কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

উপল বড়ুয়া




যদিচ জল

যদি ডুবে যাই
যদি ডুবে মরে যাই
কো
নো একদিন ডুবে ডুবে
জল খেতে গিয়ে জলের ডেরায়
যদি ডুবে যাই জলের লোভে উজ্জ্বল
জলের ধারায় গোঙাতে গোঙাতে জলীয়
 
বাষ্পে আমারও মুখচ্ছবি যদি ভাসে দুপুরের
 
বিচ্ছুরিত রোদে যদি বলি পুনর্বার জলকে চল
 
যদি জল ভাসে নৌকার উপর আর ভাষাগত কারণে
জলকে নিয়ে চলে যায় কলকাতার সুনীতি মাঝি যদি জল
তোমাকে কপালের মাঝখানে রেখে যদি তোমার কপালে থেকে
খুলে নেয়া যায় কালো টিপ আর তোমার ভরাট চোখকে আরো বেশি
জলের ভেতর নিশ্চুপ ঘন অন্ধকারে জেগে উঠে আমার নিবিড় মাৎস্যন্যায়
ফিরে আসো জল আজ জলের ‍ভেতর দুজনে ভাষাগত রূপ ছাড়িয়ে ছড়ায় জলান্তে


যুদ্ধকালীন কৃষি

ধরো,
বোমা পড়তেছে
তোমার শষ্যক্ষেত মাড়িয়ে
যাচ্ছে বুটজুতা; তোমার ছোট
বাড়িটিকে রাখা হয়েছে নজরবন্দী
তোমার শৈশবের স্কুলটিকে বানানো
হয়েছে ক্যাম্ফ আর কানের পাশ দিয়ে
ছুটে যাচ্ছে বুলেট ও গ্রেনেড; মাঝেমধ্যে
তোমার দুই বাচ্চা ছেলে খেলাচ্ছলে দেখতে
যাচ্ছে ভিনদেশী সৈন্য; তোমার বউ কাঁদছে
আতঙ্কে; বাড়ির উঠানে লাগোয়া আমগাছ কেটে
নিয়ে যাচ্ছে সৈনিকগণ; তুমি কেবল বলছো “ইয়েস
চ্যার, কুনো পবলেম না। যত ইচ্ছা কাটতে পারেন, পেছনে
একটা কাঁটাল গাছও আছে; চাইলে অইটাও কাইটা নিতে পারেন
খুব ভালো গাছ। খুব জলবে। আগুন আরো লাল হবে; রক্তের মতোন
লাল আর চ্যার খেয়াল রাখবেন আমার গেঁদাগুলা কখন আপনাদের দিকে  
তাক করে ফেলে তাদের উত্থিত কামান আর চ্যার আপনেরা খুব মাদারচোদ
আসেন আমার ঘর জালায়া যান চ্যার আমগাছ দিয়া; আপনেরা খুব মাদারচোদ”
সৈনিকগণ হাসতেছে; হাতে গাছ কাটার কুঠার; “ইয়েস; ইউ আর রাইট; থ্যাংক ইউ”


হিট স্ট্রোক

এসো উদীয়মান
এসো চুদীয়মান
কবি। এসো দ্যা
লাঁদে—পুঁদে
জুমাফেল কবি
এসো কৃয়াপদ
বর্জিত অব্যয়
এসো মঁসিয়ে
রকোহেলিক বুদ্ধ
এসো রড্রিক
 
বায়োমেট্রিক
এসো সেনাবাস
তনু শাহবাগ
রামপাল যুদ্ধ।




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন