কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ধীমান চক্রবর্তী

 


কবিতার কালিমাটি ১০৪


ব্যক্তিগত – ১২৪

ছায়াপথ ও তার তন্ত্রমন্ত্রই নাকি শ্রেষ্ঠ,

যদিও এসবের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।

বিভিন্ন কাঠের শরীরে জগিং করেছেন ওই ছুতোর,

তৈরি হয় হারমোনিয়ামের স্নেহমাখা হাত।

হাসপাতালের সামনে পড়ে থাকা মৃতদেহের কথা

ভাবো। কথাগুলো কি –

জলপোকাদের শিক্ষয়ত্রী বলেছিল, নাকি

শেষ বর্ষার আলোময় আস্তিন? খোলা চোখ,

ড্রয়ার খুলে কুড়িয়ে নেয় দীর্ঘ ছায়া। কুড়িয়ে নেয় –

মর্চে পড়া একডজন উড়ন্ত হলুদ পাখি।

কোনো কোনোদিন শেষ রাতে, অন্ধকার আপেল;

ধাক্কা দিয়ে পৃথিবীর ঘুম ভাঙাতে চাইছে।  

 

ব্যক্তিগত – ১২৫

গাছের প্রতিটা পাতায় তিন-চারজন চোখ

লুকানো থাকে। প্রাচীন পতাকায় কিছু অভিমান।

কখনো সখনো ঝুলবারান্দাও লেগে থাকে।

অহং এবং অপর –

বিভিন্ন সংকেতে দ্যুতি পাঠাতে চায় পরস্পরকে।

শ্মশানে লাশের অন্ধকারে চাপানো হচ্ছে আরো

লাশ। হারানো রেকাবির সাথে

পাল্টাপাল্টি দিনগুলোয় বসে গল্প করে আস্তাবল।

দস্তানা পরে কে যেন জলাশয়ে ভেসে বেড়ানো

ফসফরাস সাফ লাগায়। কে যেন –

অনেক প্রাচীন কার্নিভালে গাওয়া একটা দুটো

টুপি সাফ করে।

 

ব্যক্তিগত – ১২৬

হাতের তালু, - বাইরে এক খোলা দরজা।

আর কখনো ফিরে না এলে ভেজিয়ে দিয়ে যাও।

স্কেল বা সাপলুডো –

তাদের কি ওঠাপড়া নিয়ে স্মৃতি থাকে?

ঘুমপাড়ানি শনিবারে ক্রিকেট বল দৌড়ানোর

আওয়াজ। কোনও কান্নার মানেই

আজকাল কেউ আর বুঝতে পারছে না হয়তো।

নির্বাক বাঁশিতে জমে আছে বরফ আর

একটা কাটা আঙুল।

শব্দ শব শ… চুপ করাচ্ছে পৃথিবীকে।

আলো হাতে এবড়ো খেবড়ো অন্ধকার

চুপ করাচ্ছে পৃথিবীর বন্ধ দরজাকে।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন