একখন্ড মেঘ
একখন্ড
মেঘের মতো দু’চোখ ছুঁয়ে আছ।
সাদা কবুতরের মতো ডানা মুড়ে
টিলার উপর নির্জন ঐ বাড়ি।
আকাশ রঙের শাড়ি
রেলিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে
দিগন্তের হাতে পতাকার মতো উড়ছে।
চূর্ণ পাতা, বালি উড়ে উড়ে
পাখির ত্রস্ত ডানার মতো
জানালার পাল্লা ক’টি
একবার খুলছে, একবার বন্ধ হচ্ছে।
হয়তো বৃষ্টি নামবে শেষের কবিতার
মতো নিবিড়।
সুরঙ্গ
আমরা অন্ধকার একটা সুরঙ্গের
মধ্যে হাঁটছি
সুরঙ্গ সামনের দিকে ক্রমশ সরু
হয়ে গেছে
হাঁটতে হাঁটতে হেঁট হয়ে যাচ্ছে
ঘাড়
হাঁটতে হাঁটতে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে
পিঠ
হাঁটতে হাঁটতে ভেঙে যাচ্ছে কোমর
সুরঙ্গের আরও সংকীর্ণ মুখে এসে
বুকে হাঁটছি
হাঁটতে হাঁটতে শিরদাঁড়াহীন
নির্বিষ সরীসৃপ।
খাঁড়া
সত্যি বলতে কী কবিতার দিকে এখন
মন টানছে না; যখন
রক্তে ভাসছে বাংলা, মায়েদের কোল
খালি হয়ে যাচ্ছে আর
সন্তানহারা পিতারা উন্মাদের মতো
বুক চাপড়ে
প্রকাশ করছে শোক।
আমরা এ-কোন্ নিশিযাপন করছি
দিবালোকে
অরণ্যের বাইরে এ কোন্ ঘোর
অন্ধকার মাঠে ময়দানে?
প্রত্যক্ষভাবে ছুরিবিদ্ধ না
হলেও
রক্তাক্ত হচ্ছি প্রতি মুহূর্তে;
সময় শিবার মতো চেটে খাচ্ছে
রক্ত।
শুনতে পাচ্ছি ঢাকে কাঠি পড়ার
শব্দ;
খাঁড়া উঠছে, নামছে
মুন্ডমালা গলে মা কালী হাসছেন।
বাহ্ অজিতদা। খুব ভালো।
উত্তরমুছুন