কবিতার কালিমাটি ১০৪ |
কাক জন্মের মধ্যবিত্ত
(১)
এভাবেই কাক জন্ম খুঁটে খায় বিক্রিত অধ্যায়,
অনবরত বুলিয়ে
নেওয়া তুলি, একে একে ঘাড়
থেকে ঝরে
গিয়ে ছবি আঁকে মধ্যবিত্ত যকৃত
যারা সব
দেওয়াল পার করে তাদের মিছিলের
কেনা পায়েও
ঘন্টা বাঁধা। হয়ত একদিন
অন্ধ রাজার
সামনে বসে থাকা সঞ্জয়ের স্বরে
ঘাড় নেড়ে
হ্যাঁ বলেছিল, তারপর ধ্বংসের
উপকরণে
তৈরি হল কৌরব সময়।
কে যেন
নরকের সংজ্ঞাতে মন বেঁধে রাখে,
তারপর একে
একে সব দেবদূত স্বর্গ থেকে
লাথি খেয়ে
নিচে নেমে ভিখারীর বেশে কাক জন্ম,
কে জানে
তার থেকে আর কতটা বিরিয়ানির প্লেটে?
(২)
কেউ কেউ ছড়িয়ে দেওয়া পচা ভাতের মাথায়
পাখি চাপায়, তারপর খেতে দেওয়া পাখিদের
দিকে বিড়াল, বিড়ালের দিকে কুকুর, এবং শেষে
এক প্লেট
বিরিয়ানির পিরামিড লেখে।
এখানে ধানের
কাঁধে রোদ মাখা জল ছাড়ার
উপকরণে
গোষ্ঠীগন্ধ। পিছনের মঞ্চে সব ছায়াদের
বৃত্তে
দাঁড়িয়ে থাকা অশরীরি হাত পা,
দিব্যি
মাথার অনুপস্থিতিতেও নিজেদের মিশিয়ে দেয়
পাখি জন্মের
আজন্ম অব্যয়ে। ভালো মানে কোন
উপপাদ্য
না হলেও এখানেও জন্মের গায়ে এখনো
ভাতের কষ্ট
লেগে আছে।
(৩)
শোনা যায় কেউ নাকি গোত্র দেখে শ্বাসের সাথে
টেনে
নেওয়া শেষ নিঃশ্বাসের স্রোতেও প্রাণভরে
বাঁচতে
চেয়েছিল। এখনো চুলের গায়ে রক্তের মানচিত্র,
পোশাকেও
খণ্ড খণ্ড বাঁচার হাহাকার। এরপরেও তো পতাকা
মৃত্যু
আর রক্ত, এর পরেও মিউজিয়াম, লাইন ও টিকিটঘর,
সব একভাবে
উপস্থিত জানান দেয়। তারপর সময় কচ্ছপ
ও তার পিঠে
চেপেই পাক্কা এক যুগ পার। শোনা যাচ্ছে
একটা
পাগলা ঘন্টার
আঘাতে মাথা নাড়ছে কয়েকটা মানুষ পাখি,
দু’পাশে তাদের দেখেই লজ্জা পেয়ে দু’দিকে উড়ে যাচ্ছে
আরো হাজার
খানেক। এদের মাথায় কলম, সেখানে
একটা কুকুরের
বেল্ট বাঁধা আছে।
(৪)
না, ঠিক এই জন্যেই এখনো আরেকটা মহাভারত না
লেখা হলেও
আরেকজন ধৃতরাষ্ট্র সঞ্জয়ের পিঠে উড়ে
যাচ্ছে
চাঁদ থেকে চাঁদার মণ্ডপে। লাল নীল
বাতির গাড়ির
ভেতরে কোন
রকমে বেঁচে থাকা একটা চোখ সব অহংকারের
পরেও একটা
ময়লা ধরা গা চেটে পরিষ্কার করে,
তারপর পাখিদের
জায়গা দখল করে ছুটে যায় এক ডাল থেকে
আরেক ডাল, এক মানুষ থেকে আরেক মানুষ অথবা
এক পৃথিবী
থেকে ঠিক আরেকটা পৃথিবীর আশায়।
valo laglo
উত্তরমুছুন