কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮

শুভঙ্কর দাশ



নীরবতা


এত সব মানুষের ভেতর
কিছু মানুষও তো আছে
যারা গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে।
যারা নীরবতা শোনে নিরবধি।
জানে কী করে নীরবতা শুনতে হয়
চুপচাপ একা একা।

তার নীচে গিয়ে বসলে
সে বিরক্ত হয়, বলে-
কেন এসেছিস আমার কাছে?
তোর তো সব জানি আমি,
তবু কী বলতে এসেছিস?
কোন গোপন কথা ফের
বলবি বলে এসেছিস?

আমি অবাক হয়ে ভাবি
আমি তো কিছু বলব বলে
আসিনি এখানে,
আর কত বলা যায়!
কিছুটা নীরবতা শিখব বলে
বসেছিলাম এই ঘাসে
তোমার ছায়াতে।

তারপর চাঁদ উঠে গেলে
গাছের আড়ালে
শুনি কেউ নীরবতা সাধছে
পিয়ানোতে।


যেভাবে লতানে পাতারা খেলা করে


তাকে কেউ ফোন করে না
তাই ফোন ধরতে তাকে আর
ধড়মড় উঠে বসতে হয় না।

সে চুপচাপ শুয়ে থাকে
আর দেখে তার পা জড়িয়ে
লতানে পাতারা কেমন খেলা করে।
আলোরা রোজ আসে আর
আর চলে যায় তার শরীরের জ্বর মেপে।
জানালার শিক বেয়ে উঁকিঝুঁকি মারে
বৃষ্টির ফোঁটারা কিন্তু ঘরে ঢুকতে
সাহস করে না।

অথচ সে তো শুয়ে আছে বহুদিন
ক্লান্তির একটা ঘোর নিয়ে
যেখানে শুধু স্বপ্নবৎ এক বেঁচে থাকা
তার গায়ে মাথায় হাত বুলোয়।

মাঝে মাঝে অবশ্য সে ফোনে
কথা বলে নিজের সাথে
ভালো আছেন তো স্যার?
একদিন আসব বাড়িতে।

সে হাসে কারণ সে জানে
নিজের সাথে দেখা করতে
সে আর যাবে না কোথাও।


ছাতের উপর


আচ্ছা ছাতের উপরে কী আছে?
গতকাল বলেছিলে আকাশ
আর আজ বলছ জলের ট্যাঙ্ক।

দুটোই সত্যি
কিন্তু কোনটা বেশি সত্যি?
রোদে পুড়ে যাওয়া ফুল গাছের টবে
এখন বাতাস খেলছে।
ওরা কী একটুও নেই।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন