রিং মাস্টার নামে
আমি পড়ছিলাম তোমার চিঠি
দেখতে পাচ্ছি একটি অজানা গোলকধাঁধার ছবি
এগুলো কি সত্যি সত্যি একদিন কেউ লিখেছিল
ভাবছি না, তাও ভাবনা আসছে উড়ে উড়ে
মনে নেই জানি আমাকে তেমন, তোমাকেও তাই
মাঝে মাঝে খুব বৃষ্টি এসে মনে করে দিয়ে যায়
মধ্যদিনের আলোর মাঝে কেউ একজন চাবুক হাতে
সিংহ বাঘের খেলা দেখাচ্ছে, সবার বুক খুব ধুক ধুক
কোন সিংহ কাকে যে খাবে কোনো আঁধারের মাঝে
কেউ একজন খেলা দেখাচ্ছে, রিং মাস্টার নামে
বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে, চিঠি রেখে দিই খামে
শব্দ শুয়োর
সেইসব শব্দেরাও একদিন পুরোপুরি উঠে আসবে আমাদের কবিতায়
যারা ছিল যবন, ম্লেচ্ছ, হরিজন। স্বপ্নহীন মাথামুণ্ডু বিন্যাসে
জীবন
বারবার ঘোষণা দিয়ে যায় -
কিছুই যায় না অস্বীকার করা, এমন কী
যেখানে সারারাত ধর্ষণে ধর্ষণে ছিন্নভিন্ন হচ্ছে প্রকৃতির
অবয়ব
তাকেও না
মাঝে মাঝে শুদ্ধচারী গল্পের রেশ ধরে এঁকেবেঁকে যেতে চাই
মেঘলা দিন, তল্লাটে তল্লাটে উড়ছে শ্বাসাঘাত ক্ষীণ। ওসব
ক্রমশ
দূর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অনার্য শব্দগুলো মাথা তুলে
দাঁড়াচ্ছে
তাকে কেউ পারবে না মুছে দিতে। এতটা সাহস সময়েরও নেই
মানুষের তো নেই-ই
ঘাটের ওপারে বাঁধা সঙ্গম-ক্লান্ত ঘোর শব্দ শুয়োর
মাংসমজ্জা ঠেলে দাঁড়িয়েছে অস্পৃশ্য অশ্লীল পাথর
আমিও গেয়েছি তার গান
মাঝেমাঝে দীর্ঘশ্বাসের মতো
এক একটি যতিচিহ্ন
দাড়ি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
আমিও চিনেছি সেই স্তব্ধতার
মানে
শব্দাবেগে ঝড় ওঠা বিমূর্ত
আবেগ
যাবার আগেই যারা হাত টেনে
বিদায় জানাবে
তাদের ভরা চোখে জলকারবার
ঝুঁকে বৃষ্টি নামাবে
অনেক কিছুই তো ফুরায় না
রূপান্তরের ঘোড়া চলে যায় কত
না দ্বারে
কত না কিছু যেতে যেতে কত
মুখ ছুঁয়ে
শপথের কথা বলে
আমাকে ক্ষমা কর
আমিও কি গেয়েছি সেই
গান
জটিল ধাঁধার উত্তরে মৃদু
হেসে চুপ করে গেছি
চাইনি নতুন করে চক্রপাক
ঘূর্ণি তুলুক
নেমে আসুক দুরারোগ্য গোধূলি
আলো
নিঃসন্দেহে এ-কথায় নেই
সন্দেহ
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন