শীতকাল
সমস্ত লেখার খাতা জুড়ে নামছে শীতকাল। আর তুমি ধীরে ধীরে
এগিয়ে নিচ্ছ ক্রমশ তোমার শেষ দিনের
জন্ম উৎসব। লেখার টেবিলের
উপর যে মোমবাতিটা এখনও জ্বলছে, বা বলা ভালো জ্বলতে জ্বলতে নিভে
যাওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে, তার সহবাস সেই আজন্মকাল ধরেই তোমার
সাথে। আমি সাপ শরীরে হলুদ বসন্ত দেখে যাই বারবার। আর তুমি ছুঁয়ে যাও
আমার জন্ম নদী, মুহূর্তের ঋতু হয়ে।
পিঁপড়ে
দল বেঁধে এগিয়ে যাই স্রোত অভিমুখে
সারিবদ্ধ জীবন আমার।
সঞ্চয় বলতে, মুঠো খানিক মৃত্যুঘ্রাণ,
তাই নিয়েই এগিয়ে যাওয়া
বাড়ি ভাড়া, ইনসিওরেন্স
আর থালা বাসনের বিবাদ কোলাহলের
দাঁড়িপাল্লা ছুঁয়ে!
খেলার খেলা
সমস্ত উপশমের শব্দ ধরা থাকে
একমাত্র শেষ ট্রেনের কাছে। দূরে সরে যাওয়া অন্ধকার আর
আলো হয়ে অপেক্ষায় বসে থাকা
প্ল্যাটফর্ম
কখনো কখনো নিবিড়তায় জড়িয়ে পরে
একান্তে।
আমরা অপেক্ষার সাথেই সখ্যতা সাজাই
বেশি
চির চেনা মেঘ কিংবা না হারানো দু'কথা
হারিয়েই যায় জেনে বুঝেই।
ফুলছাপ মেঘ বৃষ্টি নিয়ে বসে থাকে
গভীরে।
একা প্ল্যাটফর্ম, শেষ ট্রেনের ইতিকথা...
থাকে, থেকেই যায় সব অন্ধকারের কাছে।
অধিবাস
বাসি মৃত্যুর দিকে হেঁটে যাই ক্রমশ
হাত ভরে তুলে রাখি জলপ্রদীপের
অনির্বাণ মন্ত্র...
এভাবেই তো হতে পারতো
হতে পারে, পারে
আসতে নিকট আত্মার সান্নিধ্যে
আমাদের পূর্ব জন্ম রাগের কোনো এক
আলিঙ্গন কাল।
নদীর কাছে বসে জল চিনিনি শুধু,
স্পর্শ ঢেউ পাতায় পাতায় রেখে
বুঝে নিয়েছি অনিবার্য নয় সব!
ভাবনা আর যাপন, সে তো সুদূর আকাশের ব্যবধান কাল।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন