কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

হাসান মোস্তাফিজ

কালিমাটির ঝুরোগল্প ৯৩



যার সুপারিশে ক্ষিধা লাগে

              
যে লোকটা ক্ষিধের অত্যাচারে এখন গু খায়, তাকে দোষ দেওয়া যায় না। বর্ণালী সুপুষ্ট খাদ্যের রেজাল্ট ব্রাউন হলেও এবার ব্রাউনের বিনিময়ে ব্রাউন। তাকে দেখতে ইচ্ছা করে বর্তমান সাক্ষ্যদাতা চোখগুলোর প্রতিবিম্ব জুড়ে সিঞ্চিত আত্মতৃপ্তি। মসৃণ ধারালো স্তনলাভী বেশ্যার সাথে রাত কাটানোর মতো এ আনন্দ — এ মোহ — এ চতুর্মাত্রিক চেতনা।
বিয়োজকের সাথে এ স্নায়ুযুদ্ধে জয়ী ধরা পড়ে না। তবে ভিক্টিম তো লোকটাই। দাড়িতে যে ফেরেশতা ঝোলে তা আবার পিত্তরসে স্নান করে। এটা অন্যরকম পিজাবিরোধী মনোভাব যেখানে ব্রেডডো মোটা অনুযায়ী বিস্বাদ। পলক তবুও সেই বার্তাবাহক।

না, সে নিজেরটা নিজে খায় না। কেন খাবে? এটা প্রকৃতিরই নিয়ম, মানুষ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। গু খেতেও অন্যজনের গু আগে লাগে। এর প্রত্যক্ষদর্শী হল…  

তবে নিয়োজিত থেকে এর মতন যে চারুলতা তাকে অস্বীকার করা যায় না। উহা বিস্তারিত। প্রণাম করি। রিযিকের প্রধান নিবেদন সত্ত্বার গীতাকে বিসর্জন। আবার প্রণাম।

প্রেমেন্দ্র মতে, ঝুলন্তভাবে আত্মহত্যা সবচেয়ে আকর্ষণীয়। সবে যে নিকোটিন মিশ্রিত থুতু জড়তার স্বাদ নেয়, ঘাড়ের সে মুক্তিদান অন্যরকম বিনোদন।পাশ্বর্স্থ সরঞ্জাম হিসেবে খ্যাত ডাইজেশন ততদিনে — আমার মতে — না, আমি বলব না, বলবে একবেণীওয়ালা রহিমা।

বিয়োজকের প্রসঙ্গে যে মত, একান্নবর্তী সাবমিশনে সবাই ভিক্টিম। কিন্তু সুপারিশে ক্ষিধা লাগে।

সকল ধরনের মুখ্য নিয়ত দুর্লভ তাহলে। জরিপ করে দেখা গেল, চিত্রভিত্তিকে যুদ্ধ চলছে।

প্লিজ, তা যেন ফুটওভার ব্রীজের সিঁড়িতেই ভক্ষণ করা হয়। লজ্জা লাগে যে, এক্স-প্রেমিকার যোনিতে না চুমু খেতে পেরে।

 





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন