কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

 


কবিতার কালিমাটি ১০৪


জানালা দিয়ে যতদূর দেখা যায়

(১)

হেঁটে যাচ্ছে হারুর বউ। হাতে একশো তেল আর পাঁচশো আলু। বৃষ্টি পড়ছে। ছিপ ফেলে বসে আছি। অপেক্ষা  সুতোর। অসুখের দিন পেরিয়ে ফিরে আসবে ঘরের পুরুষ। মাটি গলছে। খেলতে খেলতে ক্রমশ এগিয়ে আসছে মাছ

ছায়াঘর পেরিয়ে মৃত্যুর আঁকা কষবে 

 

(২)

চোখের নিখিলে ডুবে আছে ভোর। 

কান্না ব্যাকরণ ডিঙিয়ে যায়। সারুর

গান শুনি। ছোট ছোট কাগজের নৌকা সারুর থাকে না। অসুখের প্রাচীর পেরিয়ে যায় স্রোতে। গানের শব্দগুলি ভেসে যেতে যেতে ভেজা

ভেজা কথা কখন কাহিনী যেন অনিঃশেষ

 

(৩)

জানালা দেখছে জানালাকে জলের ওপর। আকাশের ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘে

শ্যাওলার রঙ। রান্না হচ্ছে কোথাও। 

সুবাস ঠিক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক

পুরনো কথা মাকে ডেকে নিয়ে আসে। স্বাদ ভরিয়ে তোলে জিভ। সেই লালার ভিতর কোনো অসুখ

নেই। লোহার গারদ পেরিয়ে ভিজে

যাচ্ছে চোখের ডানা 

 

(৪)

বাসন মাজার দৃশ্যটি সযত্নে তুলে নেয় জল। কেশবতীর গল্প মেঘ হয়ে পার করছে ছাদ। ছাদের শরীরের ছাঁদ খুব আকর্ষণ করে। কাদাখোঁচা বকের ডানা ছাদ ছুঁয়ে

বুক ভিজিয়ে নেয় পুকুরে। সেখানে

হলুদ আলো তাকে খেয়ে নেয়। বৃষ্টি

পরবর্তী এই জীবনের কোথাও অসুখের দিনলিপি লেখা নেই। চকচকে বাসনের গায়ে তার উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ মুখ মেঘকে ভেংচি

কেটে হাসি ডাকে চোখের

 

(৫)

অর্ধেক মানুষ ধরা পড়ে। তার ভিতর বয়ে যাচ্ছে দুঃখের স্রোত। কিছুই করতে পারি না। তার ছায়া

রাস্তায় পড়ে থাকে। হলুদ ফুল ঝরে পড়ে। তার বেদনা এসে বসে থাকে। 

অসুখের দিনগুলো পেরিয়ে যাবার পর তার বাড়ি যাব। হাতের উপর হাত রেখে তুলে নেব সব যন্ত্রণা। এসব ভাবনার গায়ে ঝাঁপিয়ে নামে

একটি বাইক। ছায়া মানবের শরীর কেটে দিয়ে যায়। দেখা না হওয়া একটি অসমাপ্ত গল্প চোখের কালিতে ডুবে থাকে

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন