কবিতার কালিমাটি ১০৪ |
অনুশীলন
টিনের গায়ে টুপটাপ পতিত বৃষ্টির জটলা দেখে
নিকিয়ে রেখেছ
কোনো এক বদ্বীপ। দৃষ্টির গায়ে লাল শালুক
ফোটার আশায়
বাড়ালে তোমার হাত
সেদিন পায়রাজোড়া
খুঁটে খেয়েছিল
মাইলো
সংগ্রামের আঁচ
গনগনে। তবু যতটুকু সুখ কুড়িয়ে নেওয়া যায়
ততটুকুন স্ত্রীধন
নিয়ে সমুদ্রযাত্রায় নেমেছে মেয়েকুটুস
তবু কোন পৃথক
যাত্রা আমি দেখিনি
এই সংকরজাত
গৃহে উৎকন্ঠার বারোমাস্যা পড়ে
তাদের কাছে
খুলে রেখেছি ডানা
আপাতত এটুকুই
অনুসঙ্গ
তাতেই কেউ কেউ
খুলে ফ্যালে সেলুন
উপহার
ভাঙা ভাঙা পথে এগোনো কাহিনীর
মুছে যাওয়া
নেই
সময়ের শেষ নিয়ে
পড়ে থাকা পুনরাবৃত্তি
এইভাবে বেতের
ঝুড়ি ভরে ওঠে
টুকরো টুকরো
মাংসখণ্ডে
বিভেদের মধ্যে
যেভাবে আগুন পেতে রেখে বসবাস কর
খিদের ওজন তাতে
কতটা লঘু হয়?
গর্ভজলের এই
দূরত্বটুকু রোজ তোমার ঘুম থেকে জেগে ওঠে সকালে
ডুবিয়ে রাখে
হত্যার লাল জলে
তারপর পশ্চিমভাগে
শুইয়ে রেখে
একমিনিটের বিষণ্ণতা
তোমাকে উপহার প্রদান করা হবে
ছন্দপতন
বিছানার পাশে পড়ে আছে বিকেলের নিঃশ্বাস
ছেড়ে রেখে তবু
ভেসে আসছে বহুগামী স্বর
দৃষ্টির পর্যবেক্ষণে
মেঘসমগ্র
অনুশীলন করে
ছিঁড়ে যায় বায়ুর অদ্ভুত খোলস
পীড়িত ভ্রম
বিশ্বাসে প্রশান্তভাব... ভাসিয়ে দিয়েছে সন্ধের মাত্রা
সচেতন পরিক্রমায়
ছড়িয়ে যাওয়া অকালছায়া...
কুয়াশাক্ষম
শরীর জানে কতটুকু ব্যঞ্জনা ফেটে গেলে
মাথার ধান দূর্বা
খসে পড়ে। আর নালতন্তু ভাগ হয় মনের ফাঁপাপর্বে
এই পর্দাগুলোর
চাউনি, কব্জা করা হাড়গুলোর অভিসন্ধি
আমাকে বস্তুত
বেসুরো ছন্দপতনে মুড়িয়ে রাখে যখন
বালির কাছে
হেঁটে ফিরি। সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ নিয়ে
নোয়ানো কার্যকরী
শ্রম পৃথুল ছাওয়ায় এখন উপড়ে ফেলেছে
ঘুমের নথ। স্বৈরতন্ত্রী
ব্যথা
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন