কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

পিয়াল রায়




প্রাক্তন


ঝড় থেমে গেলে পড়ে থাকে বিষণ্ণ মুখ

যেটুকু শিরশিরে আলো
ভাঙা বাড়িটা থেকে ছিটকে এসে পড়লো
আমাদের আয়নায়
তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠলো বন্ধ্যা প্রারম্ভ

ঝড়ের কিছু অসুবিধাগ্রস্ত ইতিহাস
সামান্য এগিয়ে এসে
ঠুকে দিল মাথা ধূলিসাৎ চাতালে
স্রোতগুলো হাঁটুমুড়ে পড়ে যেতে যেতে
লিখে রাখবে ভেবে
আঙুলের কোণাকানাচে ভরে দিল শিশুর হাসি

এমন ফাঁপা দিনকাল
বুঝি এর আগে দেখা যায় নি কখনো
বুঝি এর আগে কখনো প্রাচীন শরীর থেকে
কেউ খুঁটে খুঁটে তোলেনি মলিন বীজ
বোঝা, না বোঝার

এইসব নানা ঘোরে বেঘোরে
নোঙর থেকে সবুজ মাঠ তুলে নিয়ে একদিন
চলে গেল প্রাক্তন হৃদয়


প্রতিমানব


এবার ফেরো...

আর কতদিন আগলে আগলে রাখবে
নিভে যাওয়া পাঁজরের ধূসর শিরিষ

বুলেট একবার ছুঁয়ে ফেললে হৃদয়
হরিণই বলো বা শিকারি
কেউই পারে না ছিটকে যেতে
অন্ধ বর্ণমালার ভিতর ক্রমশ
পাক খেতে খেতে
পাক খেতে খেতে
বৃদ্ধ হয়ে ওঠে দুর্বল জন্ম

ফ্রেম থেকে ফ্রেম
নিশুতি দৃশ্যাবলী তাকে টানে
পক্ষকালের ভিতর
কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই
নিয়ে যায় পিচ্ছিল গোলকে

যাতে স্পষ্ট বোঝা যায়
ফিরে আসার ব্যাপারটা বেমালুম ভুলে গেছে
তার অন্তর্গত সরলপুরুষ


আত্মগোপন

আমি যেটা ভাবছি
সেটা ভাবতে পারছো না বলেই
আমরা পরস্পর থেকে পৃথক
এক মোটা দাগের চামড়ায়
গোটাগুটি ভাবে এক একটা অক্ষর থেকে
ছাড়িয়ে নিচ্ছি নিখুঁত অঙ্গার

কাল্পনিক অসুখে ভোগা আমাদের আর
এ জন্মে ফুরোবে না
অথচ বরাবরই আমাদের ভালো স্বাস্থ্য
অন্যের পক্ষে অস্বস্তিকর হয়েছে
এ সত্য প্রমাণিত

তবু কী অসামান্য  মৃত্যুবিলাস আমাদের

যে কোনো দেড় দু’লাইন মৃত্যুর জন্য
বেঁচে থাকাটাকে পাল্টে ফেলি
নিভু নিভু অন্ধকারে





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন