন
হারিয়ে ফেলেছে জলের নাম...
চরিত্ররা তখনও
আওড়ে থাকে মুখস্থ
সংলাপ
ঠিকানা
সন্ধের থেকে
ছড়িয়ে পড়তে দেখেছি দানা দানা ছাই
ধূপের কিংবা
স্মৃতির যেন
সুতলি ধোঁয়া
পূর্বমুখের উদ্দেশ্যে খুলে দিয়েছে দরবার
আর পশ্চিমে
প্রেরিত সংস্করণ
কাছে আসে মোহিত
যেখানে...
হাওয়ার ভেতর
আজানের ডাক
হাওয়ার ভেতর
আসমান সুরমাদানি
আসলে এই কাজলও
কারোর একার নয়
একটি ট্রাডিশনে
যেমন মিশে থাকে
গোধূলি ও রাতের
অষ্টোত্তর ঠিকানা
ফিলোসফিকাল টোস্টার
যাকে ছুঁয়ে
যাচ্ছে গোধূলি নিঃশ্বাস --
ভেবে দেখ নির্জনতার
ফারাক তার কাছে কতটা আবেদনময়
আর ভূগোলের
প্ররোচনায়
এই লেখাগুলোই
জীবনের নামে ভাঙবে ফেয়ারওয়েল ফ্রেম
সূর্যঘড়ির শ্বাস
টেনে, অনাবশ্যক ঘণ্টাপথের মোড়ে দাঁড়িয়ে
বৃত্তের শূন্যকে
বয়ে বেড়ানো তার অনন্ত ব্যাসার্ধ
ভাবো, কতটা
ভানের পরেও ভ্যান রেডিয়েশন বেল্ট জীবিত!
ফিলোসফিকাল
টোস্টারে তাই অনবরত সেঁকা হচ্ছে ভূমিকা
অনবরত একটাই
মুহূর্ত সুযোগসন্ধানী
বাকিটা অ্যান্টিসুখ
তোমার মন, তোমার
ভাবনা
প্রতিবার যাকে
মার্জনা
প্ল্যাটারে
সাজিয়ে করেছে বিশ্বাসে স্বচ্ছন্দ
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন