কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

পৃথা কুণ্ডু

 

অর্বাচীনের রবিযাপন (পর্ব ৪)      




তোমাদের নিয়ে তো ভারি মুশকিল হল হে! তোমরা যে ঠিক কী, কেমন, কী বলতে চাও, কিছুই বোঝা যায় না! কেউ বলেন কিম্ভূত কিমাকার, কেউ বলেন আদিম রহস্যের প্রকাশ, কেউ কেউ বলেন, ‘ওয়েস্টার্ন প্রভাব বড্ড বেশি, তবে একটু অন্যরকম...’ অনেকে মুখে না বললেও মনে মনে ভাবেন, একেবারে ‘যা তা’ বলে দেওয়াই যেত, কিন্তু যাচ্ছে না, নেহাত ‘তিনি’ এঁকেছেন বলে। কী দরকার ছিল বাবা, আঁকতে যাবার? কবিতা, উপন্যাস  আর প্রবন্ধ, নাটকগুলোর জন্য বড় বড় লোকের ব্যখ্যান আছে, ওইগুলো পড়ে একটা ভাল উত্তর কি ‘পেপার’ দাঁড় করাতে পারলে নম্বর পাওয়া যায়, ডিগ্রি  পাওয়া যায়, নৃত্যনাট্যগুলোর জন্য নাচের স্কুলে রঙিন পোশাক পরে স্টেজে নামার সুযোগ আছে,  কপাল ভাল হলে, বড় কারও নজরে আসতে পারলে আজকাল টিভিতে রিয়ালিটি শোতেও চান্স পাওয়া যায়, কিন্তু তোমাদের জন্য তো কিছুই নেই! আর থেকে হবেই বা কী, শুনি! তোমাদের দেখে কিছু পাওয়া যাবে?

তবু তোমাদের ভাল লাগে। কালচে-ছাইরঙা ক্যানভাসে অজস্র পাগলাটে রেখার টান, ধোঁয়াটে মুখে একচিলতে অদ্ভুতুড়ে হাসি। সারা জীবন ‘সুন্দর হে সুন্দর’, ‘মধুর তোমার শেষ যে না পাই’ করে এলেন যিনি, তাঁকে শেষটায় কিম্ভূতগিরির চক্করে এনে ফেলে দিলে তোমরা! বেশ হয়েছে, ওই যে কি বলে—প্রকৃতির প্রতিশোধ! বলতে হল, “... দুটো স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছি আমার বানপ্রস্থের, ছবি আর গান।” পণ্ডিতদের তো গুলিয়ে যাবেই, সবচেয়ে সুন্দর যে জিনিস তাঁর ভাঁড়ারে, তার সঙ্গে কিনা মেলাতে চাইছেন এই মূর্তিমান বিদঘুটেগুলোকে! তবে চুপিচুপি বলি, অর্বাচীনের কী নিষিদ্ধ সুখই না জাগে, তোমাদের সঙ্গে গান মেলাতে! দোষটা অবশ্য তার নয়, যিনি এঁকেছেন  আর গান বেঁধেছেন তাঁর, আর যিনি খুব গোলমেলে একটা কথা এমন সহজ করে বুঝিয়েছেন- “আমরা জানিই না, তাঁর গান থেকে আমরা ঠিক কি চাই। কেউ বলে, স্বরলিপি ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। তারপর হল, গাওয়াটা ঠিক হচ্ছে কিনা। তারপর চাই, এক্সপ্রেশন ঠিক আছে কিনা। এখন এগুলো কে ‘ঠিক’ করবে? আসল কথা হল, যে গাইছে, সে একটু একটু করে ছবিটা এঁকে দিতে পারল কিনা, আর যে শুনছে, সে ছবিটা দেখতে পেল কিনা।” গান থেকে যদি ছবি হয়, ছবি থেকে গান হবে না কেন? রাতের বেলা দুপুর যদি হয়, দুপুর বেলা রাত হবে না কেন? এ তো সোজা হিসেব, ইঞ্জিনিয়ার না হয়েও বোঝা যায়!

লেখার মাঝে আঁকিবুঁকি কেটে, রঙ চাপিয়ে ছবি তো আছে অনেক। তবে যে লেখার সাথে ছবি, গানটা অনেকসময় খুঁজতে হয় তার বাইরে গিয়ে।  এ বেশ মজার খেলা। যেমন ওই নিবে যাওয়া প্রদীপের ছবিটা। আকাশের দিকে চেয়ে আছে। বাদামি রঙের আঁচড়ে ফুটে ওঠা প্রদীপদানি, টেবিলের মত একটা আকার, আবার ওপরে একটা আগুনের গোলা!



আলো যদি নিবেই যায়, ওপরের দিকটা অমন রাঙা হয়ে থাকে কি করে? আর যদি রাত শেষ হয়েই গিয়ে থাকে, চারপাশে এত কালো পোঁচ কেন? পাশে যে কবিতা লেখা আছে, তাই দেখে ছবিটার মানে খুঁজতে গেলে মাথা খারাপ হতেই পারে, কিন্তু ঠিক তখনই বন্ধ ঘরের ফুরিয়ে যাওয়া প্রদীপটা চমকে ওঠে শুনে— “আমার অন্ধপ্রদীপ শূন্য পানে চেয়ে আছে...” শুনতে শুনতে মনে হয়, সব খালি, সব আঁধার বলেই তো আলো চাইছি, এতে লজ্জার তো কিছু নেই! যার কিছু নেই, সেও কি একদিন না একদিন জেতার স্বপ্ন দেখতে পারে না? “ওগো শিখা বিজয়টীকা দাও গো এঁকে এই সে যাচে।” চাইতে হলে দাবি করব, মিনমিন করে কাঁদব কেন? প্রদীপ যত ছোট, যত তুচ্ছই হোক, সেও তো হতে পারে আলোর আধার। আলোর সাথে এক সুতোয় গাঁথা হবার মত ভাগ্য কি তার হবে না? “এমন ভাগ্য হায় গো, হায় গো আমার হারায় পাছে—” তারসপ্তকের সিঁড়ি বেয়ে দ্রুত ওঠানামা করতে করতেও যদি না ভেঙে পড়ে ‘হায় গো’ গাওয়া যায়, তবে ভাগ্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একবার বলাই তো যায়, “তুমি আছ, আমি আছি।”

বড় বিচিত্র এই ছবিটা, তার চেয়েও বিচিত্র গানখানা। আলো নিবে গেছে তবু আগুনরাঙা ভাব ছেড়ে যায় না তাকে, কথায় আছে ‘লজ্জা জানায়’, ‘হায় গো’- অথচ সুরে নেই কোনরকম দীনহীন ভাব। আলোর কাছে যদি ঋণী হতেই হয়, সে ঋণ তো লজ্জার নয়, গর্বের। অর্বাচীনের অহংকার এইটুকু থাকলই বা, তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কার!



এই যেমন আর একটা ছবিফ্যাকাসে হলদেটে রঙ, একটা নদী, তার পাড়ে দুটো গাছ। নদীটা চলছে, কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি করে চলছে যেন সামনের গাছটা। কোন একটা গানের সঙ্গে মিল পাই যেন? ওই তো, ‘ওগো নদী আপন বেগে পাগলপারা’ছোটবেলা থেকে অনেক বার অনেকের গলায়  শোনা গান, ইস্কুলে নাচ-জানা বন্ধুদের নাচতে দেখা গেছে কতবার। স্টেজ জুড়ে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে দুলে দুলে নাচা হয় বরাবর— পাগলপারা নদীর গান যেকিন্তু যেদিন এ গান শোনাল আকাশ নিজে, অর্বাচীনের মনে হল, গানটা কি আদৌ নদীর? না কি নদীর পাড়ে দাড়িয়ে থাকা ওই চাঁপাগাছটার- যে নিজের গন্ধে মাতাল হয়ে ঘুমহারা চোখে চেয়ে থাকে, লোকের চোখে অচল থাকে, গভীর চলা গোপন রাখে? বিচিত্র পর্যায়ের গান, কিন্তু প্রকৃতির চির-অচেনা রহস্য উঁকি মেরে যায় প্রতিটা কথার আভাসে-ইঙ্গিতে- “আমার চলা যায় না বলা, আলোর পানে প্রাণের চলা/আকাশ বোঝে আনন্দ তার, বোঝে নিশার নীরব তারা।” একটা গাছ আকাশের পানে হাত ছড়িয়ে আলোর দিকে চলছে- সেই চলায় ধরা আছে প্রাণের সব কথা, কিন্তু ও কাউকে বলতে পারে না। ঠিকই তো, যে বলতে পারে না, তার ভেতরের কথা বুঝতে, বোঝাতে, সুরে ফেলতে আর ছবি আঁকতে আর কেই বা পারে- আলোয় ভরা বিরাট আকাশ ছাড়া? সেই আকাশের বুকে ফুটে থাকা তারার আদর ঝরে ঝরে পড়বে ওই বেচারা ‘অচল’ গাছটার মাথায়, ফুটে উঠবে চাঁপার অঞ্জলি হয়ে।

মজাটা হল, এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে বোকা বনেছিল অর্বাচীন। ‘একটি নদীর আত্মকথা’ রচনা লিখতে গিয়ে এইসব লিখেছিল, তাহলে আর নম্বর জুটবে কেমন করে! আর বিশেষ করে খাতার ওই জায়গাটা জুড়ে লাল কালির জিজ্ঞাসাচিহ্ন। বকাবকি খেয়ে মন খারাপ করে একলা বসেছিল ঘরের আলো নিবিয়ে, তাতেও শান্তি নেই। জানালা দিয়ে এক বাউল বাতাস ঢুকে উড়িয়ে নিল মনের ভার, অদ্ভুত এক হাসি হেসে  বলল, “এসব কি লিখতে হয় রে পাগল? আলোর পানে প্রাণের চলা তো গোপনই রাখতে হয়! পাঁচজনকে ডেকে বলে বেড়াতে হয় কি?”

সেই চলা দিনে দিনে আরও গভীর, গোপন হয়েছে কিনা কে জানে, তবে চলার মাঝে পথ ভুলের ভয় তো ছিলই। আর সে-ভুল না করলে তো জানাই যেত না, ভুলে ফেলে আসা পথের প্রান্তেই পড়ে থাকে হারানো হিয়ার কুঞ্জ।  ঠিক যেন ওই ছবিটার মত, পেছনে অজস্র আঁচড়ে ঘনিয়ে ওঠা খসখসে কালো পর্দা, তার ওপর ফুটে উঠেছে হৃৎপিণ্ডের মত কতগুলো রাঙা ফুল—‘ঝরে পড়ে আছে কাঁটাতরুতলে রক্তকুসুমপুঞ্জ’।




ওগুলো যেন অনেক দিনের সঞ্চয়, কিন্তু আগলে বসে থাকলে তো চলবে না। তাই বারে বারে ডেকে বলেছে আকাশ-বাতাস জুড়ে থাকা এক স্বর-- ওগুলোকে ঝরে যেতে দে--  “ঝড়ের রাতের ফুলের মতন ঝরুক রে, ঝরুক রে, ঝরুক পড়ুক খসে--” একটা শান্ত হয়ে আসা ঝড়ের চলন-- উঁচুর সা তে সুরু হয়ে মাঝের নি-তে শেষ।  সব তো খসেই পড়ল, নি-র পর আর কিছু থাকে কি?

থাকে। নি-কে স্পর্শস্বর করে নিয়ে আবার নতুন চলা শুরু; পথভোলা নিঃস্ব পথিককে ঘিরে ধরে এমন এক গভীর আশ্বাস, যাকে অবিশ্বাস করার সাহস তো দূরের কথা, সাধ্যও হারিয়ে গেছে একটি মালা পরার আহবানে- “আয় রে এবার সব-হারাবার জয়মালা পরো শিরে, ওরে সাবধানী পথিক”- পা-এ এসে দুই হাতে আগলে ধরা। অমোঘ, অনিঃশেষ পঞ্চম।

এমন করেই বার বার এই গানগুলো, এই ছবিগুলো অর্বাচীনকে ভুলিয়ে দেয় তার তুচ্ছতা, তার সীমা—“কক্ষে আমার রুদ্ধ দুয়ার, সে কথা যে যাই পাশরি”  কবিতা থেকে এই গানের ‘হয়ে ওঠা’র মুহূর্তটা দেখেছিলেন সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু অর্বাচীনের মনের চোখ আর কানের চোখ একাকার করে দিয়ে গান থেকে ছবি, ছবি থেকে গান হয়ে ওঠার মুহূর্তগুলো বোধহয় তোলা ছিল সেই বদ্ধ দুপুরগুলোর জন্য, যখন বাইরে যাওয়া তো অনেক দূরের স্বপ্ন, বারান্দায় আরাম করে বসে রৌদ্রমাখানো অলস বেলাটুকুও চোখে দেখার, গায়ে মাখার উপায় ছিল না কোন।



তবু কি আশ্চর্য, ছবিটা খুঁজে পেতে অসুবিধে হয় নি তেমন- দুপাশে চওড়া কালো ফ্রেম, জোর করে গণ্ডি দিয়ে রেখেছে একচিলতে বারান্দাকে। বাইরের গাছপালাও কালো, তবু ওপরের বাঁ কোন থেকে এসে পড়েছে অনেক দূরের আকাশে লালচে আলোর আভা। শুধুই কি আলোর আভা, নাকি সুরেরও?  বদ্ধ ঘরে আলো ঢুকুক বা না ঢুকুক, স্বরের তরঙ্গ ঠিকই এসে পৌঁছায়, আগল ভাঙতে হয় না, সে নিজেই খসে পড়ে “ওগো সুদূর, বিপুল সুদূ—উ-উ-র, তুমি যে বাজাও ব্যাকুল বাঁ -আ-আ শ-রি”-র ভৈরবী টানের সামনে। গান দিয়ে আগল-খসানো, ঘরের মাঝে উদার আকাশের আভাস এনে দেওয়া সেই মুরতি আবার খুব কাছে এসে ধরা দিল এই কমাস আগে লকডাউনের সময়, বলে গেল, “মোর ডানা নাই, আছি এক ঠাঁই, সে কথা যে যাই পাশরি।” আচ্ছা, আছি এক ঠাঁই মানে কি? আমি এক জায়গায় আটকে আছি, না কি আটকে থাকতে থাকতে আমিই হয়ে পড়েছি বদ্ধ একটা জায়গা— যেখান থেকে বেরোতেই হবে আমায়, ভুলতেই হবে সীমাবদ্ধতার চাপ? বোধহয় দুটোই, আর সে কথাই যেন বলতে চায় স্পর্শস্বরে কোমল নি আর কোমল ধা লাগিয়ে কেমন থমকে যাওয়া, আবার চলতে থাকা ওই সুরের ভঙ্গি! আপনারা বলবেন- ন্যাকামি যত! গান আবার এতসব কথা বলে নাকি! বিশ্বাস হচ্ছে না? আসলে কি বলুন তো, হাজার রকমের বাঁধন, দুশ্চিন্তা তো আছেই। কিন্তু সেগুলো মাঝে মাঝে ভুলে যাবার উপায় না থাকলে যে বাঁচাই অসম্ভব হয়ে যেত! গানটাকে ছবির মত শরীরী করে নিতে পারাই বোধহয় সে উপায়।

ছবি আর গানের মাঝে সুতো খুঁজতে গিয়ে আবার ভুলে যাচ্ছি না তো ছবির আড়ালে থাকা মুখখানা?  

না না, সে সুযোগ কই! ভুলতে গেলেই গেয়ে ওঠে ছবিখানা, যেন অর্বাচীনের হয়েই, “তুমি কি কেবলি ছবি, শুধু পটে লিখা?”




অনেকদিন পর্যন্ত ভেবে পায়নি এক ছটাক কাঁচা বুদ্ধির কুঠরি, কেন এ গানের পর্যায় বিচিত্র! একদিকে গ্রহ-তারা-রবির মত সত্যি হয়ে ওঠা ছবি, আবার “শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল”- প্রকৃতিকে যেন জড়িয়ে ধরছে প্রেম। জগত-জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অনন্ত সেই ছবির রূপ যখন শেষ পর্যন্ত জায়গা খোঁজে আমার এইটুকু ‘নয়নের মাঝখানে’, নিজেকে কেমন ‘কবি কবি’ বলে বিশ্বাস হয়, “কবির অন্তরে তুমি কবি/ নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি।” আর সেই বিশ্বাস প্রেমকে পৌঁছে দেয় পূজায়।  এ ছবি এমনই সত্য, যাকে কোন একটা পর্যায়ের ফ্রেমে বাঁধা যায় না, তাই বুঝি সে বিচিত্র। জলছবি নয়, এ হল গানছবি।

জানে অর্বাচীন, সময়ের মরচে আর ধুলো, বাস্তবের হাজারো পাক, নানা জনের নানা কথা— কখনো বিদ্রূপের হাসি হেসে, কখনও বিদ্বেষের বিষ চারিয়ে, কখনও বা নিছক করুণা করে বলবে, এত যে আদিখ্যেতা করো গানছবি নিয়ে, কোন্ অধিকারে? কোন্ যোগ্যতায়? আর করেই বা লাভ কী? চিরদিন রাখতে পারবে? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে আরও একবার চালিয়ে দিতে হবে বহুবার শুনে শুনে শ্বাসে, শিরায়, জীবনে মিশিয়ে নেওয়া সেই গানটাই- “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে।”



তানপুরার তারে ধুলো জমবে,  কাঁটালতা উঠবে দরজার পাশে, শ্যাওলার স্তর পড়বে দীঘির ধারে, ফুলের বাগানে গজাবে ঘাস আর আগাছা, তখন কেউ হয়ত মনেও রাখবে না... কিন্তু গানটা শেষ হতে হতে বিচিত্র এক মনের কাগজে আঁকা হতে থাকবে নিতান্ত অর্বাচীন আরও একটা ছবি, যার ওপরের দিকটা ফাঁকা। কেন? ওই যে, “আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।” যতই কাঁটা থাকুক, শ্যাওলা জমুক অর্বাচীনের অস্তিত্ব ঘিরে, তাঁর আসা-যাওয়ার পথটা পরিষ্কার রাখতে হবে তো, না কি!


2 কমেন্টস্:

  1. যেটা এই পূজারীকে মুগ্ধ করে তা হলো প্রতিটি গান শোনা গেছে ঈশ্বরের একজন অবতারের কণ্ঠে!

    উত্তরমুছুন
  2. Apnar songe ami ekmot. Eisob gaan eibhabe je shona jay, ta notun kore barbar upalabdhi korar.

    উত্তরমুছুন